লিবিয়ার মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রকাশ্য সমাবেশ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ব্রুকলিন ব্রিজ থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ (ওয়াল স্ট্রিট দখল করো) আন্দোলনের ৭০০-এর বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাংক ও আর্থিক-প্রতিষ্ঠানগুলো এবং সরকার কেবল ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করছে, যাঁরা দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ।
করপোরেট স্বার্থ রক্ষা ও রাজনীতিতে করপোরেট প্রভাবের বিরুদ্ধে দুই সপ্তাহ আগে বিক্ষোভকারীরা প্রথমে লোয়ার ম্যানহাটনের একটি ছোট পার্ক দখল করে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করেন। শনিবার তাঁদের ওই প্রতিবাদ বিক্ষোভ ব্রুকলিন ব্রিজ পর্যন্ত চলে আসে। আন্দোলনকারীরা ওয়াল স্ট্রিটের ‘করপোরেট রাজত্বের’ অবসানের দাবিতে ১৭ সেপ্টেম্বর ওয়াল স্ট্রিটের কাছে লোয়ার ম্যানহাটনে রাস্তার পাশে শিবির করেছেন। তাঁরা ২০ হাজার লোককে ওই এলাকায় জড়ো করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। এদিকে কয়েক শতাধিক বিক্ষোভকারী ম্যানহাটনে বেসরকারি মালিকানাধীন জুকোট্টি পার্কে শিবির করে অবস্থান করছেন। আন্দোলনকারীদের মতে, তাঁরা দেশের বাকি ৯৯ শতাংশ লোকের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন করছেন।
ওয়াল স্ট্রিটের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘করপোরেট লোভের’ বিরুদ্ধে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সাবেক ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কাছ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। সন্ধ্যার সময় বিক্ষোভকারীরা বিখ্যাত ঝুলন্ত সেতু ব্রুকলিন ব্রিজে চলে আসেন এবং ব্রিজের ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নিউইয়র্ক পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, বারবার সতর্ক করার পরও বিক্ষোভকারীরা ফুটপাত ছেড়ে গাড়ি চলাচলের লেনে নেমে পড়েন এবং যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় সাত শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের বেশির ভাগকেই গ্রেপ্তার করা হয় বিশৃঙ্খলার অভিযোগে।
মুখপাত্র বলেন, কয়েক ঘণ্টা পর অবশ্য অনেককে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদের এক দিন আটকে রাখা হবে কিংবা আদালতে পাঠানো হবে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে আটটার দিকে গাড়ি চলাচলের জন্য ব্রিজটি খুলে দেয় পুলিশ। এদিকে কয়েকজন বিক্ষোভকারী জানান, পুলিশ তাঁদের ব্রিজের যান চলাচলের লেন দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। পরে পুলিশ তাঁদের চারপাশ দিয়ে ঘেরাও করে গ্রেপ্তার শুরু করে।
বিক্ষোভকারী রবার্ট কামিচো বিবিসিকে বলেন, এই বিক্ষোভ নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) বিপক্ষে নয়। এটি অসামঞ্জস্য ক্ষমতার অধিকারী ১ শতাংশ লোকের বিপক্ষে ৯৯ শতাংশ লোকের বিক্ষোভ। তিনি বলেন, ‘আমরা নৈরাজ্যবাদী নই। আমরা সন্ত্রাসী নই। আমি ৪৮ বছরের এক প্রৌঢ়। ১ শতাংশ ধনী যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ করছে।’
এক বিবৃতিতে বিক্ষোভ-কারীরা বলেন, আরব জাগরণে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁরা এই প্রতিরোধ আন্দোলন শুরু করেছেন। অপর এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। আমরা আর নীরব থাকতে পারি না।’
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও রাস্তা অবরোধ করার অভিযোগে প্রায় ৮০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গ্রেপ্তার ও পুলিশের আচরণের প্রতিবাদে গত শুক্রবার প্রায় দুই হাজার ব্যক্তি ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ ব্যানার নিয়ে নিউইয়র্ক পুলিশ সদর দপ্তরের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের সামনেও বিক্ষোভ করেছেন।
