রাজনীতি-প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন ঘোষণার অপেক্ষায় রাজশাহীবাসী by আনু মোস্তফা,
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে আগামী ২৪ নভেম্বরের জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা ও যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে দিকনির্দেশনার পাশাপাশি তিনি অবহেলিত রাজশাহী অঞ্চলের উন্নয়নে একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাণের দাবিগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আশায় রাজশাহীর মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী সফরের গুরুত্ব তুলে ধরে জনসভা প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন গতকাল শনিবার কালের কণ্ঠের সঙ্গে কথা বলেন। মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনের অপেক্ষায় রাজশাহীর মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর উন্নয়নে একগুচ্ছ উন্নয়নের ঘোষণা দেবেন। এসব উন্নয়নের দাবি রাজশাহীর মানুষের অনেক দিনের। তিনি জানান, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিস্তারিত জানাতে আজ রবিবার প্রস্তুতি কমিটি সংবাদ সম্মেলন করবে। ২০০৫ সালের ২২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা রাজশাহীতে সর্বশেষ মহাজোটের সমাবেশে অংশ নেন।
প্রস্তুতি কমিটি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাতটি উপকমিটি নিরলস কাজ করছে। তোরণ উপকমিটির প্রধান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, রাজশাহী জেলা ও মহানগরী এলাকায় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ৩০০ তোরণ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে শত শত ডিজিটাল ব্যানার, ডিসপ্লে বোর্ড ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে নগরী। তিনি আরো জানান, মহানগরী ও জেলায় প্রতিদিন গড়ে ২৫টি করে সভা-সমাবেশ হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁয় ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। এসব জেলায় সংগঠনে ব্যাপক দলীয় কোন্দল থাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্যদের বলা হয়েছে নিজ উদ্যোগে গাড়িতে করে জনসভায় লোক আনতে। এ ছাড়া জনসভার মঞ্চ তৈরি, মাঠ প্রস্তুত, নগরীর ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার এবং সাজসজ্জার কাজও শুরু হয়েছে।
তবে দলীয় সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, রাজশাহীর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে এখনো প্রস্তুতি চলছে ঢিলেঢালাভাবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের বাকি আর মাত্র তিন দিন। এ অবস্থায় এখনো রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজউদ্দিন মোল্লা এমপি ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির মাঠে অনুপস্থিতি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সূত্র আরো জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগেও প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতিতে চলছে সমন্বয়হীনতা। এই জেলার তিন সংসদ সদস্য এখনো একসঙ্গে বসে কোনো সভা করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এমরান ফারুক মাসুম।
মেয়র আরো বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরের মধ্য দিয়ে অবহেলিত রাজশাহীতে উন্নয়নের সিংহদ্বার উন্মোচিত হবে বলে আমরা আশা করছি। জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজশাহীর উন্নয়নে ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হবে, যা ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেঁৗছে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো_রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে শহীদ কামারুজ্জামান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্পের বাস্তবায়ন, গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণ ও পদ্মায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং, শিশু হাসপাতাল নির্মাণ, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) শাখা স্থাপন, ভেটেরিনারি কলেজ ও পোলট্রি ইনস্টিটিউট স্থাপন, আইটি ভিলেজ স্থাপন, পূরাকীর্তি সংরক্ষণে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন, সাংস্কৃতিক বলয় প্রতিষ্ঠায় কালচারাল সেন্টার স্থাপন, রাজশাহীর ঐতিহ্য রেশম শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, ক্রিকেটের টেস্ট ভেন্যু ঘোষণায় সরকারি উদ্যোগে তিনতারা আবাসিক হোটেল নির্মাণ এবং রাজশাহীকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা। তবে রাজশাহীতে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে প্রস্তুতি কমিটির দাবিনামায় কোনো উল্লেখ নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী হজরত শাহ্ মখদুম (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত, রাজশাহীর উপকণ্ঠ কাটাখালীতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নবনির্মিত ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের পরীক্ষামূলক উদ্বোধন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা 'শেখ ফজিলাতুননেসা' ছাত্রী হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্টের (বিআইআর) দশম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা ও শেখ হাসিনার নামে ছাত্রীদের দুটি আবাসিক হল এবং জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামানের নামে ছাত্রদের একটি আবাসিক হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে পাস হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ক্যাম্পাসে বঙ্গমাতা 'শেখ ফজিলাতুননেসা' ছাত্রী হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই আবাসিক হল নির্মাণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে পাকিস্তানি হানাদারদের গুলিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ড. শহীদ শামসুজ্জোহার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন।
