টিপাইমুখ বাঁধ-বাংলাদেশের স্বার্থ দেখতে হবে
বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই ভারত তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের টিপাইমুখে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার চুক্তি সম্পন্ন করেছে। দিলি্লতে সম্পাদিত এই চুক্তির ফলে দীর্ঘদিন আলোচিত টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে গেল। আগামী মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মণিপুর সফরের মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে। তার মানে, এখন টিপাইমুখ
বাঁধ বাস্তবায়নের কাজ শুরু হওয়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার পরও এ ধরনের আচরণ কাম্য ছিল না। প্রশ্ন উঠেছে, প্রতিবেশী দুটি দেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে আলোচনা ও আশ্বাসের পরও ভারত এই সিদ্ধান্ত নিল কেন?
মণিপুর রাজ্যে ওই বাঁধটি হবে বরাক নদে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থ জড়িত। বরাক নদের ওপর ওই বাঁধ হলে তা বাংলাদেশসহ ভারতের আসামের ভাটি এলাকাকে মারাত্মক ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে। যে কারণে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের আগেই ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে অবহিত করা প্রয়োজন ছিল। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথাও তারা জানে। কারণ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে, তা বারবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে আমাদের পত্রপত্রিকা ও প্রচারমাধ্যমগুলো সব সময়ই সোচ্চার ছিল। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলও টিপাইমুখ এলাকায় সফরে গিয়েছিল। দুই দেশের সরকারপ্রধান পর্যায়েও এ বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়। প্রতিবারই বাংলাদেশ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে; এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময়ও।
২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তখনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছিলেন, ভারত টিপাইমুখে এমন কিছু করবে না, যা বাংলাদেশের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বৃহৎ প্রতিবেশী এবং বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য বাংলাদেশের মানুষকে স্বস্তি দিয়েছিল। একই সঙ্গে মানুষের ধারণা ছিল, এমন একটি যৌথ নদের বিষয়ে যৌথ সমীক্ষা কিংবা পর্যালোচনা ছাড়া নিশ্চয়ই ভারত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না। এমন চিন্তা করার পেছনেও যুক্তি ছিল। বাংলাদেশের মতো ভারতীয় অনেক মানুষই এই বাঁধকে ইতিবাচক মনে করছেন না। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার জন্য সেখানে আন্দোলনও হয়েছে। কারণ ওই বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভারতের আসামের অনেক এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে ভূমিকম্প হলে আসাম ও বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানিশূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে। ভারতের এ উদ্যোগ আন্তর্জাতিক যৌথ নদী আইনেরও পরিপন্থী। এমন পরিস্থিতিতে ভারত তাদের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রকৃত বাস্তবায়ন করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারও কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যাটির কার্যকর সমাধান করবে বলে আশা করি।
মণিপুর রাজ্যে ওই বাঁধটি হবে বরাক নদে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থ জড়িত। বরাক নদের ওপর ওই বাঁধ হলে তা বাংলাদেশসহ ভারতের আসামের ভাটি এলাকাকে মারাত্মক ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে। যে কারণে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের আগেই ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে অবহিত করা প্রয়োজন ছিল। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথাও তারা জানে। কারণ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে, তা বারবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে আমাদের পত্রপত্রিকা ও প্রচারমাধ্যমগুলো সব সময়ই সোচ্চার ছিল। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলও টিপাইমুখ এলাকায় সফরে গিয়েছিল। দুই দেশের সরকারপ্রধান পর্যায়েও এ বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়। প্রতিবারই বাংলাদেশ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে; এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময়ও।
২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তখনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছিলেন, ভারত টিপাইমুখে এমন কিছু করবে না, যা বাংলাদেশের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বৃহৎ প্রতিবেশী এবং বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য বাংলাদেশের মানুষকে স্বস্তি দিয়েছিল। একই সঙ্গে মানুষের ধারণা ছিল, এমন একটি যৌথ নদের বিষয়ে যৌথ সমীক্ষা কিংবা পর্যালোচনা ছাড়া নিশ্চয়ই ভারত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না। এমন চিন্তা করার পেছনেও যুক্তি ছিল। বাংলাদেশের মতো ভারতীয় অনেক মানুষই এই বাঁধকে ইতিবাচক মনে করছেন না। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার জন্য সেখানে আন্দোলনও হয়েছে। কারণ ওই বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভারতের আসামের অনেক এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে ভূমিকম্প হলে আসাম ও বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানিশূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে। ভারতের এ উদ্যোগ আন্তর্জাতিক যৌথ নদী আইনেরও পরিপন্থী। এমন পরিস্থিতিতে ভারত তাদের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রকৃত বাস্তবায়ন করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারও কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যাটির কার্যকর সমাধান করবে বলে আশা করি।
No comments