শেয়ারবাজার : যৌক্তিক সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক সময়ে গ্রহণের খেসারত by আবু তাহের খান
কানাকে কানা না বলার সংস্কৃতি যেকোনো ভদ্র সমাজেরই ঐতিহ্যিক বৈশিষ্ট্য। শেয়ারবাজারের সঙ্গে জড়িত লেনদেনের কাজ আসলেই যে ফাটকাবাজি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই এবং সেটি অস্বীকার করারও কোনো উপায় নেই। কিন্তু পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থায় শেয়ার ব্যবসা পুরোপুরি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়েই এটি এখন এতটাই
ব্যাপকতা লাভ করেছে এবং এর সঙ্গে এত বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়িয়ে পড়েছে যে, তাদের এখন আর ফাটকাবাজ বলে পার পাওয়ার উপায় নেই। বরং অর্থনীতিতে শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে একে যথেষ্ট সমীহ করারও কারণ রয়েছে। এ অবস্থায় শেয়ারবাজারের ফাটকা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ফাটকাবাজ বলে অভিহিত করা বস্তুত ভদ্র সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না, যেমনটি পড়ে না কানাকে কানা বলার কাজটিও। তা সত্ত্বেও শেয়ারবাজারের ভালোমন্দ দেখার আনুষ্ঠানিক দায়িত্বে নিয়োজিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে তাদের প্রকাশ্যে ফাটকাবাজ বলাটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। পশ্চিমের পুঁজিবাদী দেশগুলোতে যাঁরা লবিস্টের কাজ করেন, তাঁরা বস্তুত দালাল বৈ অন্য কিছু নন। অথচ সেসব দেশে তাঁরা এখন গতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থার অপরিহার্য অঙ্গ এবং সেখানকার বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানই এ দালালির কাজটি প্রচণ্ড দাপটের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের একাধিক সরকারও সেসব দেশে অনুকূল সিদ্ধান্ত পেতে বিপুল অর্থ ব্যয়ে এসব লবিস্ট নিয়োগ করে কাজ হাসিল করার চেষ্টা করেছে। ফলে এই দালাল বা শেয়ারবাজারের ফাটকাবাজ_এরা সবাই আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থারও স্বীকৃত অনুষঙ্গ। অতএব, পুঁজিবাদী ব্যবস্থার রীতিনীতি মেনে রাষ্ট্র চালাতে গিয়ে পুঁজির অন্যতম নিয়ামকদের অকপটে ফাটকাবাজ বলাটা অনেকটাই স্ববিরোধী আচরণ বৈকি!
সন্দেহ নেই, শেয়ারবাজার একটি অরাজনৈতিক ক্ষেত্র। কিন্তু বাস্তবে রাজনীতির প্রভাব শেয়ারবাজারের ওপর যথেষ্টই রয়েছে কিংবা বলা চলে রাজনীতির হালচালই শেয়ারবাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে সর্বাধিক মাত্রায়। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে রিচার্ড নিঙ্ন পদত্যাগ করলে ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ারবাজারে যে পরিমাণ পতন ঘটেছিল, আজও তা রেকর্ড পরিমাণ। বিপরীতে ২০০৯-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট বারাক ওবামা জয়লাভ করলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার শেয়ারবাজারের সূচক যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ওপরে উঠে গিয়েছিল, সে তো আমাদের সবার চোখের সামনেরই ঘটনা। আর বাংলাদেশের মতো অপেক্ষাকৃত নতুন ও ছোট্ট পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে দেশের ইতিবাচক রাজনৈতিক ঘটনায় এর ঊর্ধ্বমুখিতা এবং অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অধমুখী হয়ে পড়াটা বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
