চাকরিচ্যুত করে চাকরি দেয়ার কথা ছিল নাঃ প্রতিশ্রুতি পূরণের বলি ২১ হাজার
আওয়ামী মহাজোটের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল প্রত্যেক পরিবারের অন্তত একজনকে চাকরি দেয়া হবে। গণবেকারত্বের এই দেশে এমন প্রতিশ্রুতির মূল্য কম নয়। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করা নিয়ে কথা। অবশ্য সরকার সঠিক পরিকল্পনা নিলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি মোটেই অসম্ভব নয়।
বিশেষ করে উত্পাদনমূলক খাতগুলোয় এমন সুযোগ প্রচুর। তাহলে জনসংখ্যা নিয়ে আজকের মাথাব্যথা দূর হয়ে যেত। জনসংখ্যাকে কাজে লাগিয়ে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত হতো। অতিরিক্ত জনসংখ্যা মূল্যবান সম্পদে পরিণত হতো। কিন্তু কোনো সরকারই সে পথে হেঁটেছে বলা যাবে না। বর্তমান সরকারের প্রথম বছরে সে রকম প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায়নি, বরং পোলট্রিসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে সৃষ্ট বিপর্যয়ে কয়েক লাখ মানুষ নতুন করে কাজ হারিয়েছে। বিনিয়োগ থমকে থাকায় নতুন কর্মসংস্থান মুখের কথায় আটকে রয়েছে। এমনি অবস্থায় নতুন করে চাকরিচ্যুতির মুখে পড়েছেন ২১ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ নিয়ে গতকালের আমার দেশ প্রথম পাতায় একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
১৯৭২ সাল থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরতদের চাকরি প্রকল্পের মেয়াদ শেষে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হয়ে আসছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার সে ব্যবস্থা বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী সোমবার অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রিসভার বছরের শেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে নতুন বছরের শুরুতেই ২১ হাজার পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৩০ জুনের পর শেষ হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জনবলই এই বিপদের শিকার হবে। এর আগে তাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তদবিরের ফলে অর্থ বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে রাজস্ব বাজেটে সৃষ্ট পদগুলো পূরণে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়। অবশ্য এ প্রক্রিয়ায় শেষ হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। তবে এতে অংশগ্রহণ করলেও এসব চাকরিজীবীর অনেকেই যে ছিটকে পড়বে এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। তার পরও বলা যায়, এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করবে সরকার। উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির সমস্যা মোকাবিলার পাশাপাশি নতুন-পুরনো সব চাকরিপ্রাপ্তদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখানো হবে। মনে হয় সে জন্যই উন্নয়ন প্রকল্পের পদ ও জনবল স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তরের বিধান সংবলিত ২০০৮ সালে জারিকৃত সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র, যা ১ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা সেটা অর্থসচিব কমিটি প্রথমে দেড় বছর পিছিয়ে দেয়ার সুপারিশ করেছিল এবং পরে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়ে দেয়। অবশ্য এর পেছনে উচ্চপর্যায় থেকে কলকাঠি নাড়ানোর কথাও শোনা গেছে।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে মহাজোট সরকারের এমন পদক্ষেপের ঘটনা ছোটবেলায় শোনা শেয়াল পণ্ডিতের পাঠশালায় কুমির ছানাদের দশার কথাই মনে করিয়ে দেয়। মহাজোট সরকার এভাবেই কি একের পর এক প্রতিশ্রুতি পূরণের কলাকৌশল আবিষ্কারে লিপ্ত থাকবে? এ দেশের মানুষ এরকম চালাকির সঙ্গে মোটেই অপরিচিত নয়। এ সরকারের প্রথম বছরেই মানুষের কাছে অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে গেছে। ২১ হাজার পরিবারের রুটি-রুজি নিয়ে যে খেলা শুরু হয়েছে তা থেকে ক্ষমতাসীনদের ভূমিকা সম্পর্কে ভুক্তভোগীদের ধারণা আরও পরিষ্কার হবে সন্দেহ নেই। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে আন্তরিক না হলে শেষ পর্যন্ত গল্পের সেই শেয়ালের দশাই সরকারের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে থাকবে।
১৯৭২ সাল থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরতদের চাকরি প্রকল্পের মেয়াদ শেষে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হয়ে আসছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার সে ব্যবস্থা বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী সোমবার অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রিসভার বছরের শেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে নতুন বছরের শুরুতেই ২১ হাজার পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৩০ জুনের পর শেষ হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জনবলই এই বিপদের শিকার হবে। এর আগে তাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তদবিরের ফলে অর্থ বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে রাজস্ব বাজেটে সৃষ্ট পদগুলো পূরণে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়। অবশ্য এ প্রক্রিয়ায় শেষ হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। তবে এতে অংশগ্রহণ করলেও এসব চাকরিজীবীর অনেকেই যে ছিটকে পড়বে এতে সন্দেহের অবকাশ নেই। তার পরও বলা যায়, এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করবে সরকার। উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির সমস্যা মোকাবিলার পাশাপাশি নতুন-পুরনো সব চাকরিপ্রাপ্তদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখানো হবে। মনে হয় সে জন্যই উন্নয়ন প্রকল্পের পদ ও জনবল স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তরের বিধান সংবলিত ২০০৮ সালে জারিকৃত সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র, যা ১ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা সেটা অর্থসচিব কমিটি প্রথমে দেড় বছর পিছিয়ে দেয়ার সুপারিশ করেছিল এবং পরে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়ে দেয়। অবশ্য এর পেছনে উচ্চপর্যায় থেকে কলকাঠি নাড়ানোর কথাও শোনা গেছে।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে মহাজোট সরকারের এমন পদক্ষেপের ঘটনা ছোটবেলায় শোনা শেয়াল পণ্ডিতের পাঠশালায় কুমির ছানাদের দশার কথাই মনে করিয়ে দেয়। মহাজোট সরকার এভাবেই কি একের পর এক প্রতিশ্রুতি পূরণের কলাকৌশল আবিষ্কারে লিপ্ত থাকবে? এ দেশের মানুষ এরকম চালাকির সঙ্গে মোটেই অপরিচিত নয়। এ সরকারের প্রথম বছরেই মানুষের কাছে অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে গেছে। ২১ হাজার পরিবারের রুটি-রুজি নিয়ে যে খেলা শুরু হয়েছে তা থেকে ক্ষমতাসীনদের ভূমিকা সম্পর্কে ভুক্তভোগীদের ধারণা আরও পরিষ্কার হবে সন্দেহ নেই। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে আন্তরিক না হলে শেষ পর্যন্ত গল্পের সেই শেয়ালের দশাই সরকারের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে থাকবে।
No comments