সুরম্য বাড়িতে উঠলেন মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড!
নেপালের মাওবাদীদের শীর্ষনেতা পুষ্প কোমল দহল প্রচণ্ড গতকাল সোমবার কাঠমান্ডুর একটি সুরম্য বাড়িতে উঠেছেন। অবশ্য বাড়িটি তিনি ভাড়া নিয়েছেন। ভোগবিলাসে মত্ত রাজপরিবার ও অভিজাত শ্রেণীর বিরুদ্ধে কয়েক দশকের ‘গণযুদ্ধে’ নেতৃত্ব দেওয়া প্রচণ্ড সাধারণ জীবন ছেড়ে বিলাসবহুল বাড়িতে ওঠায় অনেক মাওবাদীর মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
প্রচণ্ডর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কাঠমান্ডুর ব্যস্ততম এলাকার যে ১৫ কক্ষের ভাড়াবাড়িতে তিনি উঠেছেন, সেটা ১৬ হাজার বর্গফুটবিশিষ্ট। বাড়িটিতে এক ডজনেরও বেশি গাড়ি পার্কিং করার ব্যবস্থা ছাড়াও রয়েছে টেবিল টেনিস খেলার একটি কক্ষ। নতুন এই বাড়ির জন্য ভাড়া গুনতে হবে মাসে এক লাখ রুপিরও বেশি। অনেক দেশের জন্য এটা খুব একটা বেশি না হলেও এই পরিমাণটা দারিদ্র্যপীড়িত নেপালের বার্ষিক গড় মাথাপিছু আয়ের তিন গুণ। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বাড়িটির নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন সরকার প্রদত্ত ৭০ জন নিরাপত্তাকর্মী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক মাওবাদী নেতা মুমারাম খানালের মতে, মাওবাদীরা তাদের লক্ষ্য-আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। তারা সমাজতন্ত্রের লেবাস পরে থাকে। অথচ তারাই আবার বুর্জোয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এখন তারা মুখে মুখেই বিপ্লবী, কাজে নয়।
মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড বেড়ে ওঠেন দক্ষিণ নেপালের প্রত্যন্ত একটি গ্রামের দরিদ্র এক কৃষক পরিবারে। আশপাশের মানুষের দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রামের বাস্তব চিত্র কাছে থেকে প্রত্যক্ষ করেন তিনি। পরে তাদের পাশে দাঁড়ানোর সংকল্প থেকেই দীক্ষিত হন মাওবাদী মন্ত্রে। ১৯৯৬ সালে তিনি মাওবাদীদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের হাল ধরেন। ওই আন্দোলনই ২০০৮ সালে ক্ষমতাচ্যুত করে নেপালের শাহ রাজপরিবারকে। বুর্জোয়াবিরোধী কয়েক দশকের দীর্ঘ এ সংগ্রামে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৬ হাজার মানুষ।
প্রচণ্ড পরে স্বল্প সময়ের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি ক্ষমতাসীন মাওবাদী দলের চেয়ারম্যান এবং কাঠমান্ডুর একটি আসনের এমপি।
প্রচণ্ডর ব্যক্তিগত সহকারী সমির দহল বলেন, আগের বাড়িটি অনেক ছোট ছিল। বিশ্বনেতারা এলে সেখানে জায়গার সংকুলান হতো না। এ ছাড়া আগের বাড়িতে নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় ওই বাড়ি ছেড়ে নতুন এই বাড়িতে উঠেছেন প্রচণ্ড। এএফপি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক মাওবাদী নেতা মুমারাম খানালের মতে, মাওবাদীরা তাদের লক্ষ্য-আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। তারা সমাজতন্ত্রের লেবাস পরে থাকে। অথচ তারাই আবার বুর্জোয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এখন তারা মুখে মুখেই বিপ্লবী, কাজে নয়।
মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড বেড়ে ওঠেন দক্ষিণ নেপালের প্রত্যন্ত একটি গ্রামের দরিদ্র এক কৃষক পরিবারে। আশপাশের মানুষের দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রামের বাস্তব চিত্র কাছে থেকে প্রত্যক্ষ করেন তিনি। পরে তাদের পাশে দাঁড়ানোর সংকল্প থেকেই দীক্ষিত হন মাওবাদী মন্ত্রে। ১৯৯৬ সালে তিনি মাওবাদীদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের হাল ধরেন। ওই আন্দোলনই ২০০৮ সালে ক্ষমতাচ্যুত করে নেপালের শাহ রাজপরিবারকে। বুর্জোয়াবিরোধী কয়েক দশকের দীর্ঘ এ সংগ্রামে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৬ হাজার মানুষ।
প্রচণ্ড পরে স্বল্প সময়ের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি ক্ষমতাসীন মাওবাদী দলের চেয়ারম্যান এবং কাঠমান্ডুর একটি আসনের এমপি।
প্রচণ্ডর ব্যক্তিগত সহকারী সমির দহল বলেন, আগের বাড়িটি অনেক ছোট ছিল। বিশ্বনেতারা এলে সেখানে জায়গার সংকুলান হতো না। এ ছাড়া আগের বাড়িতে নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় ওই বাড়ি ছেড়ে নতুন এই বাড়িতে উঠেছেন প্রচণ্ড। এএফপি।
No comments