নৈতিকতার বিচারে কালো টাকার ব্যবহার অর্থনীতির কোনো খাতের জন্যই গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু পুঁজিবাদী ব্যবস্থার নিগড়ে বন্দি অর্থনীতিতে নৈতিকতা প্রয়োগের সুযোগ কতটাই বা আছে? তার পরও রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে থাকে, পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগদানের মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে তারা সমর্থন করবে না, তাহলে নীতির প্রশ্নে সেখানে দ্বিমত পোষণের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু কথা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে নৈতিকতা প্রয়োগের এটি কি উপযুক্ত সময়? কাজটি ২০০৯ সালের গোড়ার দিকে করা হলে লোকে ভাবত যে নতুন সরকারের গণমুখী আদর্শিকতার কারণেই এটি করা হয়েছে, যা সাধারণভাবে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত বলেই বিবেচিত হতো এবং কালো টাকার মালিকদের কাছে এ বার্তাই পেঁৗছাত যে এ সরকার অনৈতিকতাকে সমর্থন করবে না। কিন্তু পুঁজিবাজারের বর্তমান টালমাটাল অবস্থায় সিদ্ধান্তটি এখন নেওয়ার কারণে ফল হচ্ছে উল্টো। প্রথমত, এতে পুঁজিবাজারের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দ্বিতীয়ত, কালো টাকার কালো মালিকদের স্বার্থে আঘাত লাগার কারণে তারা নানাভাবে সরকারকে অজনপ্রিয় করে তোলার ব্যাপারে প্রকাশ্যে বা গোপনে তৎপর হয়ে উঠতে পারে, যা সাধারণ নির্বাচনের মাত্র বছর দেড়েক আগে কোনো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের জন্যই কাম্য হতে পারে না। চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে স্বাভাবিকভাবেই অন্য কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারে না। তা সত্ত্বেও ইদানীং রাজধানীকেন্দ্রিক সরকারি দপ্তরগুলোর হাজার হাজার কর্মচারী যে অফিসের কাজকর্ম ফেলে শেয়ার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে, তা নিঃসন্দেহে একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। এ ক্ষেত্রে আরো উদ্বেগের বিষয় এই যে, এই কর্মচারীদের একটি বিরাট অংশই বিশেষত ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তারা দাপ্তরিক ইন্টারনেট সুবিধাকে নিজস্ব শেয়ার ব্যবসার কাজে ব্যবহার করছে। বিষয়টি শুধু অফিস শৃঙ্খলার পরিপন্থীই নয়, অফিসের দৈনন্দিন স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারীও। ফলে অবশ্যই এটি কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। কিন্তু শেয়ারবাজারের বর্তমান বিপর্যস্ত দশায় কাজটি করতে যাওয়ার ফলে অত্যন্ত যৌক্তিক এ সিদ্ধান্তটিও প্রতিবাদের মুখে পড়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে। সিদ্ধান্তটি যদি সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিকে গ্রহণ করা হতো, তাহলে এরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি তো হতোই না, বরং সরকারি কর্মচারীরা এই ভেবে সতর্ক হতে বাধ্য হতেন যে চাকরিতে থেকে এ সরকারের আমলে চাকরি শর্তের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া যাবে না।
শেয়ারবাজারের উপর্যুপরি বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে এ বিষয়ে কিছু প্যাকেজ সুবিধা ঘোষণার পর দেশের পুঁজিবাজার একটু একটু করে গতি খুঁজে পাচ্ছিল। ওই প্যাকেজ ঘোষণার পর পুঁজিবাজারে হঠাৎ উল্লম্ফন না ঘটে তা ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল, সেটাই ছিল ইতিবাচক স্বাভাবিকতার লক্ষণ (হঠাৎ উল্লম্ফন কোনো স্বাভাবিকতা নয়)। ধারণা করা হচ্ছিল, এ ধারা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই পুঁজিবাজারে বাড়তি গতিশীলতা ফিরে আসবে। কিন্তু এরই মধ্যে এমন কী ঘটল বোঝা গেল না, হঠাৎ করেই দেখা গেল যে কালো টাকা ও সরকারি কর্মচারীদের শেয়ারবাজারে নিষিদ্ধ করতে হলো? (কালো টাকা ও সরকারি কর্মচারীদের শেয়ারবাজারে অংশগ্রহণকে সমর্থন করা হচ্ছে না)। তবে সচেতন ব্যক্তিমাত্রই এই ভেবে হতাশ হলেন যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপজনিত সিদ্ধান্ত যেখানে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক ধারা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুফল দিচ্ছিল, তখন কার বা কাদের পরামর্শে নতুনভাবে জটিলতা সৃষ্টিকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সরকারকে অজনপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে? সন্দেহ হয়, এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণে অতি সূক্ষ্ম কোনো অনর্ঘাতমূলক প্ররোচনা নেই তো?
