মহাত্মা গান্ধীর সাজে শিশু-কিশোরেরা
মাথায় ত্বকরঙা টুপি। নাকের ওপর গোল কাচের চশমা। নাকের নিচে সফেদ গোঁফ। এমন চেহারা একজন বুড়োর হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু তারা কেউ বুড়ো নয়, শিশু-কিশোর। এদের সংখ্যা প্রায় ৪৮৫। একসঙ্গে এত শিশু-কিশোরের এই চেহারা হওয়ার কারণ কী? সবাই ভারতের অহিংস আন্দোলনের মহান প্রবাদপুরুষ মহাত্মা গান্ধী সেজেছে।
তাঁর ৬৪তম মৃত্যুবার্ষিকীর প্রাক্কালে গত রোববার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশু-কিশোরকে এই বেশে দেখা যায়। গতকাল সোমবার ছিল মহাত্মা গান্ধীর ৬৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।
রোববার ধুতি ও শাল পরে ছড়ি হাতে আধা কিলোমিটার পথ হেঁটে যায় শিশু-কিশোররা। তাদের এই শোভাযাত্রায় মূর্ত হয়ে ওঠে ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত গান্ধীর সেই ঐতিহাসিক ‘ডান্ডি পিস মার্চ’।
শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া শিশু-কিশোরদের গড় বয়স ছিল ১০ থেকে ১৬ বছর। তারা বেশির ভাগই এক মায়ের এক ছেলে। বিশ্বে একসঙ্গে এত শিশু-কিশোরের সমাবেশের দিক দিয়ে এটি বিশ্ব রেকর্ডও বটে। এর আগে তামিলনাড়ুতে ২০১০ সালের ১৩ জুন তামিলনাড়ুর কোইমবাটোর জেলায় ২৫৫ জন শিশু এভাবে মহাত্মা গান্ধী সেজেছিল।
গান্ধীর নাতনি ঊষা গোকানি শিশুদের এই শোভাযাত্রা প্রত্যক্ষ করেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রেনিং রিকোর্স অ্যান্ড কেয়ার ফর কিডস এই শোভযাত্রার আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মাইকেল অ্যান্টনি বলেন, ‘আমরা চাই না সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোররা গান্ধীর মতাদর্শ ভুলে থাকুক। এ জন্য এমন আয়োজন।’ ডেইলি মেইল অনলাইন।
No comments