‘যুক্তরাষ্ট্রের অন্য শহরগুলোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন শহরে নিয়মিতভাবে ছোটখাটো বিক্ষোভ হচ্ছে। করপোরেট লোভ ও ব্যাংকের বন্ধকী সম্পদ দখল বন্ধের দাবিতে রাইট টু দ্য সিটি নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার বোস্টন শহরে ব্যাংক অব আমেরিকার কার্যালয়ের সামনে প্রায় তিন হাজার লোক বিক্ষোভ করেছেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাংক ও আর্থিক-প্রতিষ্ঠানগুলো এবং সরকার কেবল ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করছে, যাঁরা দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ।
করপোরেট স্বার্থ রক্ষা ও রাজনীতিতে করপোরেট প্রভাবের বিরুদ্ধে দুই সপ্তাহ আগে বিক্ষোভকারীরা প্রথমে লোয়ার ম্যানহাটনের একটি ছোট পার্ক দখল করে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করেন। শনিবার তাঁদের ওই প্রতিবাদ বিক্ষোভ ব্রুকলিন ব্রিজ পর্যন্ত চলে আসে। আন্দোলনকারীরা ওয়াল স্ট্রিটের ‘করপোরেট রাজত্বের’ অবসানের দাবিতে ১৭ সেপ্টেম্বর ওয়াল স্ট্রিটের কাছে লোয়ার ম্যানহাটনে রাস্তার পাশে শিবির করেছেন। তাঁরা ২০ হাজার লোককে ওই এলাকায় জড়ো করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। এদিকে কয়েক শতাধিক বিক্ষোভকারী ম্যানহাটনে বেসরকারি মালিকানাধীন জুকোট্টি পার্কে শিবির করে অবস্থান করছেন। আন্দোলনকারীদের মতে, তাঁরা দেশের বাকি ৯৯ শতাংশ লোকের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন করছেন।
ওয়াল স্ট্রিটের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘করপোরেট লোভের’ বিরুদ্ধে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সাবেক ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কাছ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। সন্ধ্যার সময় বিক্ষোভকারীরা বিখ্যাত ঝুলন্ত সেতু ব্রুকলিন ব্রিজে চলে আসেন এবং ব্রিজের ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নিউইয়র্ক পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, বারবার সতর্ক করার পরও বিক্ষোভকারীরা ফুটপাত ছেড়ে গাড়ি চলাচলের লেনে নেমে পড়েন এবং যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় সাত শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের বেশির ভাগকেই গ্রেপ্তার করা হয় বিশৃঙ্খলার অভিযোগে।
মুখপাত্র বলেন, কয়েক ঘণ্টা পর অবশ্য অনেককে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদের এক দিন আটকে রাখা হবে কিংবা আদালতে পাঠানো হবে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে আটটার দিকে গাড়ি চলাচলের জন্য ব্রিজটি খুলে দেয় পুলিশ। এদিকে কয়েকজন বিক্ষোভকারী জানান, পুলিশ তাঁদের ব্রিজের যান চলাচলের লেন দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। পরে পুলিশ তাঁদের চারপাশ দিয়ে ঘেরাও করে গ্রেপ্তার শুরু করে।
বিক্ষোভকারী রবার্ট কামিচো বিবিসিকে বলেন, এই বিক্ষোভ নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) বিপক্ষে নয়। এটি অসামঞ্জস্য ক্ষমতার অধিকারী ১ শতাংশ লোকের বিপক্ষে ৯৯ শতাংশ লোকের বিক্ষোভ। তিনি বলেন, ‘আমরা নৈরাজ্যবাদী নই। আমরা সন্ত্রাসী নই। আমি ৪৮ বছরের এক প্রৌঢ়। ১ শতাংশ ধনী যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ করছে।’
এক বিবৃতিতে বিক্ষোভ-কারীরা বলেন, আরব জাগরণে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁরা এই প্রতিরোধ আন্দোলন শুরু করেছেন। অপর এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। আমরা আর নীরব থাকতে পারি না।’
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও রাস্তা অবরোধ করার অভিযোগে প্রায় ৮০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গ্রেপ্তার ও পুলিশের আচরণের প্রতিবাদে গত শুক্রবার প্রায় দুই হাজার ব্যক্তি ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ ব্যানার নিয়ে নিউইয়র্ক পুলিশ সদর দপ্তরের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের সামনেও বিক্ষোভ করেছেন।
‘যুক্তরাষ্ট্রের অন্য শহরগুলোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন শহরে নিয়মিতভাবে ছোটখাটো বিক্ষোভ হচ্ছে। করপোরেট লোভ ও ব্যাংকের বন্ধকী সম্পদ দখল বন্ধের দাবিতে রাইট টু দ্য সিটি নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার বোস্টন শহরে ব্যাংক অব আমেরিকার কার্যালয়ের সামনে প্রায় তিন হাজার লোক বিক্ষোভ করেছেন।
No comments