ক্রিকেটের দুঃসময় by আসিফ আহমেদ
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল কোথাও খেলছে না, কিন্তু ক্রিকেট বোর্ড এবং দলের অনেক খেলোয়াড় বেশ আলোচনায়। কয়েকদিন আগে বোর্ড জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং সহঅধিনায়ক তামিম ইকবালকে দায়িত্ব থেকে 'বরখাস্ত' করেছে। তাদের অপরাধ 'গুরুতর'।
জিম্বাবুয়েতে সফর চলাকালে তারা শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। যাদের কাজ ব্যাট দিয়ে বল পেটানো তারা আরও কিছু ভাঙতেই পারেন। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, ম্যানেজমেন্টের এক বা একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি খেলা চলাকালে ড্রেসিংরুমে গেলে খেলোয়াড়রা যৌথভাবেই আপত্তি করেন। এটাই নাকি বিশ্বব্যাপী রেওয়াজ_ ড্রেসিংরুমে কেবলই খেলোয়াড়দের অধিকার। কিন্তু বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্টের কাছে এটা মনে হয়েছে চরম বেয়াদবি। মহিলা খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে অবাধে প্রবেশের অধিকার তারা চান কি-না, সেটা এখন পর্যন্ত কেউ বলেনি। তবে আমাদের খেলাধুলার জগতের ব্যবস্থাপনায় এমন অনেকে বিভিন্ন সময়ে এসেছেন, যাদের অধিকার-সীমা সম্পর্কে কোনো ধারণা রয়েছে বলে মনে হয় না। এর কারণ হতে পারে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা কিংবা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সখ্য। সাকিব ও তামিম সম্প্রতি 'বাংলাদেশের মান-বিবেচনায়' যথেষ্ট ভালো খেলছেন। দু'জনকেই ইংলিশ কাউন্টি খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কারও চেষ্টা-তদবিরে এমনটি হওয়ার সুযোগ নেই। ভারতে কোটি কোটি টাকার আইপিএলে খেলাও যোগ্যতার পরিচায়ক। সৌরভ গাঙ্গুলি অনেক চেষ্টা করেও শাহরুখ খানের ক্যালকাটা নাইট রাইডার্স দলে সুযোগ পাননি, সেখানে সাকিব খেলেছেন। তাকে বিশ্বসেরাদের দলে এখনই ফেলার কথা ভাবা ঠিক নয়। কিন্তু ক্রিকেটের অঙ্গন তাকে মূল্য দেয়_ এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যানেজমেন্টের বোধ হয় এমনটি সহ্য হয়নি। তাদের কেউ কেউ হয়তো এমনটি ভেবেছেন, সবাই থাকবে তাদের অনুগত।
খেলোয়াড়রা অসদাচরণ করতেই পারেন। ভারত-ব্রিটেনের বড় আসরে ডাক পেয়ে তাদের মাথা ঘুরে যেতে পারে। এ সমস্যা আমাদের সমাজে আরও কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু সমাধানের জন্য ক্রিকেট বোর্ড যে পথ বেছে নিয়েছে, তা সমর্থন করা কঠিন।
ক্রিকেট এখন বিগ বাজেটের খেলা। বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে অন্তত ১০০ কোটি টাকা। এমনও বলা যায়, চারদিকে টাকা উড়ছে। এ অবস্থায় খেলা গোল্লায় যাক, টাকার ভাগ চাই_ এমন মনোভাব অনেকের মধ্যে থাকা স্বাভাবিক। কেউ কেউ হয়তো বোর্ডে যুক্ত থাকেন নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়ার জন্যই। অন্য দেশেও এমনটি ঘটে থাকে। তারা ভুলে যান, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের কারণেই তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে গুরুত্ব পান। দলের মধ্যে বিভেদ তৈরি হলে, সবাই একযোগে ভালো খেলতে না পারলে তাতে অবজ্ঞা বাড়বে আমাদের জাতীয় দলের প্রতি। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আমাদের দলের পারফরম্যান্স মোটামুটি। ইংল্যান্ডের যে দল এখন ভারতকে নাচাচ্ছে, সে দলটিকেই বাংলাদেশ হারিয়েছিল। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে আমাদের দলটি একেবারে বিনাযুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে বসে। জিম্বাবুয়ে এক সময় বাংলাদেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিল। কিন্তু রাজনীতির কারণে দলটির অনেক ভালো খেলোয়াড় সরে যেতে বাধ্য হন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলও নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করে। এখন আবার তারা ভালো খেলতে শুরু করেছে। সাবেক 'গ্রেটদের' কেউ কেউ ফিরে এসেছেন। তাদের সঙ্গে কুলিয়ে ওঠা এখন বাংলাদেশের পক্ষে সহজ নয়। যারা দলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন তাদের এ পরিবর্তিত পরিস্থিতি বুঝতে হবে। ভারতের ক্রিকেটেও এখন দুর্দিন চলছে। শ্রীলংকাও ভালো নেই। আর পাকিস্তান তো আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। বলা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেট এখন সার্বিকভাবে দুঃসময় অতিক্রম করছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্ণধারদের এ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আছে কি? নাকি তাদের মূল নজর ১০০ কোটি টাকার প্রতি? এ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। তবে সময় যে অশনিসংকেত দিচ্ছে, তাতে সন্দেহ করা চলে না।
খেলোয়াড়রা অসদাচরণ করতেই পারেন। ভারত-ব্রিটেনের বড় আসরে ডাক পেয়ে তাদের মাথা ঘুরে যেতে পারে। এ সমস্যা আমাদের সমাজে আরও কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু সমাধানের জন্য ক্রিকেট বোর্ড যে পথ বেছে নিয়েছে, তা সমর্থন করা কঠিন।
ক্রিকেট এখন বিগ বাজেটের খেলা। বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে অন্তত ১০০ কোটি টাকা। এমনও বলা যায়, চারদিকে টাকা উড়ছে। এ অবস্থায় খেলা গোল্লায় যাক, টাকার ভাগ চাই_ এমন মনোভাব অনেকের মধ্যে থাকা স্বাভাবিক। কেউ কেউ হয়তো বোর্ডে যুক্ত থাকেন নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়ার জন্যই। অন্য দেশেও এমনটি ঘটে থাকে। তারা ভুলে যান, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের কারণেই তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে গুরুত্ব পান। দলের মধ্যে বিভেদ তৈরি হলে, সবাই একযোগে ভালো খেলতে না পারলে তাতে অবজ্ঞা বাড়বে আমাদের জাতীয় দলের প্রতি। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আমাদের দলের পারফরম্যান্স মোটামুটি। ইংল্যান্ডের যে দল এখন ভারতকে নাচাচ্ছে, সে দলটিকেই বাংলাদেশ হারিয়েছিল। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে আমাদের দলটি একেবারে বিনাযুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে বসে। জিম্বাবুয়ে এক সময় বাংলাদেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিল। কিন্তু রাজনীতির কারণে দলটির অনেক ভালো খেলোয়াড় সরে যেতে বাধ্য হন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলও নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করে। এখন আবার তারা ভালো খেলতে শুরু করেছে। সাবেক 'গ্রেটদের' কেউ কেউ ফিরে এসেছেন। তাদের সঙ্গে কুলিয়ে ওঠা এখন বাংলাদেশের পক্ষে সহজ নয়। যারা দলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন তাদের এ পরিবর্তিত পরিস্থিতি বুঝতে হবে। ভারতের ক্রিকেটেও এখন দুর্দিন চলছে। শ্রীলংকাও ভালো নেই। আর পাকিস্তান তো আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। বলা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেট এখন সার্বিকভাবে দুঃসময় অতিক্রম করছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্ণধারদের এ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আছে কি? নাকি তাদের মূল নজর ১০০ কোটি টাকার প্রতি? এ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। তবে সময় যে অশনিসংকেত দিচ্ছে, তাতে সন্দেহ করা চলে না।
No comments