পুঁজিবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠান-একক গ্রহীতার ঋণসীমা সমন্বয়ের সময় বেড়েছে
আর্থিক প্রতিষ্ঠাগুলো তাদের নিজস্ব মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউসকে সাব সিডিয়ারি বা সহযোগী কোম্পানি হিসেবে যে মূলধন জোগান দিয়েছে, তা মূল প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে মোট বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে আজ মঙ্গলবার জারি করা এক নির্দেশনায় এই ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আবার অন্য কোনো কোম্পানিতে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ মেয়াদে মূলধনী বিনিয়োগ বা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল জোগান দেওয়া থাকলে তাও আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির পুঁজিবাজারে মোট বিনিয়োগ স্থিতির মধ্যে ধরা হবে না।
এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসে দেওয়া ঋণ একক গ্রহীতার ঋণসীমার মধ্যে সমন্বয়ের সময়ও বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সময় দেওয়া হয়েছে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
অন্যদিকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কারণে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনো একক ক্ষেত্রে লোকসান দিলে তা সামগ্রিকভাবে লাভ-লোকসান সমন্বয় করে তারপর প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে পারবে বলেও বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল ছাড় দেয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন এ বিষয়ে তাদের কাছে আবেদন করেছিল। বিষয়টি বিবেচনা করে নতুন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও তাদের মালিকানাধীন মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে পুঁজিবাজারে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমরা মনে করি।’
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য একই ধরনের সুযোগ তৈরি করে।
No comments