আজহারের পাশে সৌরভ

পৃথিবীর একপ্রান্তে মাঠে খেলা চলছে তো অন্য প্রান্তের কেউ ম্যাচ গড়াপেটার নতুন কোনো গল্প বলে বেড়াচ্ছেন। এই হলো আধুনিক ক্রিকেটের হাল! যেমন অতি সম্প্রতি ১৯৯৬ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে টস জিতে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তকে 'প্রশ্নবিদ্ধ' করেছেন বিনোদ কাম্বলি। তবে এ ইস্যুতে অভিযুক্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলী।


আরেক সাবেক অধিনায়ক কপিল দেবও অনুচ্চারে কাম্বলির অহেতুক অভিযোগের সমালোচনাই করেছেন। তবে ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নাকি খুবই গুরুত্বের সঙ্গেই নিচ্ছে বিষয়টি!
ইডেন গার্ডেনসে অনুষ্ঠিত ভারত-শ্রীলঙ্কা ১৯৯৬ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল ম্যাচ শেষ হতে পারেনি দর্শক হাঙ্গামার কারণে। পরে শ্রীলঙ্কাকে বিজয়ী ঘোষণা করে আইসিসি। যে পরিণতির জন্য সম্প্রতি তৎকালীন ভারতীয় অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের দিকে সন্দেহের আঙ্গুল তুলেছেন বিনোদ কাম্বলি, 'টস জিতে অধিনায়কের ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা ঠিক স্বাভাবিক ছিল না।' ভারতীয় সাবেক এ ক্রিকেটারের সন্দেহের ব্যাপারে একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ গাঙ্গুলীর মন্তব্য, 'আমি আজহারের সমব্যথী। ওই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর কারণটা অনুমান করতে পারি। ওই টুর্নামেন্টেই দিলি্লতে ভারতের ২৭০ রানের টার্গেট অনায়াসে টপকে গিয়েছিল লঙ্কানরা। এ অবস্থায় পরের ম্যাচে সিদ্ধান্ত পাল্টানো অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়।'
তবে অভিযোগের জবাব অভিযুক্তের মুখেই সবাই শুনতে চান। আজহারউদ্দিনের প্রতি সে আহ্বানও জানিয়েছেন সৌরভ, 'আজহারের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত। এটা তাঁর ব্যাপার। কারণ এটা নিয়ে অনেক বেশি ফিসফাস হচ্ছে।'
বিনোদ কাম্বলির অভিযোগের ব্যাপারে সরাসরি কোনো রায় না দিয়ে একটি মন্তব্যেই থেমে গেছেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব, 'আজকে ও এ কথা বলছে কেন? তাহলে কি ধরে নিব যে গত ১৫টা বছর ও ঘুমিয়ে ছিল?' পাল্টা এ প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি এ জাতীয় গুঞ্জনকে গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য মিডিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছেন কপিল দেব। তবে তিনিও মানেন যে ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানোর দুষ্টচক্র তৎপর আছে। সে বাধা পেরিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে ক্রিকেট, 'খারাপ মানুষ সব জায়গাতেই আছে। আবার ভালো মানুষও। আমরা ভালো মানুষের পাশে থাকব। ক্রিকেটও এগিয়ে যাবে।'
এদিকে কাম্বলির অভিযোগটাকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিচ্ছেন ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেন, 'আমরা বিষয়টি দেখব। আগে দেখি ক্রিকেট বোর্ড কী পদক্ষেপ নেয়। বোর্ডের পক্ষ থেকে কিছু করা না হলে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অভিযোগটি তদন্ত করবে।' তবে বিসিসিআই বিষয়টাকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছে না, জানিয়েছেন সংস্থার সহসভাপতি রাজিব শুক্লা, 'কাম্বলির অভিযোগ হাস্যকর। আর ভারতীয় বোর্ড কখনো দোষীদের ছাড় দেয়নি।'
উল্লেখ্য, ভারতের হয়ে ১৭ টেস্টে ১০৮৪ এবং ১০৪ ওয়ানডেতে ২৩৭৭ রান করা বিনোদ কাম্বলির অন্য একটি পরিচয়ও ক্রিকেট বিশ্ব জানে_তিনি শচীন টেন্ডুলকারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আবার এটা-ওটা করে মাঠে এবং মাঠের বাইরে আলোচনার খোরাক জোগানোর জন্যও তাঁর 'খ্যাতি' আছে! ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.