বাজার উচ্ছেদ ও সংযোগ সড়ক নির্মিত হোক-ঢাকার রিংরোড
সড়কের ওপর বাজার বসেছে, তার জন্য পূর্ণ হচ্ছে না ৩৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রিংরোডের রিংটি। যেখানে তা মিলবার কথা, সেই বুড়িগঙ্গাসংলগ্ন বাদামতলীতে সড়কের জায়গা দখল করে আছে ফল ও সবজির বাজার। অন্যদিকে, মাজার রোড থেকে গাবতলী পর্যন্ত অংশে নেই ১০০ মিটারের একটি সংযোগ সড়ক।
দৃশ্যত, সমস্যা দুটি ছোট হলেও গত এক দশকে এর সমাধান হয়নি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) এক উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর ভাষ্য হলো, এই বাজার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদে নাকি সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত দরকার! উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া আইন ও নিয়ম অচল হয়ে থাকলে কীভাবে চলবে দেশ?
টঙ্গী থেকে পোস্তগোলা সেতু পর্যন্ত সাড়ে ৩৪ কিলোমিটারের এই সড়কটি তৈরি করা হয়েছিল ঢাকার ওপর যানবাহনের চাপ কমানোর জন্য। ঢাকা রক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে নির্মিত এই সড়কটি নির্মিত হয়েছিল ২০০০ সালে। ২০০১ সালে এর নিয়ন্ত্রণ পায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন সওজ বিভাগ। সড়কটি পূর্ণভাবে চালু থাকলে ঢাকার একদিকের নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ, অন্যদিকে টঙ্গী-সাভার-মানিকগঞ্জের মানুষের ঢাকামুখী চলাচল অনেক সহজ হয়ে যেত। কিন্তু পুরান ঢাকার দিকে ফলের বাজার আর মিরপুরের দিকে ১০০ মিটারের সংযোগ সড়ক না থাকায় সহজ চলাচল হয়ে পড়ছে আরও কঠিন। বারবার যানবাহন বদল করা এবং অজস্র জায়গায় ভাঙাচোরা থাকার জন্য সড়কটি চলাচলের যোগ্যতা হারাতে বসছে।
সড়কটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। কিন্তু যেহেতু ২০০১ সাল থেকে সওজই এর দায়িত্বে, সেহেতু তাদেরই সড়কের ওপর থাকা যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা দূর করার কথা। তা না করে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর তা ফেলে রাখা কেবল উদাসীনতাই নয়, দায়িত্বহীনতাও বটে।
বাজারের কর্ণধারদের দাবিমতে, বাদামতলীর ফল ও সবজির বাজারের অনুমোদন যদি সিটি করপোরেশন দিয়ে থাকে, তাহলে দ্রুতই সিটি করপোরেশনকেও জবাবদিহি করতে হবে এবং বাজার দুটি সরিয়ে নেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মাত্র ১০০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে তহবিল ঘাটতির কথাও যুক্তিযুক্ত নয়। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ করা হলেও গোড়াতেই কেন তা সম্পন্ন করা হলো না? প্রশ্নগুলো সহজ, কিন্তু সরকারি কর্তৃপক্ষের জন্য উত্তর দেওয়া কঠিন।
এ প্রসঙ্গে ঢাকার চারপাশে চক্রাকার নৌপথের কথা বলা যায়। দশক পেরিয়ে গেলেও তা কেন চালু হচ্ছে না? ঢাকার সড়কের ওপর যানবাহনের চাপ এবং মানুষের দুঃসহ ভোগান্তি কমানোর বেলায় কেন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এত গড়িমসি করে?
টঙ্গী থেকে পোস্তগোলা সেতু পর্যন্ত সাড়ে ৩৪ কিলোমিটারের এই সড়কটি তৈরি করা হয়েছিল ঢাকার ওপর যানবাহনের চাপ কমানোর জন্য। ঢাকা রক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে নির্মিত এই সড়কটি নির্মিত হয়েছিল ২০০০ সালে। ২০০১ সালে এর নিয়ন্ত্রণ পায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন সওজ বিভাগ। সড়কটি পূর্ণভাবে চালু থাকলে ঢাকার একদিকের নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ, অন্যদিকে টঙ্গী-সাভার-মানিকগঞ্জের মানুষের ঢাকামুখী চলাচল অনেক সহজ হয়ে যেত। কিন্তু পুরান ঢাকার দিকে ফলের বাজার আর মিরপুরের দিকে ১০০ মিটারের সংযোগ সড়ক না থাকায় সহজ চলাচল হয়ে পড়ছে আরও কঠিন। বারবার যানবাহন বদল করা এবং অজস্র জায়গায় ভাঙাচোরা থাকার জন্য সড়কটি চলাচলের যোগ্যতা হারাতে বসছে।
সড়কটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। কিন্তু যেহেতু ২০০১ সাল থেকে সওজই এর দায়িত্বে, সেহেতু তাদেরই সড়কের ওপর থাকা যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা দূর করার কথা। তা না করে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর তা ফেলে রাখা কেবল উদাসীনতাই নয়, দায়িত্বহীনতাও বটে।
বাজারের কর্ণধারদের দাবিমতে, বাদামতলীর ফল ও সবজির বাজারের অনুমোদন যদি সিটি করপোরেশন দিয়ে থাকে, তাহলে দ্রুতই সিটি করপোরেশনকেও জবাবদিহি করতে হবে এবং বাজার দুটি সরিয়ে নেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মাত্র ১০০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে তহবিল ঘাটতির কথাও যুক্তিযুক্ত নয়। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ করা হলেও গোড়াতেই কেন তা সম্পন্ন করা হলো না? প্রশ্নগুলো সহজ, কিন্তু সরকারি কর্তৃপক্ষের জন্য উত্তর দেওয়া কঠিন।
এ প্রসঙ্গে ঢাকার চারপাশে চক্রাকার নৌপথের কথা বলা যায়। দশক পেরিয়ে গেলেও তা কেন চালু হচ্ছে না? ঢাকার সড়কের ওপর যানবাহনের চাপ এবং মানুষের দুঃসহ ভোগান্তি কমানোর বেলায় কেন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এত গড়িমসি করে?
No comments