প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি-এ যেন বেওয়ারিশ বিষয়
বগুড়া-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানের অনেক প্রতিশ্রুতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল তিনটি। সাধারণ মানুষের কাছে তো বটেই, পত্রিকাতেও তিনি ফলাও করে জানান দিয়েছিলেন এই প্রতিশ্রুতির বিষয়টি। এগুলো হলো উপজেলা সদরের নাগরবন্দরের নাগর নদের ওপরে সেতু নির্মাণ, ময়দানহাটা মজুমদারপাড়ায় গণহত্যার স্থানটিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ এবং অর্জুনপুরে করতোয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় রয়েছে প্রায়
সাড়ে তিন বছর। এই দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও জনগণের এসব দাবি পূরণ হয়নি। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার বুক চিরে চলে গেছে গাংনাই নদী। ছোট হলেও নদীটিই লোকজন পারাপারের ক্ষেত্রে একটি প্রধান বাধা। নদীর উভয় পাশে হাট ও বাজার হওয়ায় হরহামেশা নদী পার হতে হয়। এ কারণে নির্বাচনের সময় ১ নম্বর দাবি ছিল সেতুটি নির্মাণের। উপজেলা সদরের বাসিন্দা ফরিদুল বলেন, 'আমরা ধানের শীষকে ভালোবাসি। এ জন্য সেই মার্কায় ভোট দিয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবির প্রতিও তো সম্মান দেখাতে হবে। জোট সরকার ক্ষমতায় নেই, এ অজুহাতে এমপি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।'
বুড়িগঞ্জ এলাকার ছাতরা গ্রামের কলেজছাত্র ফরহাদ শাহী অভিযোগের সুরে বলেন, 'বুড়িগঞ্জ বাজার থেকে ছাতরা পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য। যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে চলাই দায়। আমরা এসব মেরামতের দাবি নিয়ে কার কাছে যাব? ভোট নেওয়ার সময় বললেন, এগুলো যেকোনো মূল্যে মেরামত কিংবা পুনর্নির্মাণ করা হবে। এখন আর খোঁজ নেই। আসলে আমাদের দুর্ভোগের বিষয়টি যেন বেওয়ারিশ একটি বিষয়। দেখার কেউ নেই, শোনার কেউ নেই।'
স্বাধীনতার ৪০ বছরেও অর্জনপুর গ্রামে করতোয়া নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসীর এখন এক কথা, 'যদি নাই পারবেন, তাহলে প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন? আমরা আর প্রতারিত হতে চাই না।' এ জন্য গত ১৫ অক্টোবর এলাকাবাসী ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সেতু নির্মাণের দাবিতে ওই এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এরপর তারা সেখানে সমাবেশও করে। এলাকার বাসিন্দা ফজর আলী বলেন, 'আমারা বুঝে গেছি, আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নাই। এমপি শুধু প্রতিশ্রুতিই দেবেন। বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন না। নির্বাচনী ওয়াদা মনে হয় এখন তিনি ভুলে গেছেন। এ কারণে আমরা রাস্তায় নেমেছি।' মোকছেদ আলী নামের আরো একজন বলেন, 'আমাদের এলাকার পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করে। সেতুর অভাবে কী যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তা না দেখলে কেউ বুঝবে না।'
ময়দানহাটা মজুমদারপাড়ার বাসিন্দা মীর হোসেন বলেন, 'আমাদের কাছে গণহত্যার স্থানটি একটি গৌরবের স্থান। এই শহীদদের নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। কিন্তু এলাকার গৌরবের এই স্থানটি পড়ে আছে অবহেলা-অযত্নে। দীর্ঘদিনেও সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়নি। এবার আমাদের কাছে কেউ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইতে এলে ভোটের বদলে হাতে মুলা ঝুলিয়ে দেব।'