প্রস্তুতি কমিটি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাতটি উপকমিটি নিরলস কাজ করছে। তোরণ উপকমিটির প্রধান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, রাজশাহী জেলা ও মহানগরী এলাকায় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ৩০০ তোরণ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে শত শত ডিজিটাল ব্যানার, ডিসপ্লে বোর্ড ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে নগরী। তিনি আরো জানান, মহানগরী ও জেলায় প্রতিদিন গড়ে ২৫টি করে সভা-সমাবেশ হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁয় ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। এসব জেলায় সংগঠনে ব্যাপক দলীয় কোন্দল থাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্যদের বলা হয়েছে নিজ উদ্যোগে গাড়িতে করে জনসভায় লোক আনতে। এ ছাড়া জনসভার মঞ্চ তৈরি, মাঠ প্রস্তুত, নগরীর ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার এবং সাজসজ্জার কাজও শুরু হয়েছে।
তবে দলীয় সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, রাজশাহীর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে এখনো প্রস্তুতি চলছে ঢিলেঢালাভাবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের বাকি আর মাত্র তিন দিন। এ অবস্থায় এখনো রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজউদ্দিন মোল্লা এমপি ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির মাঠে অনুপস্থিতি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সূত্র আরো জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগেও প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতিতে চলছে সমন্বয়হীনতা। এই জেলার তিন সংসদ সদস্য এখনো একসঙ্গে বসে কোনো সভা করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এমরান ফারুক মাসুম।
মেয়র আরো বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরের মধ্য দিয়ে অবহেলিত রাজশাহীতে উন্নয়নের সিংহদ্বার উন্মোচিত হবে বলে আমরা আশা করছি। জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজশাহীর উন্নয়নে ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হবে, যা ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেঁৗছে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো_রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে শহীদ কামারুজ্জামান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্পের বাস্তবায়ন, গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণ ও পদ্মায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং, শিশু হাসপাতাল নির্মাণ, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) শাখা স্থাপন, ভেটেরিনারি কলেজ ও পোলট্রি ইনস্টিটিউট স্থাপন, আইটি ভিলেজ স্থাপন, পূরাকীর্তি সংরক্ষণে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন, সাংস্কৃতিক বলয় প্রতিষ্ঠায় কালচারাল সেন্টার স্থাপন, রাজশাহীর ঐতিহ্য রেশম শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, ক্রিকেটের টেস্ট ভেন্যু ঘোষণায় সরকারি উদ্যোগে তিনতারা আবাসিক হোটেল নির্মাণ এবং রাজশাহীকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা। তবে রাজশাহীতে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে প্রস্তুতি কমিটির দাবিনামায় কোনো উল্লেখ নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী হজরত শাহ্ মখদুম (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত, রাজশাহীর উপকণ্ঠ কাটাখালীতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নবনির্মিত ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের পরীক্ষামূলক উদ্বোধন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা 'শেখ ফজিলাতুননেসা' ছাত্রী হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্টের (বিআইআর) দশম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা ও শেখ হাসিনার নামে ছাত্রীদের দুটি আবাসিক হল এবং জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামানের নামে ছাত্রদের একটি আবাসিক হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে পাস হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ক্যাম্পাসে বঙ্গমাতা 'শেখ ফজিলাতুননেসা' ছাত্রী হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই আবাসিক হল নির্মাণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে পাকিস্তানি হানাদারদের গুলিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ড. শহীদ শামসুজ্জোহার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন।
No comments