ক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ঢাকায়-গণতান্ত্রিক, নিরাপদ বাংলাদেশের উত্তরণে সহযোগিতার অঙ্গীকার
ঢাকা ও ওয়াশিংটনকে পরস্পরের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করেছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা। একই সঙ্গে তিনি গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধিশালী ও নিরাপদ বাংলাদেশের উত্তরণে সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছেন। গতকাল শনিবার ঢাকায় আসার পর পরই হযরত শাহজালাল আন্ত-র্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেছেন। তিনি আগামী বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড্যান ডাব্লিউ মজিনা বাংলাদেশে তাঁর অগ্রাধিকারমূলক কাজ হিসেবে গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধিশালী, স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ায় সহযোগিতার কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আমার একটা দর্শন আছে। আর আমি তা নিয়ে এসেছি। এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো, যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও।'
মজিনা বলেন, 'কৌশলগত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীর। বিশেষ করে আমাদের সন্তানদের উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য আমরা অনেকটা অভিন্ন মূল্যবোধ ও আকাঙ্ক্ষার ভাগীদার।' দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক জোরদার এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে আমেরিকানদের আরো ভালো উপলব্ধির জন্য কঠোর পরিশ্রম করার কথাও জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ড্যান মজিনা বলেন, বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের ভূমিকা ও সুশীলসমাজকে শক্তিশালীকরণ অন্যতম। চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান আছে। দুই দেশ এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করবে।
সাংবাদিকরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশের ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতের উপলব্ধি জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের মতো বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণের কাজ চলছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়। তিনি বলেন, 'আরো ভালোভাবে বোঝাপড়া এবং একসঙ্গে কাজ করার জন্য এ দেশের সুশীলসমাজ, জনগণ ও সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।'
গ্রামীণ ব্যাংকের ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত মজিনা বলেন, 'জনগণকে দারিদ্র্যসীমা থেকে বের করে আনতে ক্ষুদ্রঋণ কেবল অনন্য নয়, অলৌকিকও। গ্রামীণ ব্যাংক ইস্যুতে এখানে (বাংলাদেশে) যা ঘটেছিল, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। এখন আমি নিশ্চিত যে সরকার, গ্রামীণ ব্যাংক ও সুশীলসমাজ ওই প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।'
ড্যান ডাব্লিউ মজিনা ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর ছিলেন। ১০ বছর পর সেই ঢাকাতেই রাষ্ট্রদূত হিসেবে ফেরার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি তিনবার বলেন, 'টুডে অ্যা ড্রিম ট্রুলি কাম্স ট্রু ফর আস' ('আজ একটি স্বপ্ন সত্যিই আমাদের জন্য সত্য হলো')। এর আগে তিনি বিমান থেকে নেমে ভিআইপি লাউঞ্জে এলে সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের অনেকেই পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে বলেন, 'ওয়েলকাম ব্যাক' (আবার ফেরার জন্য স্বাগত)। এরপর সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই তিনি বলেন, 'শুভ বিকেল বাংলাদেশ, শুভ বিকেল বাংলাদেশের জনগণ। উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। ১০ বছর পর আবার বাংলাদেশে ফিরতে পেরে স্ত্রী গ্রেস ও আমি অত্যন্ত আনন্দিত।'
ড্যান ডাব্লিউ মজিনা আরো বলেন, 'বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের ও সৌভাগ্যের। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক গত ৪০ বছরের। এ সম্পর্ক আরো নিবিড় করতে এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্বকে আরো জোরদার করতে এ রকম একটি সুযোগ পাওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।'
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার কাজ শুরু করতে আগ্রহী। আশা করছি, শিগগির আমি আমার পরিচয়পত্র সরকারের কাছে হস্তান্তর করব। তার আগ পর্যন্ত আবারও এটুকুই শুধু বলতে চাই, এখানে ফিরে আসতে পেরে আমরা খুবই খুশি! গ্রেস ও আমার বাংলাদেশে প্রথম দিনের আসার অনুভূতিকে উষ্ণতায় ভরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।'
