ইউসুফের সারা শরীরে ক্ষতচিহ্ন
মিলাদ মোহাম্মেদ ইউসুফের সারা শরীরে ক্ষতচিহ্ন। জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে ছ্যাকা দেওয়া হয়েছে। আছে জায়গায় জায়গায় শিকলের আঘাত। লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতার একটি কারাগারে বন্দী ইউসুফ। তিনি ছিলেন গাদ্দাফি বাহিনীর যোদ্ধা। গত ২৮ অক্টোবর থেকে তিনি এই কারাগারেই আছেন। কারাগারটি পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী।
নিজের জামা ও পাজামা উঁচিয়ে গায়ের ক্ষত চিহ্ন দেখিয়ে ইউসুফ বলেন, ‘শিকল ও লাঠি দিয়ে আমার পিঠ ও পায়ে কয়েক দিন ধরে পেটানো হয়েছে। আমার বাড়ি তুয়ার্গাতে হওয়ায় আমাকে টার্গেট করা হয়েছে।’
মিসরাতার প্রতিবেশী শহর হচ্ছে তুয়ার্গা। মিসরাতা ছিল সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুসারীদের ঘাঁটি। তুয়ার্গা বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে গাদ্দাফিবিরোধীদের অভিযোগ, তারা গাদ্দাফি বাহিনীর হয়ে লড়াই করেছে। তারা নারীদের ধর্ষণ করেছে।
ইউসুফ (৫২) বলেন, ‘আমি কোনো ধর্ষণ করিনি। আমি শুধু গাদ্দাফির হয়ে লড়াই করেছি। আমি তাঁর বাহিনীর সঙ্গে থাকায় তাঁর হয়ে আমাকে যুদ্ধ করতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে তারা মারধর, নির্যাতন ও অসম্মান করছে।’
গাদ্দাফি অনুসারী আরেক যোদ্ধা সালেহ মুস্তাফা আবদুল্লাহ সিশান (২৫) বলেন, ত্রিপলিতে আটকের পর তাঁকে অব্যাহতভাবে রড ও অন্যান্য ধাতুর বস্তু দিয়ে পেটানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তারা তার দিয়ে আমাকে বারবার পিটিয়েছে। তারা আমাকে বৈদ্যুতিক শক দেয়নি ঠিকই; কিন্তু বৈদ্যুতিক তার দিয়ে বেদম পিটিয়েছে।’
মিসরাতার অধিকাংশ বন্দী জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, তাই তারা জানেন না। এমনকি এখন পর্যন্ত তারা কোনো আইনজীবী নিয়োগেরও সুযোগ পাননি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দীদের মামলাগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বিদ্রোহীদের নির্যাতনে গাদ্দাফি বাহিনীর কয়েকজন সদস্য বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন—মানবাধিকার সংস্থাগুলোর এমন প্রতিবেদনের পরই বন্দী নির্যাতনের বিষয়টি সবার সামনে চলে আসে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত সপ্তাহে বলেছে, তাদের প্রতিনিধিরা ত্রিপোলি, মিসরাতা ও ঘারিয়ানের মতো ছোট ছোট শহরেও বন্দী নির্যাতনের অকাট্য প্রমাণ পেয়েছেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস তাদের স্বাস্থ্যসেবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ক্রিস্টোফার স্টোকস বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের মাঝখানে চিকিৎসার জন্য আহত বন্দীদের আমাদের কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে। এরপর কিছুটা সুস্থ করে তুলে আবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
বিচারমন্ত্রী আলী এইচ মিদা আমুর তাঁর মন্তব্যে বন্দী নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করেননি, আবার অভিযোগ অস্বীকারও করেননি। তবে তিনি বলেন, কয়েকজন বন্দী মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মিসরাতা কারাগারের প্রধান ইব্রাহিম বায়তুলমালও বন্দী নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বরং অ্যামনেস্টি ও ডক্টরস উইদআউট বর্ডারসের প্রতিবেদনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। এএফপি।
মিসরাতার প্রতিবেশী শহর হচ্ছে তুয়ার্গা। মিসরাতা ছিল সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুসারীদের ঘাঁটি। তুয়ার্গা বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে গাদ্দাফিবিরোধীদের অভিযোগ, তারা গাদ্দাফি বাহিনীর হয়ে লড়াই করেছে। তারা নারীদের ধর্ষণ করেছে।
ইউসুফ (৫২) বলেন, ‘আমি কোনো ধর্ষণ করিনি। আমি শুধু গাদ্দাফির হয়ে লড়াই করেছি। আমি তাঁর বাহিনীর সঙ্গে থাকায় তাঁর হয়ে আমাকে যুদ্ধ করতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে তারা মারধর, নির্যাতন ও অসম্মান করছে।’
গাদ্দাফি অনুসারী আরেক যোদ্ধা সালেহ মুস্তাফা আবদুল্লাহ সিশান (২৫) বলেন, ত্রিপলিতে আটকের পর তাঁকে অব্যাহতভাবে রড ও অন্যান্য ধাতুর বস্তু দিয়ে পেটানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তারা তার দিয়ে আমাকে বারবার পিটিয়েছে। তারা আমাকে বৈদ্যুতিক শক দেয়নি ঠিকই; কিন্তু বৈদ্যুতিক তার দিয়ে বেদম পিটিয়েছে।’
মিসরাতার অধিকাংশ বন্দী জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, তাই তারা জানেন না। এমনকি এখন পর্যন্ত তারা কোনো আইনজীবী নিয়োগেরও সুযোগ পাননি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, বন্দীদের মামলাগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বিদ্রোহীদের নির্যাতনে গাদ্দাফি বাহিনীর কয়েকজন সদস্য বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন—মানবাধিকার সংস্থাগুলোর এমন প্রতিবেদনের পরই বন্দী নির্যাতনের বিষয়টি সবার সামনে চলে আসে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত সপ্তাহে বলেছে, তাদের প্রতিনিধিরা ত্রিপোলি, মিসরাতা ও ঘারিয়ানের মতো ছোট ছোট শহরেও বন্দী নির্যাতনের অকাট্য প্রমাণ পেয়েছেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস তাদের স্বাস্থ্যসেবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ক্রিস্টোফার স্টোকস বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের মাঝখানে চিকিৎসার জন্য আহত বন্দীদের আমাদের কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে। এরপর কিছুটা সুস্থ করে তুলে আবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
বিচারমন্ত্রী আলী এইচ মিদা আমুর তাঁর মন্তব্যে বন্দী নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করেননি, আবার অভিযোগ অস্বীকারও করেননি। তবে তিনি বলেন, কয়েকজন বন্দী মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মিসরাতা কারাগারের প্রধান ইব্রাহিম বায়তুলমালও বন্দী নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বরং অ্যামনেস্টি ও ডক্টরস উইদআউট বর্ডারসের প্রতিবেদনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। এএফপি।
No comments