সাফ ফুটবল-তবুও ফেভারিট বাংলাদেশ by কাজী মোনালিসা ইতি
ফিফা র্যাংকিং জানাচ্ছে_ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে। ফুটবল খেলুড়ে দেশগুলোর তালিকায় অবস্থান ১৪১ নম্বরে। যাদের উপমহাদেশের পরাশক্তি গণ্য করা হয়, সেই ভারতীয়দের অবস্থান ১৬০ নম্বরে। এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ (সাফ) ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরুর আগে বাংলাদেশকে তাই পরিষ্কার ফেভারিট মানতে হচ্ছে। সেটি অবশ্য গাণিতিক হিসাবের মানদণ্ডে। বাস্তবতা কি আদৌ তেমন? এ অঞ্চলের ফুটবলের খোঁজখবর যারা রাখেন, তাদের উত্তর নেতিবাচক হওয়ার কারণ নেই!
এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাকিস্তান ও লেবাননের বিপক্ষে দুটি জয়_ সাম্প্রতিক নৈপুণ্য বলছে, উন্নতির পথেই হাঁটছে নিকোলা ইলিয়েভস্কির দলটি। পাকিস্তান ও লেবনানকে র্যাংকিং মানদণ্ডে বিচার করে অনেকেই হয়তো নাক সিঁটকাবেন_ এ আর এমন কি! উল্লেখ করা প্রয়োজন_ পাকিস্তান সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েই বাছাই পর্ব খেলেছে। দলে ছিলেন একাধিক পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ফুটবলার, যারা ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় খেলেন। আর ঢাকায় ম্যাচ খেলতে আসার আগে পাক কোচ তারিক লুৎফি ঘোষণাই দিয়েছিলেন_ বাংলাদেশকে হারাতে না পারলে কোচিং ছেড়ে দেব। দলের ওপর অগাধ আস্থা থেকেই অমন ঘোষণা।
বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে যে লেবাননকে হারিয়েছে বাংলাদেশ, তারা কিন্তু কুয়েতকে ঘরের মাটিতে হারিয়ে এসেছে। র্যাংকিংয়ে ৯৬তম স্থানে থাকা একটি দলকে হারানোর পর লেবাননের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ আদৌ আছে কি? সন্দেহাতীতভাবেই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে তারা। এ সমীকরণে যারা উদ্বেলিত, তাদের বিপরীত মেরুতে নিয়ে যাওয়ার মতো তথ্য হচ্ছে_ সাফ ফুটবলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা কিন্তু বসে নেই। বিশেষ করে ভারত। নিকট অতীতে বাংলাদেশ যেখানে সমশক্তির দেশগুলোর সঙ্গে খেলেছে, সেখানে ভারতীয়দের লড়াই ছিল তুলনামূলক শক্তিধর দেশগুলোর বিপক্ষে। এখানে কিন্তু র্যাংকিংয়ের গাণিতিক হিসাবটা টিকছে না।
তা ছাড়া আসরটির আগে সুপরিকল্পিত প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাগতিকরা; উল্টো চিত্র বাংলাদেশে। এখানকার অস্থিরতা আঁচ করতে পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন নেই। ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে স্থিতিশীলতা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। রণকৌশল সাজানোর দায়িত্ব যার কাঁধে, সেই কোচ নিকোলা ইলিয়েভস্কি অস্থিরতার মিছিলে নিজেকে সামনের কাতারেই রাখছেন! আজ এক কথা বলছেন তো কাল উল্টো সুরে ধরছেন গান। এমিলি, মিঠুন, জাহিদ প্রসঙ্গে ইস্পাতকঠিন মানসিকতা কোমলীয় হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। স্ট্রাইকার সংকটে এমিলিকে স্কোয়াডে নিয়েছেন তিনি। দু'দিন আগেও যে মিঠুন সম্পর্কিত আলোচনায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, সেই মিঠুনকে আবার ক্যাম্পে ডেকে পাঠিয়েছেন। আরেক ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ সম্পর্কে এই মেসিডোনিয়ানের বক্তব্য ছিল_ আমার কৌশলের সঙ্গে সে যায় না। এখন আবার সবুজ-বিষয়ক ভাবনা পেয়ে বসেছে তাকে। কোচকে এ অবস্থায় ঠেলে দিয়েছেন ফুটবল কর্মকর্তারাই। জাতীয় দলের প্রস্তুতির স্বার্থে লীগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তাতে ফুটবলাররা চার মাসের বেশি সময় খেলার বাইরে আছেন। নিজেদের উপযোগী রাখতে কারও মধ্যে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাও নেই। ফলে অধিকাংশ খেলোয়াড় ফিটনেস হারিয়ে বসে আছেন; বিভিন্ন দলের সঙ্গে জাতীয় দলের একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচে যা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এখন সেই কর্মকর্তারাই বলছেন, 'লীগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল ভুল!' কোচের দীর্ঘদিনের দাবি, 'ভালো মানের বিদেশি দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করতে হবে।' হচ্ছে-হবে করে কেটে গেছে সময়। এখন প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যবস্থা হয়েছে ঠিকই। শেষ মুহূর্তে হওয়ায় মানের সঙ্গে আপস করতে হয়েছে। কলকাতায় চিরাগ ইউনাইটেড ও শাহজাহান সমিতির বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে দিলি্ল যাচ্ছে ইলিয়েভস্কির দল। প্রস্তুতি ম্যাচ প্রসঙ্গে অস্থিরতা না থাকলে নিজেদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিয়েই এ অঞ্চলের বিশ্বকাপে খেলতে যেত বাংলাদেশ। চিরাগ ও শাহজাহান সমিতির মতো দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলে নিজেদের সম্পর্কে কতটুকু ধারণা পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকাটাই স্বাভাবিক! জওয়াহেরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে যদি অস্থিরতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে বাংলাদেশ, তবে আরও একটি ব্যর্থতার কাব্য হয়তো রচিত হচ্ছে!
বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে যে লেবাননকে হারিয়েছে বাংলাদেশ, তারা কিন্তু কুয়েতকে ঘরের মাটিতে হারিয়ে এসেছে। র্যাংকিংয়ে ৯৬তম স্থানে থাকা একটি দলকে হারানোর পর লেবাননের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ আদৌ আছে কি? সন্দেহাতীতভাবেই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে তারা। এ সমীকরণে যারা উদ্বেলিত, তাদের বিপরীত মেরুতে নিয়ে যাওয়ার মতো তথ্য হচ্ছে_ সাফ ফুটবলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা কিন্তু বসে নেই। বিশেষ করে ভারত। নিকট অতীতে বাংলাদেশ যেখানে সমশক্তির দেশগুলোর সঙ্গে খেলেছে, সেখানে ভারতীয়দের লড়াই ছিল তুলনামূলক শক্তিধর দেশগুলোর বিপক্ষে। এখানে কিন্তু র্যাংকিংয়ের গাণিতিক হিসাবটা টিকছে না।
তা ছাড়া আসরটির আগে সুপরিকল্পিত প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাগতিকরা; উল্টো চিত্র বাংলাদেশে। এখানকার অস্থিরতা আঁচ করতে পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন নেই। ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে স্থিতিশীলতা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। রণকৌশল সাজানোর দায়িত্ব যার কাঁধে, সেই কোচ নিকোলা ইলিয়েভস্কি অস্থিরতার মিছিলে নিজেকে সামনের কাতারেই রাখছেন! আজ এক কথা বলছেন তো কাল উল্টো সুরে ধরছেন গান। এমিলি, মিঠুন, জাহিদ প্রসঙ্গে ইস্পাতকঠিন মানসিকতা কোমলীয় হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। স্ট্রাইকার সংকটে এমিলিকে স্কোয়াডে নিয়েছেন তিনি। দু'দিন আগেও যে মিঠুন সম্পর্কিত আলোচনায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, সেই মিঠুনকে আবার ক্যাম্পে ডেকে পাঠিয়েছেন। আরেক ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ সম্পর্কে এই মেসিডোনিয়ানের বক্তব্য ছিল_ আমার কৌশলের সঙ্গে সে যায় না। এখন আবার সবুজ-বিষয়ক ভাবনা পেয়ে বসেছে তাকে। কোচকে এ অবস্থায় ঠেলে দিয়েছেন ফুটবল কর্মকর্তারাই। জাতীয় দলের প্রস্তুতির স্বার্থে লীগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তাতে ফুটবলাররা চার মাসের বেশি সময় খেলার বাইরে আছেন। নিজেদের উপযোগী রাখতে কারও মধ্যে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাও নেই। ফলে অধিকাংশ খেলোয়াড় ফিটনেস হারিয়ে বসে আছেন; বিভিন্ন দলের সঙ্গে জাতীয় দলের একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচে যা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এখন সেই কর্মকর্তারাই বলছেন, 'লীগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল ভুল!' কোচের দীর্ঘদিনের দাবি, 'ভালো মানের বিদেশি দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করতে হবে।' হচ্ছে-হবে করে কেটে গেছে সময়। এখন প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যবস্থা হয়েছে ঠিকই। শেষ মুহূর্তে হওয়ায় মানের সঙ্গে আপস করতে হয়েছে। কলকাতায় চিরাগ ইউনাইটেড ও শাহজাহান সমিতির বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে দিলি্ল যাচ্ছে ইলিয়েভস্কির দল। প্রস্তুতি ম্যাচ প্রসঙ্গে অস্থিরতা না থাকলে নিজেদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিয়েই এ অঞ্চলের বিশ্বকাপে খেলতে যেত বাংলাদেশ। চিরাগ ও শাহজাহান সমিতির মতো দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলে নিজেদের সম্পর্কে কতটুকু ধারণা পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকাটাই স্বাভাবিক! জওয়াহেরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে যদি অস্থিরতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে বাংলাদেশ, তবে আরও একটি ব্যর্থতার কাব্য হয়তো রচিত হচ্ছে!
No comments