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত ১৩ মে ড্যান ডাব্লিউ মজিনাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। যুক্তরাষ্ট্র সিনেট ১৮ অক্টোবর ওই মনোনয়ন নিশ্চিত করে। এর এক মাসের মাথায় নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে তিনি ঢাকায় এসেছেন। তিনি রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
মজিনা বলেন, 'কৌশলগত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীর। বিশেষ করে আমাদের সন্তানদের উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য আমরা অনেকটা অভিন্ন মূল্যবোধ ও আকাঙ্ক্ষার ভাগীদার।' দুই দেশের জনগণের স্বার্থে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক জোরদার এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে আমেরিকানদের আরো ভালো উপলব্ধির জন্য কঠোর পরিশ্রম করার কথাও জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ড্যান মজিনা বলেন, বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের ভূমিকা ও সুশীলসমাজকে শক্তিশালীকরণ অন্যতম। চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান আছে। দুই দেশ এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করবে।
সাংবাদিকরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশের ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতের উপলব্ধি জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের মতো বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণের কাজ চলছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়। তিনি বলেন, 'আরো ভালোভাবে বোঝাপড়া এবং একসঙ্গে কাজ করার জন্য এ দেশের সুশীলসমাজ, জনগণ ও সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।'
গ্রামীণ ব্যাংকের ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত মজিনা বলেন, 'জনগণকে দারিদ্র্যসীমা থেকে বের করে আনতে ক্ষুদ্রঋণ কেবল অনন্য নয়, অলৌকিকও। গ্রামীণ ব্যাংক ইস্যুতে এখানে (বাংলাদেশে) যা ঘটেছিল, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। এখন আমি নিশ্চিত যে সরকার, গ্রামীণ ব্যাংক ও সুশীলসমাজ ওই প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।'
ড্যান ডাব্লিউ মজিনা ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর ছিলেন। ১০ বছর পর সেই ঢাকাতেই রাষ্ট্রদূত হিসেবে ফেরার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি তিনবার বলেন, 'টুডে অ্যা ড্রিম ট্রুলি কাম্স ট্রু ফর আস' ('আজ একটি স্বপ্ন সত্যিই আমাদের জন্য সত্য হলো')। এর আগে তিনি বিমান থেকে নেমে ভিআইপি লাউঞ্জে এলে সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের অনেকেই পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে বলেন, 'ওয়েলকাম ব্যাক' (আবার ফেরার জন্য স্বাগত)। এরপর সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই তিনি বলেন, 'শুভ বিকেল বাংলাদেশ, শুভ বিকেল বাংলাদেশের জনগণ। উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। ১০ বছর পর আবার বাংলাদেশে ফিরতে পেরে স্ত্রী গ্রেস ও আমি অত্যন্ত আনন্দিত।'
ড্যান ডাব্লিউ মজিনা আরো বলেন, 'বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের ও সৌভাগ্যের। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক গত ৪০ বছরের। এ সম্পর্ক আরো নিবিড় করতে এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্বকে আরো জোরদার করতে এ রকম একটি সুযোগ পাওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।'
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার কাজ শুরু করতে আগ্রহী। আশা করছি, শিগগির আমি আমার পরিচয়পত্র সরকারের কাছে হস্তান্তর করব। তার আগ পর্যন্ত আবারও এটুকুই শুধু বলতে চাই, এখানে ফিরে আসতে পেরে আমরা খুবই খুশি! গ্রেস ও আমার বাংলাদেশে প্রথম দিনের আসার অনুভূতিকে উষ্ণতায় ভরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।'
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত ১৩ মে ড্যান ডাব্লিউ মজিনাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। যুক্তরাষ্ট্র সিনেট ১৮ অক্টোবর ওই মনোনয়ন নিশ্চিত করে। এর এক মাসের মাথায় নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে তিনি ঢাকায় এসেছেন। তিনি রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
No comments