দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভুল!
কেবল কর্তৃপক্ষের ভুলের জন্য থমকে গেছে ৯৭৫ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন। তাঁরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের এই উত্তরণ পতনে পরিণত হয়েছে শিক্ষকদের ভুলে। প্রশ্নপত্রে ভুল, উত্তরপত্র মূল্যায়নে ভুল; ভুলের পর ভুল করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন তাঁদের আবার ৯ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষায় বসতে বলছে।
এ রকম অনিশ্চয়তার মধ্যে কেবল একটি শিক্ষাবছরই নয়, অনেকের শিক্ষাজীবনও হুমকির মধ্যে পড়বে। গত রোববার শত শত শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভও করেছেন।
২৮ অক্টোবর ‘গ’ ইউনিটের ৯৭৫টি আসনের বিপরীতে ৩৮ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। ৩১ অক্টোবর ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, দুই হাজার ৭২৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু এই ফল নিয়ে অভিযোগ উঠলে ২ নভেম্বর পুনর্মূল্যায়িত ফল প্রকাশ করা হয়। এবার পাস করেন ছয় হাজার ৯৪ জন। তবে বাদ পড়ে যান প্রথমবার উত্তীর্ণ ১৯৪ জন। পাসের ব্যবধান ভুলের পরিমাণকেও নির্ণয় করে।
প্রথমবার ফল পরিবর্তনের কারণ ছিল উত্তরপত্রের ১২টি অসংগতি। এই ভুলের গোঁজামিল দিয়েই সংশোধিত ফল প্রকাশিত হয়। সেই ফলও বাতিল হওয়ায় দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন অসংখ্য শিক্ষার্থী। সোমবারের প্রথম আলোর খবরে প্রকাশ, ভর্তি-প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত শিক্ষকেরা কেবল প্রশ্নপত্র তৈরিতেই ভুল করেননি, সেই ভুলের সংশোধনেও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। পরিহাস হচ্ছে, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের ১৭ দিনের মাথাতেও সেটি বৈঠকে বসতে পারেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার স্বার্থে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বলা বাহুল্য, সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনেকেই বাদ পড়তে পারেন। তাঁদের অনেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত জেনে অন্যত্র চেষ্টাও করেননি। যেখানে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ, সেখানে তাঁরা কোথায় যাবেন? দ্বিতীয়ত, হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে আবার দূর-দূরান্ত থেকে ঢাকায় এসে ভর্তি পরীক্ষা দিতে বলাটাও পরিহাস নয় কি?
আমরা আশা করব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভুলের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়ে ভবিষ্যতে ভুলের পথ বন্ধ করবে। এ ছাড়া ৯ ডিসেম্বরের পরীক্ষার ব্যয়ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বহন করা উচিত। তাদের ভুলের খেসারত কেন শিক্ষার্থীরা দেবেন?
২৮ অক্টোবর ‘গ’ ইউনিটের ৯৭৫টি আসনের বিপরীতে ৩৮ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। ৩১ অক্টোবর ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, দুই হাজার ৭২৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু এই ফল নিয়ে অভিযোগ উঠলে ২ নভেম্বর পুনর্মূল্যায়িত ফল প্রকাশ করা হয়। এবার পাস করেন ছয় হাজার ৯৪ জন। তবে বাদ পড়ে যান প্রথমবার উত্তীর্ণ ১৯৪ জন। পাসের ব্যবধান ভুলের পরিমাণকেও নির্ণয় করে।
প্রথমবার ফল পরিবর্তনের কারণ ছিল উত্তরপত্রের ১২টি অসংগতি। এই ভুলের গোঁজামিল দিয়েই সংশোধিত ফল প্রকাশিত হয়। সেই ফলও বাতিল হওয়ায় দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন অসংখ্য শিক্ষার্থী। সোমবারের প্রথম আলোর খবরে প্রকাশ, ভর্তি-প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত শিক্ষকেরা কেবল প্রশ্নপত্র তৈরিতেই ভুল করেননি, সেই ভুলের সংশোধনেও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। পরিহাস হচ্ছে, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের ১৭ দিনের মাথাতেও সেটি বৈঠকে বসতে পারেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার স্বার্থে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বলা বাহুল্য, সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনেকেই বাদ পড়তে পারেন। তাঁদের অনেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত জেনে অন্যত্র চেষ্টাও করেননি। যেখানে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ, সেখানে তাঁরা কোথায় যাবেন? দ্বিতীয়ত, হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে আবার দূর-দূরান্ত থেকে ঢাকায় এসে ভর্তি পরীক্ষা দিতে বলাটাও পরিহাস নয় কি?
আমরা আশা করব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভুলের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিয়ে ভবিষ্যতে ভুলের পথ বন্ধ করবে। এ ছাড়া ৯ ডিসেম্বরের পরীক্ষার ব্যয়ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বহন করা উচিত। তাদের ভুলের খেসারত কেন শিক্ষার্থীরা দেবেন?
No comments