মিরপুর মুক্ত দিবস আজ

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) প্রায় ৯৪ হাজার সেনাসহ আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। কিন্তু তারও ৪৬ দিন পর ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয় রাজধানীর মিরপুর এলাকা।


এ জন্য মিরপুরকে বলা হয় বাংলার শেষ রণাঙ্গন। মিরপুরের সেদিনের যুদ্ধে জিয়াউল হক লোদী, সেলিমসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
মিরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে ২৮ জানুয়ারি থেকে মিরপুর সাংস্কৃতিক ঐক্য ফোরাম এক উৎসবের আয়োজন করে। চার দিনব্যাপী এ উৎসব শেষ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার।
মুক্তিযুদ্ধকালে গোটা মিরপুর এলাকা বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছিল। রাজধানীর মধ্যেও মিরপুরে বধ্যভূমির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এখানেই শহীদ হয়েছেন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হান, কবি মেহেরুন্নেছাসহ অনেক বুদ্ধিজীবী। মিরপুরের মাজার, সিদ্ধান্ত বাড়ি ও আরও কিছু স্থান আজও মুক্তিযুদ্ধের চিহ্ন বহন করে চলেছে।
আজ মিরপুরের এসব বধ্যভূমিতে সন্ধ্যা ছয়টায় মোট নয়টি মঞ্চে একযোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পথনাটক অনুষ্ঠিত হবে। মঞ্চগুলোর স্থান: বাঙলা কলেজ বধ্যভূমি, জল্লাদখানা, সারেংবাড়ী, মুসলিমবাজার, আলুব্দি, কালাপানি, শিয়ালবাড়ী, রাইনখোলা ও কল্যাণপুর বধ্যভূমি। ২৮ জানুয়ারি এই উৎসব শুরু হয়।

No comments

Powered by Blogger.