তবে সংসদ সদস্য হাফিজুর রহমানের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। পবিত্র হজ পালনের জন্য তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ বি এম কামাল সেলিম জানান, তিনি এমপির সঙ্গে সার্বক্ষণিক থাকেন। এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য তিনি চেষ্টা করেছেন। জোটের এমপি হওয়ার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এর পরও বর্তমান সরকার এলাকার উন্নয়নে প্রত্যেক এমপিকে ১৫ কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এই টাকা দিয়েও ছোট সমস্যাগুলো সমাধান করা যেত। কিন্তু সেই টাকা আজও ছাড় হয়নি।
শিবগঞ্জ উপজেলার বুক চিরে চলে গেছে গাংনাই নদী। ছোট হলেও নদীটিই লোকজন পারাপারের ক্ষেত্রে একটি প্রধান বাধা। নদীর উভয় পাশে হাট ও বাজার হওয়ায় হরহামেশা নদী পার হতে হয়। এ কারণে নির্বাচনের সময় ১ নম্বর দাবি ছিল সেতুটি নির্মাণের। উপজেলা সদরের বাসিন্দা ফরিদুল বলেন, 'আমরা ধানের শীষকে ভালোবাসি। এ জন্য সেই মার্কায় ভোট দিয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবির প্রতিও তো সম্মান দেখাতে হবে। জোট সরকার ক্ষমতায় নেই, এ অজুহাতে এমপি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।'
বুড়িগঞ্জ এলাকার ছাতরা গ্রামের কলেজছাত্র ফরহাদ শাহী অভিযোগের সুরে বলেন, 'বুড়িগঞ্জ বাজার থেকে ছাতরা পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য। যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে চলাই দায়। আমরা এসব মেরামতের দাবি নিয়ে কার কাছে যাব? ভোট নেওয়ার সময় বললেন, এগুলো যেকোনো মূল্যে মেরামত কিংবা পুনর্নির্মাণ করা হবে। এখন আর খোঁজ নেই। আসলে আমাদের দুর্ভোগের বিষয়টি যেন বেওয়ারিশ একটি বিষয়। দেখার কেউ নেই, শোনার কেউ নেই।'
স্বাধীনতার ৪০ বছরেও অর্জনপুর গ্রামে করতোয়া নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসীর এখন এক কথা, 'যদি নাই পারবেন, তাহলে প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন? আমরা আর প্রতারিত হতে চাই না।' এ জন্য গত ১৫ অক্টোবর এলাকাবাসী ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সেতু নির্মাণের দাবিতে ওই এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এরপর তারা সেখানে সমাবেশও করে। এলাকার বাসিন্দা ফজর আলী বলেন, 'আমারা বুঝে গেছি, আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নাই। এমপি শুধু প্রতিশ্রুতিই দেবেন। বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন না। নির্বাচনী ওয়াদা মনে হয় এখন তিনি ভুলে গেছেন। এ কারণে আমরা রাস্তায় নেমেছি।' মোকছেদ আলী নামের আরো একজন বলেন, 'আমাদের এলাকার পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করে। সেতুর অভাবে কী যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তা না দেখলে কেউ বুঝবে না।'
ময়দানহাটা মজুমদারপাড়ার বাসিন্দা মীর হোসেন বলেন, 'আমাদের কাছে গণহত্যার স্থানটি একটি গৌরবের স্থান। এই শহীদদের নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। কিন্তু এলাকার গৌরবের এই স্থানটি পড়ে আছে অবহেলা-অযত্নে। দীর্ঘদিনেও সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়নি। এবার আমাদের কাছে কেউ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইতে এলে ভোটের বদলে হাতে মুলা ঝুলিয়ে দেব।'
তবে সংসদ সদস্য হাফিজুর রহমানের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। পবিত্র হজ পালনের জন্য তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ বি এম কামাল সেলিম জানান, তিনি এমপির সঙ্গে সার্বক্ষণিক থাকেন। এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য তিনি চেষ্টা করেছেন। জোটের এমপি হওয়ার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এর পরও বর্তমান সরকার এলাকার উন্নয়নে প্রত্যেক এমপিকে ১৫ কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এই টাকা দিয়েও ছোট সমস্যাগুলো সমাধান করা যেত। কিন্তু সেই টাকা আজও ছাড় হয়নি।
No comments