সংবাদ সম্মেলনে মহিলা পরিষদ-হিন্দু বিবাহ আইনের সংস্কার জরুরি
হিন্দু মৌলবাদীদের আপত্তি ও বিভিন্ন সময়ে সরকারের দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারণে দেশে এখনো একটি পূর্ণাঙ্গ হিন্দু বিবাহ আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নি। অথচ প্রচলিত হিন্দু বিবাহ আইনের সংস্কার জরুরি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অবিলম্বে হিন্দু বিবাহ আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, বৈষম্যমূলক নাকরিকত্ব আইনের সংস্কার করা সম্ভব। কিন্তু নারীর ব্যক্তি অধিকারের জায়গায় সংস্কার করতে গেলেই প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিভিন্ন সময়ে সরকারও এ বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগেছে। তাই সরকারকে প্রচলিত হিন্দু বিবাহ আইন সংস্কার করে নতুন আইন তৈরির কথা আবারও মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছর মহিলা পরিষদ ও অন্য কয়েকটি সংগঠন সম্মিলিতভাবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির কাছে এবং ১২ জানুয়ারি আইনমন্ত্রীর কাছে হিন্দু বিবাহ আইনের একটি খসড়া জমা দিয়েছে। আশির দশক থেকেই মহিলা পরিষদ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু কোনো সরকারই এই জরুরি কাজটি করতে এগিয়ে আসেনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান পরিষদের আইনজীবী রামলাল রাহা। এতে বলা হয়, হিন্দু বিয়ের বিষয়ে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া কোনো পূর্ণাঙ্গ আইন দেশে নেই। বিবাহিত হিন্দু নারীর পৃথক বাসস্থান ও ভরণপোষণ আইন, হিন্দু বিধবা বিবাহ আইনের মতো কিছু আইন এত পুরোনো যে তা সময়ের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।
রামলাল রাহা বলেন, প্রচলিত হিন্দু বিয়ের আইনগত কোনো প্রমাণ বা দলিল থাকে না। হিন্দু বিয়ের নিবন্ধন হচ্ছে না। নারীর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটানোর বিধানও নেই। এই সুযোগে একজন হিন্দু পুরুষ একাধিক বিয়ে করছেন। অন্যদিকে আগের স্ত্রী ও সন্তানকে প্রাপ্য ভরণপোষণ দিচ্ছেন না। সম্পত্তির অধিকার থেকেও বঞ্চিত করছেন। অনেক ক্ষেত্রে স্ত্রী-সন্তানকে পুরোপুরি অস্বীকার করে বসছেন। এসব ক্ষেত্রে হিন্দু নারীর করার কিছুই থাকছে না।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু ও অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, বৈষম্যমূলক নাকরিকত্ব আইনের সংস্কার করা সম্ভব। কিন্তু নারীর ব্যক্তি অধিকারের জায়গায় সংস্কার করতে গেলেই প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিভিন্ন সময়ে সরকারও এ বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগেছে। তাই সরকারকে প্রচলিত হিন্দু বিবাহ আইন সংস্কার করে নতুন আইন তৈরির কথা আবারও মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছর মহিলা পরিষদ ও অন্য কয়েকটি সংগঠন সম্মিলিতভাবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির কাছে এবং ১২ জানুয়ারি আইনমন্ত্রীর কাছে হিন্দু বিবাহ আইনের একটি খসড়া জমা দিয়েছে। আশির দশক থেকেই মহিলা পরিষদ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু কোনো সরকারই এই জরুরি কাজটি করতে এগিয়ে আসেনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান পরিষদের আইনজীবী রামলাল রাহা। এতে বলা হয়, হিন্দু বিয়ের বিষয়ে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া কোনো পূর্ণাঙ্গ আইন দেশে নেই। বিবাহিত হিন্দু নারীর পৃথক বাসস্থান ও ভরণপোষণ আইন, হিন্দু বিধবা বিবাহ আইনের মতো কিছু আইন এত পুরোনো যে তা সময়ের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।
রামলাল রাহা বলেন, প্রচলিত হিন্দু বিয়ের আইনগত কোনো প্রমাণ বা দলিল থাকে না। হিন্দু বিয়ের নিবন্ধন হচ্ছে না। নারীর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটানোর বিধানও নেই। এই সুযোগে একজন হিন্দু পুরুষ একাধিক বিয়ে করছেন। অন্যদিকে আগের স্ত্রী ও সন্তানকে প্রাপ্য ভরণপোষণ দিচ্ছেন না। সম্পত্তির অধিকার থেকেও বঞ্চিত করছেন। অনেক ক্ষেত্রে স্ত্রী-সন্তানকে পুরোপুরি অস্বীকার করে বসছেন। এসব ক্ষেত্রে হিন্দু নারীর করার কিছুই থাকছে না।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু ও অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments