সপরিবারে হত্যার হুমকি-দুপচাঁচিয়ায় অধ্যক্ষের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে হুজির চিঠি
ইসলামী জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নামে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চিঠি দেওয়া হয়েছে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া সরকারি শাহ এয়তেবারিয়া কলেজের অধ্যক্ষের কাছে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ দেবাশীষ রঞ্জন রায় গত বৃহস্পতিবার দুপচাঁচিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে র্যাব ও পুলিশ।
অধ্যক্ষ দেবাশীষ রঞ্জন রায় জানান, গত ১৫ নভেম্বর কলেজ শেষে তিনি বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর এলাকায় তাঁর বাসায় চলে যান। এক দিন পর গত বৃহস্পতিবার কলেজে এসে আয়াকে তাঁর কক্ষ পরিষ্কার করতে বলেন। আয়া সে সময় জানালার পাশে একটি চিঠি দেখতে পেয়ে সেটি এনে অধ্যক্ষকে দেন।
অধ্যক্ষ বলেন, সাদা কাগজের চিঠিটির ওপরে আরবি অক্ষরে কিছু লেখা ছিল। এর নিচে বাংলায় লেখা 'আমরা হরকাতুল জিহাদের সদস্য। ইসলামের নামে বিভিন্ন অপারেশন চালাই। আমাদের টাকাপয়সা ওপর থেকে আসে। এ বছর কোনো টাকাপয়সা আসে নাই। তাই এলাকার বিভিন্ন বিশিষ্টজনের কাছ থেকে সংগঠনের কাজের জন্য চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। আপনি আগামী ২১ নভেম্বর ১০ লাখ টাকা লাল কাপড় দিয়ে বেঁধে কলেজের ছাদের ওপর ইট দিয়ে ঢেকে রাখবেন। আমরা সময়মতো নিয়ে যাব। এই টাকা না দিলে আপনাকে সপরিবারে হত্যা করা হবে।' ওই চিঠিতে তারা অধ্যক্ষের বগুড়া শহরের বাড়ির ঠিকানাসহ একটি নকশা এঁকে দেয়।
অধ্যক্ষ বলেন, 'আমি চিঠি পাওয়াতে শঙ্কিত নই। তবে লজ্জিত বোধ করছি এ কারণে যে আমি একজন শিক্ষক। আমার অবৈধ আয়ের কোনো পথ নেই। তারা কেন আমার কাছ থেকে চাঁদা চেয়ে চিঠি দিয়েছে, তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।'
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি নূর ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষ দেবাশীষ রঞ্জন রায় এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন। জিডি নথিভুক্ত করার পরই বিষয়টি তদন্ত করা হয়। তবে গতকাল শনিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মোস্তফা আসাদ ইকবাল বলেন, বগুড়া অঞ্চলে ইসলামী জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের কোনো তৎপরতা নেই। এর পরও কলেজের অধ্যক্ষের কাছে চাঁদা চেয়ে চিঠি দেওয়ায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অধ্যক্ষ বলেন, সাদা কাগজের চিঠিটির ওপরে আরবি অক্ষরে কিছু লেখা ছিল। এর নিচে বাংলায় লেখা 'আমরা হরকাতুল জিহাদের সদস্য। ইসলামের নামে বিভিন্ন অপারেশন চালাই। আমাদের টাকাপয়সা ওপর থেকে আসে। এ বছর কোনো টাকাপয়সা আসে নাই। তাই এলাকার বিভিন্ন বিশিষ্টজনের কাছ থেকে সংগঠনের কাজের জন্য চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। আপনি আগামী ২১ নভেম্বর ১০ লাখ টাকা লাল কাপড় দিয়ে বেঁধে কলেজের ছাদের ওপর ইট দিয়ে ঢেকে রাখবেন। আমরা সময়মতো নিয়ে যাব। এই টাকা না দিলে আপনাকে সপরিবারে হত্যা করা হবে।' ওই চিঠিতে তারা অধ্যক্ষের বগুড়া শহরের বাড়ির ঠিকানাসহ একটি নকশা এঁকে দেয়।
অধ্যক্ষ বলেন, 'আমি চিঠি পাওয়াতে শঙ্কিত নই। তবে লজ্জিত বোধ করছি এ কারণে যে আমি একজন শিক্ষক। আমার অবৈধ আয়ের কোনো পথ নেই। তারা কেন আমার কাছ থেকে চাঁদা চেয়ে চিঠি দিয়েছে, তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।'
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি নূর ইসলাম বলেন, অধ্যক্ষ দেবাশীষ রঞ্জন রায় এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন। জিডি নথিভুক্ত করার পরই বিষয়টি তদন্ত করা হয়। তবে গতকাল শনিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মোস্তফা আসাদ ইকবাল বলেন, বগুড়া অঞ্চলে ইসলামী জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের কোনো তৎপরতা নেই। এর পরও কলেজের অধ্যক্ষের কাছে চাঁদা চেয়ে চিঠি দেওয়ায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
No comments