ইউয়ান লেনদেনের বৈশ্বিক কেন্দ্র হতে যাচ্ছে সাংহাই

চীনের বিহিত মুদ্রা ইউয়ান বেচাকেনার বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে সাংহাইকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় দেশটি। এর মধ্য দিয়ে সাংহাইকে বিশ্বের অন্যতম আন্তর্জাতিক আর্থিক কেন্দ্রে রূপ দেওয়া হবে। ২০২০ সালের মধ্যে চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্যিক কেন্দ্রটিকে এই আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়ার জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে চীন।


এর ফলে ইউয়ান লেনদেন, ইউয়ানে পরিচালিত আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য নিষ্পন্নকরণ ও বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে ইউয়ানের দর নির্ধারণ হবে সাংহাইতে। খবর রয়টার্সের।
গতকাল সোমবার চীন সরকারের পক্ষ থেকে এ পরিকল্পনার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ২০১৫ সালের মধ্যে ইউয়ান লেনদেনে সাংহাইকে কেন্দ্রবিন্দু করার পরিকল্পনা উল্লেখ করা হয়েছে।
চীন চাইছে সাংহাইও যেন নিউইয়র্ক ও লন্ডনের মতো বৈশ্বিক আর্থিক কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এ জন্য ২০২০ সালকে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মূলত ২০০৯ সালেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এ লক্ষ্য অর্জনের বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য এত দিন ধরে কাজ করেছে চীন সরকার। দেশটির জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন এ জন্য ২০১৫ সাল পর্যন্ত অনেকগুলো পদক্ষেপ ও লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে কার্যত ইউয়ানের বিনিময় মূল্যের ব্যাপারে চীন সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে—এমনটি প্রতীয়মান হচ্ছে।
যেমন সিবরকে (সাংহাই ইন্টার ব্যাংক অফার রেট) সর্বত্রই ইউয়ানে ঋণ গ্রহণের মানদণ্ড হিসেবে ধার্য করা হবে। আবার ২০১৫ সালের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রাবহির্ভূত আর্থিক বাজারে ইউয়ানের বার্ষিক লেনদেন এক হাজার লাখ কোটি (এক হাজার ট্রিলিয়ন) ইউয়ানে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হবে।
বিশ্লেষকেরা আরও বলছেন, সিবর এখনো চীনের বাইরে আর্থিক বাজারে প্রতিষ্ঠিত কোনো মানদণ্ড নয়। বরং সরকারের সাত দিনের পুনঃক্রয় হারকেই ঋণের জন্য মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁরা আরও বলছেন, চীনের এই পরিকল্পনা উচ্চাভিলাষী। তা ছাড়া এ মাসের প্রথম দিকেই ব্রিটেন জানিয়েছে যে, তারা লন্ডনের আর্থিক বাজারকে ইউয়ানের বৈশ্বিক লেনদেনের অন্যতম বড় কেন্দ্র করতে চায়।

No comments

Powered by Blogger.