উন্নয়ন অন্বেষণের প্রতিবেদন-দীর্ঘমেয়াদি কারসাজিতে বিপর্যয় শেয়ারবাজারে
শেয়ারবাজারের বর্তমান বিপর্যয়ের পেছনে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কাজ করছে। আর এই পরিকল্পনার আওতায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উৎসাহ জুগিয়েছে। এ ছাড়া কতিপয় বড় বিনিয়োগকারী কারসাজি এবং মূলধন লুণ্ঠনের মাধ্যমে সাধারণ মূল্যসূচকের পতন ঘটিয়েছে। আর ক্রমবর্ধমান অস্থিরতায় শেয়ারবাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় পেঁৗছেছে। তবে কারসাজির সঙ্গে জড়িতরা রয়ে
গেছে পর্দার আড়ালে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন অন্বেষণ তাদের অক্টোবর মাসের অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় এমনটাই বলেছে।
সংস্থাটি গবেষণায় দেখিয়েছে, শেয়ারবাজার অনুধাবনে কোনো নির্দিষ্ট সূচক এককভাবে গুরুত্ব বহন না করলেও বাজার মূলধনের পরিমাণ, বাজারের তারল্য অবস্থা, কম্পানির তালিকাভুক্ত, সূচকের ওঠানামা হারসহ নানা দিক বিবেচনায় বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। উন্নয়ন অন্বেষণ তাদের গবেষণায় দেখিয়েছে, ২০০২-০৩ অর্থবছরে বাজার মূলধন ছিল সাত হাজার ২১৬ কোটি টাকা। এর পর থেকেই অস্বাভাবিক হারে বাজার মূলধন বাড়তে থাকে। ২০০৮-০৯ সালের তুলনায় ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাজার মূলধন ১২৭.৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সংস্থাটির মতে, বাজার মূলধন বৃদ্ধির সঙ্গে অর্থনৈতিক গতিধারার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই।
তথ্য পর্যালোচনা করে সংস্থাটি দেখিয়েছে, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে শেয়ারবাজারের মোট টার্নওভার ছিল চার হাজার ৫৯৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আর ২০০৯-১০ সালে এসে টার্নওভার হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার ৩৫৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বর্তমানে শেয়ারবাজারের বিপর্যয়ের কারণে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটময় অবস্থা ও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি এই তারল্য সংকটের অন্যতম কারণ।
সংস্থাটির গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯৬ সালে বিনিয়োগের মূল খাত ছিল প্রকৌশল ও প্রযুক্তি। তবে পরবর্তী সময়ে বাংকিং খাতই এগিয়ে থাকে। বর্তমানে ব্যাংক, বীমা ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড বাজারের ৫৩ শতাংশ দখল করে আছে।
গবেষণায় দেখা যায়, ২০১১ সালে শেয়ারবাজার বিপর্যয়ের পেছনে যেসব বিষয় কাজ করেছে তার মধ্যে রয়েছে, দীর্ঘমেয়াদে বাজারকে চাঙ্গা করা, তারল্য এবং বাজার মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি, সূচক ওঠানামার হার একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকা অন্যতম। সংস্থাটির চেয়ারম্যান রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, 'বিভিন্ন তথ্য এবং উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা শেয়ারবাজারের বিপর্যয়ের কারণ জানার চেষ্টা করেছি। আমরা দেখেছি, বাজারকে অতি মূল্যায়িত করে পরিকল্পিতভাবে শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়েছে। '
সংস্থাটি গবেষণায় দেখিয়েছে, শেয়ারবাজার অনুধাবনে কোনো নির্দিষ্ট সূচক এককভাবে গুরুত্ব বহন না করলেও বাজার মূলধনের পরিমাণ, বাজারের তারল্য অবস্থা, কম্পানির তালিকাভুক্ত, সূচকের ওঠানামা হারসহ নানা দিক বিবেচনায় বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। উন্নয়ন অন্বেষণ তাদের গবেষণায় দেখিয়েছে, ২০০২-০৩ অর্থবছরে বাজার মূলধন ছিল সাত হাজার ২১৬ কোটি টাকা। এর পর থেকেই অস্বাভাবিক হারে বাজার মূলধন বাড়তে থাকে। ২০০৮-০৯ সালের তুলনায় ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাজার মূলধন ১২৭.৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সংস্থাটির মতে, বাজার মূলধন বৃদ্ধির সঙ্গে অর্থনৈতিক গতিধারার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই।
তথ্য পর্যালোচনা করে সংস্থাটি দেখিয়েছে, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে শেয়ারবাজারের মোট টার্নওভার ছিল চার হাজার ৫৯৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আর ২০০৯-১০ সালে এসে টার্নওভার হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার ৩৫৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বর্তমানে শেয়ারবাজারের বিপর্যয়ের কারণে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটময় অবস্থা ও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি এই তারল্য সংকটের অন্যতম কারণ।
সংস্থাটির গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯৬ সালে বিনিয়োগের মূল খাত ছিল প্রকৌশল ও প্রযুক্তি। তবে পরবর্তী সময়ে বাংকিং খাতই এগিয়ে থাকে। বর্তমানে ব্যাংক, বীমা ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড বাজারের ৫৩ শতাংশ দখল করে আছে।
গবেষণায় দেখা যায়, ২০১১ সালে শেয়ারবাজার বিপর্যয়ের পেছনে যেসব বিষয় কাজ করেছে তার মধ্যে রয়েছে, দীর্ঘমেয়াদে বাজারকে চাঙ্গা করা, তারল্য এবং বাজার মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি, সূচক ওঠানামার হার একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকা অন্যতম। সংস্থাটির চেয়ারম্যান রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, 'বিভিন্ন তথ্য এবং উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা শেয়ারবাজারের বিপর্যয়ের কারণ জানার চেষ্টা করেছি। আমরা দেখেছি, বাজারকে অতি মূল্যায়িত করে পরিকল্পিতভাবে শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়েছে। '
No comments