যৌতুক চাওয়া মানে ভিক্ষা চাওয়া
'যৌতুক চাওয়া মানে ভিক্ষা চাওয়া'_ স্লোগানটি নিয়ে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভৈরবের একজন চিত্রকর জুম্মান খান নিয়াজী। নিয়াজী একজন স্বল্পশিক্ষিত ও স্বল্প আয়ের মানুষ, যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়। নিজে একটি ছোট্ট খুপরি ঘরে থাকেন এবং ব্যানার, সাইনবোর্ড লিখে সামান্য আয় করেন। আর সামান্য সেই আয় থেকে তিনি সংসার চালানোর পাশাপাশি এর একটি ক্ষুদ্র অংশ জমিয়ে রেখে যৌতুকবিরোধী প্রচারণায় ব্যয় করেন। ধন্যবাদ নিয়াজী, তোমাকে অভিবাদন।
নিয়াজীর বিপরীতে যদি বগুড়ার আমতলীর হিরণের কথা বলি তাহলে দেখব, হিরণ উচ্চশিক্ষিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য এবং সর্বোপরি একজন শিক্ষক। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তাকে নিয়ে কিছু লিখতে বা বলতে গেলে শিক্ষিত, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সচেতন মানুষ হিসেবে নিজেরই লজ্জা লাগবে। এ লজ্জা সমগ্র বাংলাদেশের তথা পুরুষ সমাজের; যাকে বিয়ের আসরেই স্ত্রী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। ধিক হিরণ, ধিক!
সাইফুল ইসলাম সেজু ( বিডিনিউজ২৪ডটকম থেকে)
লাখো-কোটি ফারজানা যৌতুকের কারণে ধুঁকছে প্রতিটি ঘরে। সাহস করে প্রতিবাদ করতে পারছে না। প্রতিটি নারী তার নিজ নিজ ক্ষেত্রে এভাবে প্রতিবাদী হলে আমরা একদিন রুখতে পারব নারী নির্যাতন এবং যৌতুকের মতো সংক্রামক ব্যাধিকে।
জাকিয়া সুলতানা
যেদিন মেয়েরা নিজেদের সম্মান করতে শিখবে সেদিন যৌতুক আর আমাদের সমাজে থাকবে না। মেয়েদের বুঝতে হবে তারা পণ্য নন। নিজেকে বিক্রির জন্য তাদের জন্ম হয়নি। যৌতুক চাইলে সবার আগে তাদেরই প্রতিবাদ করতে হবে। যৌতুক দিয়ে সংসারে কখনও সুখ আসে না। যৌতুক দিয়ে বিয়ে করার চেয়ে বিয়ে না করা ভালো।
ডা. হাসিবুল হক
ফারজানাকে অভিনন্দন জানাই। আমি উচ্চশিক্ষিত একজন নারী। যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত আমি। আমার বোনের মেয়ের বিয়েতে ছেলেপক্ষ সমাজে তাদের সম্মান রক্ষার জন্য বিয়ের সময় কিছু উপহার দেওয়ার আবদার করে। আবদার শব্দটি তাদের মুখের শব্দ। পাত্র উচ্চশিক্ষিত , পরিবারও যথেষ্ট সচ্ছল। তাই আমার বোন-ভগি্নপতি এ আবদার গুরুত্ব দিয়ে রক্ষা করলেন অথচ আমি এমন আবদারের ঘোর বিরোধী হলেও কিছুই করতে পারিনি। ফারজানার কাছে নিজেকে ছো্ট মনে হচ্ছে এখন আমার। আমরা স্বার্থপরও বটে।
প্রকৌশলী শায়লা নাসের
ফারজানা, তুমি ভয় পেও না। তোমার বিরুদ্ধে এখন অনেক অভিযোগ করবে হিরণ। বিশ্বাস করি, তুমি তাতে এতটুকু বিচলিত হবে না। আমরা আছি তোমার সাথে। লায়লা হোসেন
পাঠকের প্রতিক্রিয়া গ্রন্থনা করেছেন উম্মুল ওয়ারা সম্পা
সাইফুল ইসলাম সেজু ( বিডিনিউজ২৪ডটকম থেকে)
লাখো-কোটি ফারজানা যৌতুকের কারণে ধুঁকছে প্রতিটি ঘরে। সাহস করে প্রতিবাদ করতে পারছে না। প্রতিটি নারী তার নিজ নিজ ক্ষেত্রে এভাবে প্রতিবাদী হলে আমরা একদিন রুখতে পারব নারী নির্যাতন এবং যৌতুকের মতো সংক্রামক ব্যাধিকে।
জাকিয়া সুলতানা
যেদিন মেয়েরা নিজেদের সম্মান করতে শিখবে সেদিন যৌতুক আর আমাদের সমাজে থাকবে না। মেয়েদের বুঝতে হবে তারা পণ্য নন। নিজেকে বিক্রির জন্য তাদের জন্ম হয়নি। যৌতুক চাইলে সবার আগে তাদেরই প্রতিবাদ করতে হবে। যৌতুক দিয়ে সংসারে কখনও সুখ আসে না। যৌতুক দিয়ে বিয়ে করার চেয়ে বিয়ে না করা ভালো।
ডা. হাসিবুল হক
ফারজানাকে অভিনন্দন জানাই। আমি উচ্চশিক্ষিত একজন নারী। যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত আমি। আমার বোনের মেয়ের বিয়েতে ছেলেপক্ষ সমাজে তাদের সম্মান রক্ষার জন্য বিয়ের সময় কিছু উপহার দেওয়ার আবদার করে। আবদার শব্দটি তাদের মুখের শব্দ। পাত্র উচ্চশিক্ষিত , পরিবারও যথেষ্ট সচ্ছল। তাই আমার বোন-ভগি্নপতি এ আবদার গুরুত্ব দিয়ে রক্ষা করলেন অথচ আমি এমন আবদারের ঘোর বিরোধী হলেও কিছুই করতে পারিনি। ফারজানার কাছে নিজেকে ছো্ট মনে হচ্ছে এখন আমার। আমরা স্বার্থপরও বটে।
প্রকৌশলী শায়লা নাসের
ফারজানা, তুমি ভয় পেও না। তোমার বিরুদ্ধে এখন অনেক অভিযোগ করবে হিরণ। বিশ্বাস করি, তুমি তাতে এতটুকু বিচলিত হবে না। আমরা আছি তোমার সাথে। লায়লা হোসেন
পাঠকের প্রতিক্রিয়া গ্রন্থনা করেছেন উম্মুল ওয়ারা সম্পা
No comments