জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়-আরও ৪ ছাত্র আজীবন বহিষ্কার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের হত্যার ঘটনায় আরও চারজন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয় শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্র।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সিন্ডিকেটের কোনো সভা না করেই এসব পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজীবন বহিষ্কৃত চার শিক্ষার্থী হলেন: প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের মো. জাহিদ হাসান, একই ব্যাচের দর্শন বিভাগের ইসতিয়াক মেহবুব, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহাবুব আকরাম এবং প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের মো. নাজমুস সাকিব। অবশ্য তাঁদের তিনজনকে আগেই আজীবন বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন: ইতিহাস বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের মাজহারুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান মাসুদ, একই ব্যাচের দর্শন বিভাগের মো. কামরুজ্জামান, লোকপ্রশাসন বিভাগের নাজমুল হুসেইন, পরিসংখ্যান বিভাগের শফিউল আলম ও অভিনন্দন কুণ্ডু।
এর আগে আজীবন বহিষ্কার করা হয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের খন্দকার আশিকুল ইসলাম, খান মোহাম্মদ রইস ও একই ব্যাচের দর্শন বিভাগের রাশেদুল ইসলামকে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক জানান, আজ (সোমবার) বিকেল পাঁচটায় সিন্ডিকেট সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা বেলা সাড়ে ১১টায় হয়। সভায় জুবায়ের হত্যার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি বোর্ড ওই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এই সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ৪ ও ৫ নম্বর ধারা মোতাবেক ওই ১৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ছাড়াও ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া জুবায়ের আহমেদের পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা অনুদান প্রদান ও তাঁর পরিবারের একজনকে যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারে নিয়োজিত জনবল সংখ্যা বৃদ্ধি, গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ১২ জানুয়ারি তৎকালীন প্রক্টর আরজু মিয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনসহ মোট আটটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
No comments