মুখোমুখি প্রতিদিন-আমি একা নই, মাঠে সবাই অধিনায়ক
সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন আগে, তবে জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্বটা এবারই পেলেন প্রথম। পেয়ে কেমন লাগছে? মালয়েশিয়াতে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে দল নিয়ে তাঁর ভাবনাটাই বা কেমন? কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়ে এসব কথাই জানিয়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ সুজন
প্রশ্ন : অধিনায়কের দায়িত্ব তো এবারই প্রথম পেলেন, তাই না?
প্রশ্ন : অধিনায়কের দায়িত্ব তো এবারই প্রথম পেলেন, তাই না?
মোহাম্মদ সুজন : এর আগে মারদেকায় আমি সহ-অধিনায়ক ছিলাম। আর এবার বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাই পর্বের একটি ম্যাচে অধিনায়ক বিপ্লব না খেলায় দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। তবে অধিনায়কের পুরো দায়িত্ব এবারই প্রথম পেলাম।
প্রশ্ন : এতে তো আপনার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল?
সুজন : অধিনায়ককে সব সময়ই মাঠে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হয়। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করব, তবে আমি মনে করি মাঠে আমি একা নই, আমরা সবাই অধিনায়ক। সবাই যদি নিজেদের কাজটা ভালোভাবে করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের পক্ষে ভালো কিছু করা সম্ভব।
প্রশ্ন : অধিনায়ক হিসেবে এই দল নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
সুজন : তিন-চার মাস আগে থেকে যদি এই দলটি একসঙ্গে প্র্যাকটিস করতে পারত তাহলে ভালো হতো। তাহলে সবার মধ্যে সমন্বয়টা আরো অনেক ভালো হতো। এর পরও যতটুকু হয়েছে, আমি বলব না একেবারে খারাপ হয়েছে। এই দল নিয়েও ভালো কিছু করা সম্ভব।
প্রশ্ন : দলে তো বেশ কিছু জুনিয়র ফুটবলার সুযোগ পেয়েছেন। এখনই কি তাদের জাতীয় দলে খেলার সামর্থ্য আছে বলে আপনি মনে করেন?
সুজন : আসলে এটা তো কোচের সিদ্ধান্ত। কোচ যাকে ভালো মনে করেছেন তাকেই দলে নিয়েছেন। তা ছাড়া জুনিয়রদের মধ্যেও কিছু ভালো ফুটবলার আছে, আমি তো মনে করি শাহেদ অবশ্যই এখনই জাতীয় দলে খেলার সামর্থ্য রাখে।
প্রশ্ন : আফ্রিকান ফুটবলারদের বিপক্ষে একটি ম্যাচে হারের পর ড্র। এরপর শেষ ম্যাচে জয় নিয়েই আপনারা মাঠ ছাড়লেন। তার মানে তো একটু একটু করে উন্নতি হচ্ছে, তাই না?
সুজন : অবশ্যই উন্নতি হচ্ছে। আজকের (কাল) ম্যাচে কিন্তু বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ফুটবলার দলে ছিল না। আর আমরা যাদের বিপক্ষে খেলেছি তারাও একেবারে খারাপ না। শেষ ম্যাচে জয় পেয়ে ভালো লাগছে, আশা করছি মালয়েশিয়াতেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারব।
প্রশ্ন : শুনেছি মালয়েশিয়ার দলটি বেশ ভালো। জয়ের চিন্তাটা কি একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল না?
সুজন : লেবাননও শক্তিশালী দল ছিল, কদিন আগে ওরা দক্ষিণ কোরিয়াকে চমকে দিয়েছে। বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাই পর্বে কিন্তু আমরা তাদেরও হারিয়েছি। মাঠে সবাই যদি সবার কাজটি ঠিকমতো করতে পারে তাহলে অবশ্যই জেতা সম্ভব।
প্রশ্ন : ২০০৩ সালে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে আপনার গোলেই শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই দলটির সঙ্গে যদি এই দলটির তুলনা করতে হয়, আপনি কোন দলকে এগিয়ে রাখবেন?
সুজন : অবশ্যই ২০০৩ সালের বাংলাদেশের দলটিকে। জর্জ কোটানের অধীনে সেবার আমরা চার মাস বিকেএসপিতে প্র্যাকটিস করেছিলাম। সবাই শতভাগ ফিট ছিলাম। দলে অনেক তারকা ফুটবলারও ছিল। কিন্তু এবার এত লম্বা সময় ধরে প্র্যাকটিস হয়নি। তাই ২০০৩ সালে দলটিই আমার চোখে এগিয়ে থাকবে।
প্রশ্ন : ভারতের সেরা দল এবার অংশ নেবে। এর পরও কি আপনারা শিরোপা জিতবেন বলে আশা করছেন?
সুজন : শিরোপা জয়ের ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি, আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না।
No comments