লেখক : অর্থনীতির বিশ্লেষক
সন্দেহ নেই, শেয়ারবাজার একটি অরাজনৈতিক ক্ষেত্র। কিন্তু বাস্তবে রাজনীতির প্রভাব শেয়ারবাজারের ওপর যথেষ্টই রয়েছে কিংবা বলা চলে রাজনীতির হালচালই শেয়ারবাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে সর্বাধিক মাত্রায়। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে রিচার্ড নিঙ্ন পদত্যাগ করলে ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ারবাজারে যে পরিমাণ পতন ঘটেছিল, আজও তা রেকর্ড পরিমাণ। বিপরীতে ২০০৯-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট বারাক ওবামা জয়লাভ করলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার শেয়ারবাজারের সূচক যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ওপরে উঠে গিয়েছিল, সে তো আমাদের সবার চোখের সামনেরই ঘটনা। আর বাংলাদেশের মতো অপেক্ষাকৃত নতুন ও ছোট্ট পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে দেশের ইতিবাচক রাজনৈতিক ঘটনায় এর ঊর্ধ্বমুখিতা এবং অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অধমুখী হয়ে পড়াটা বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
নৈতিকতার বিচারে কালো টাকার ব্যবহার অর্থনীতির কোনো খাতের জন্যই গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু পুঁজিবাদী ব্যবস্থার নিগড়ে বন্দি অর্থনীতিতে নৈতিকতা প্রয়োগের সুযোগ কতটাই বা আছে? তার পরও রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে থাকে, পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগদানের মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে তারা সমর্থন করবে না, তাহলে নীতির প্রশ্নে সেখানে দ্বিমত পোষণের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু কথা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে নৈতিকতা প্রয়োগের এটি কি উপযুক্ত সময়? কাজটি ২০০৯ সালের গোড়ার দিকে করা হলে লোকে ভাবত যে নতুন সরকারের গণমুখী আদর্শিকতার কারণেই এটি করা হয়েছে, যা সাধারণভাবে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত বলেই বিবেচিত হতো এবং কালো টাকার মালিকদের কাছে এ বার্তাই পেঁৗছাত যে এ সরকার অনৈতিকতাকে সমর্থন করবে না। কিন্তু পুঁজিবাজারের বর্তমান টালমাটাল অবস্থায় সিদ্ধান্তটি এখন নেওয়ার কারণে ফল হচ্ছে উল্টো। প্রথমত, এতে পুঁজিবাজারের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দ্বিতীয়ত, কালো টাকার কালো মালিকদের স্বার্থে আঘাত লাগার কারণে তারা নানাভাবে সরকারকে অজনপ্রিয় করে তোলার ব্যাপারে প্রকাশ্যে বা গোপনে তৎপর হয়ে উঠতে পারে, যা সাধারণ নির্বাচনের মাত্র বছর দেড়েক আগে কোনো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের জন্যই কাম্য হতে পারে না। চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে স্বাভাবিকভাবেই অন্য কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারে না। তা সত্ত্বেও ইদানীং রাজধানীকেন্দ্রিক সরকারি দপ্তরগুলোর হাজার হাজার কর্মচারী যে অফিসের কাজকর্ম ফেলে শেয়ার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে, তা নিঃসন্দেহে একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। এ ক্ষেত্রে আরো উদ্বেগের বিষয় এই যে, এই কর্মচারীদের একটি বিরাট অংশই বিশেষত ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তারা দাপ্তরিক ইন্টারনেট সুবিধাকে নিজস্ব শেয়ার ব্যবসার কাজে ব্যবহার করছে। বিষয়টি শুধু অফিস শৃঙ্খলার পরিপন্থীই নয়, অফিসের দৈনন্দিন স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারীও। ফলে অবশ্যই এটি কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। কিন্তু শেয়ারবাজারের বর্তমান বিপর্যস্ত দশায় কাজটি করতে যাওয়ার ফলে অত্যন্ত যৌক্তিক এ সিদ্ধান্তটিও প্রতিবাদের মুখে পড়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে। সিদ্ধান্তটি যদি সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিকে গ্রহণ করা হতো, তাহলে এরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি তো হতোই না, বরং সরকারি কর্মচারীরা এই ভেবে সতর্ক হতে বাধ্য হতেন যে চাকরিতে থেকে এ সরকারের আমলে চাকরি শর্তের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া যাবে না।
শেয়ারবাজারের উপর্যুপরি বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে এ বিষয়ে কিছু প্যাকেজ সুবিধা ঘোষণার পর দেশের পুঁজিবাজার একটু একটু করে গতি খুঁজে পাচ্ছিল। ওই প্যাকেজ ঘোষণার পর পুঁজিবাজারে হঠাৎ উল্লম্ফন না ঘটে তা ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল, সেটাই ছিল ইতিবাচক স্বাভাবিকতার লক্ষণ (হঠাৎ উল্লম্ফন কোনো স্বাভাবিকতা নয়)। ধারণা করা হচ্ছিল, এ ধারা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই পুঁজিবাজারে বাড়তি গতিশীলতা ফিরে আসবে। কিন্তু এরই মধ্যে এমন কী ঘটল বোঝা গেল না, হঠাৎ করেই দেখা গেল যে কালো টাকা ও সরকারি কর্মচারীদের শেয়ারবাজারে নিষিদ্ধ করতে হলো? (কালো টাকা ও সরকারি কর্মচারীদের শেয়ারবাজারে অংশগ্রহণকে সমর্থন করা হচ্ছে না)। তবে সচেতন ব্যক্তিমাত্রই এই ভেবে হতাশ হলেন যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপজনিত সিদ্ধান্ত যেখানে পুঁজিবাজারে ইতিবাচক ধারা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুফল দিচ্ছিল, তখন কার বা কাদের পরামর্শে নতুনভাবে জটিলতা সৃষ্টিকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সরকারকে অজনপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে? সন্দেহ হয়, এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণে অতি সূক্ষ্ম কোনো অনর্ঘাতমূলক প্ররোচনা নেই তো?
লেখক : অর্থনীতির বিশ্লেষক
No comments