রমজানে চাঁদাবাজি-শক্ত হাতে দমন করতে হবে
ডিব্বা লিটন, কালা বাবু, ফুট দুলাল এবং তাদের মতো চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীর হাতে জিম্মি হয়ে আছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানি ও ব্যবসায়ীরা। ডিব্বা, কালা কিংবা ফুট বিশেষণযুক্ত নাম দিয়েই বোঝা যায় তাদের অবস্থান। আবার এ ধরনের বিশেষণ ছাড়াও চাঁদাবাজ আছে। প্রকাশ্যেই তারা চাঁদাবাজি করে। যেভাবে বাড়ির মালিক ভাড়া আদায় করতে যান ভাড়াটের কাছে, তেমনি তাদের যেতে দেখা যায় দোকানি-ব্যবসায়ীদের কাছে। মাস গেলেই তাদের পয়সা চাই।
এটা গুটিকয়েক চাঁদাবাজের কথা। কিন্তু বিশেষ উপলক্ষ এলে, বিশেষ করে ঈদ-পূজায় তাদের দাপটে টিকে ওঠা দায় হয়ে পড়ে ব্যবসায়ীদের। সংখ্যা এবং চাঁদার পরিমাণ বেড়ে যায় তখন। কোনো বিচার-বিশ্লেষণ করার সুযোগ নেই কারো। অতিষ্ঠ হয়ে কেউ পুলিশের কাছে গেলে উল্টো তাঁকেই হয়রানির শিকার হতে হয়। এমন অবস্থা মোটামুটি সারা দেশেই বিরাজমান। কালেভদ্রে দু-একটি ঘটনার কথা পত্রিকায় প্রকাশ পেয়ে থাকে। যেমন হয়েছে ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ে একটি প্রতিবেদন। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এই সংবাদ পড়ে যে কারো ধারণা হতে পারে, এ দেশে আইনের শাসন বলতে বুঝি আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ থেকেই বেরিয়ে আসে চাঁদাবাজদের ঔদ্ধত্য আর দাপটের কথা।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই অনাচারের পরিসমাপ্তির উপায় কী? ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয় পেয়ে চাঁদাবাজরা যখন শান্তি কেড়ে নেয়, তখন এর দায় ক্ষমতাসীনদের নিতে হবে। এটা স্পষ্টতই সরকারের ওপর গিয়ে বর্তায়। কিন্তু এ দেশের সরকারগুলো কখনোই তাদের নিজেদের ক্যাডারদের দমন করে সাধারণ মানুষকে তাদের পেশা চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে না। মনে হয়, এটুকু যেন ক্যাডারদের পাওনা বিষয়। এই অনাচার পরিচালনায় যখন পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আসে, তখন সাধারণ মানুষের হতাশ হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। কারণ পুলিশ তাদের লালন করে বলে ভুক্তভোগীরা বরাবরই অভিযোগ করে থাকে। সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের চাঁদা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের তোয়াজ করে চলার অদ্ভুত একটি রেওয়াজও আছে ওই এলাকায়। এদের ভাইয়া কিংবা ভাইজান নামে সম্বোধন করে থাকে দোকানি-ব্যবসায়ীরা।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে কর্মরত পুলিশের সততা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি সরকারের দায়িত্ববোধে ব্যর্থতা চিহ্নিত করে এই সব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সাধারণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে সরকারের জনপ্রিয়তা কমতে কমতে শূন্যের কোঠায় চলে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। সরকারের আন্তরিকতা এর জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। কারণ সরকারি দলের কর্মী-সমর্থকদের দ্বারাই এসব ঘটনা ঘটে থাকে। তাই শুদ্ধি অভিযান চালাতে হলে আগে সরকারি দলের ভেতর থেকেই চালাতে হবে। এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি। সুতরাং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব ক্যাডারের লাগাম টেনে ধরতে হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই অনাচারের পরিসমাপ্তির উপায় কী? ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয় পেয়ে চাঁদাবাজরা যখন শান্তি কেড়ে নেয়, তখন এর দায় ক্ষমতাসীনদের নিতে হবে। এটা স্পষ্টতই সরকারের ওপর গিয়ে বর্তায়। কিন্তু এ দেশের সরকারগুলো কখনোই তাদের নিজেদের ক্যাডারদের দমন করে সাধারণ মানুষকে তাদের পেশা চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে না। মনে হয়, এটুকু যেন ক্যাডারদের পাওনা বিষয়। এই অনাচার পরিচালনায় যখন পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আসে, তখন সাধারণ মানুষের হতাশ হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। কারণ পুলিশ তাদের লালন করে বলে ভুক্তভোগীরা বরাবরই অভিযোগ করে থাকে। সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের চাঁদা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের তোয়াজ করে চলার অদ্ভুত একটি রেওয়াজও আছে ওই এলাকায়। এদের ভাইয়া কিংবা ভাইজান নামে সম্বোধন করে থাকে দোকানি-ব্যবসায়ীরা।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে কর্মরত পুলিশের সততা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি সরকারের দায়িত্ববোধে ব্যর্থতা চিহ্নিত করে এই সব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সাধারণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে সরকারের জনপ্রিয়তা কমতে কমতে শূন্যের কোঠায় চলে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। সরকারের আন্তরিকতা এর জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। কারণ সরকারি দলের কর্মী-সমর্থকদের দ্বারাই এসব ঘটনা ঘটে থাকে। তাই শুদ্ধি অভিযান চালাতে হলে আগে সরকারি দলের ভেতর থেকেই চালাতে হবে। এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি। সুতরাং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব ক্যাডারের লাগাম টেনে ধরতে হবে।
No comments