দারুণ শুরুর পরও সেই অস্ট্রেলিয়া
কেপটাউনের ভূতই কি তবে তাড়া করল অস্ট্রেলিয়াকে? কেপটাউনে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে পড়েছিল ১২ উইকেট। কালও খেলার মোড় পাল্টে গেল ওই দ্বিতীয় সেশনেই। প্রথম সেশনে ওয়াটসন-হিউজের ব্যাটিং-ঝড়ে যখন মনে হচ্ছিল আগের টেস্টের দুঃস্বপ্নকে চাপা দিতে চলেছে অস্ট্রেলিয়া, তখনই ফিরে এল কেপটাউনের স্মৃতি। ৪৭ রানে অলআউট হওয়ার মতো কিছু হয়নি, তবে ১৭৪ রানের উদ্বোধনী জুটির পর অস্ট্রেলিয়া ১০ উইকেট হারাল ১২২ রানে!
উদ্বোধনী জুটির ওই ব্যাটিংয়ের পরও অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত লিড পেল মূলত মিচেল জনসনের সৌজন্যে। ২৫৫ রানে যখন অষ্টম উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া, মনে হচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা লিডও নিতে পারে। জনসনের ৩৮ রানই অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিল ৩০ রানের লিড। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে মাত্র ৪ বল খেলা হওয়ার পরই টানা দ্বিতীয় দিনের মতো খেলা শেষ হয় আলোকস্বল্পতায়।
হিউজ-ওয়াটসনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনে বল ফেলারই জায়গা পাচ্ছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা। শেন ওয়াটসন শুরু থেকেই খেলেছেন নিজের মতো। শুরুতে একটু নড়বড়ে থাকলেও ওয়াটসনকেও পরে ছাড়িয়ে গেছেন ফিলিপ হিউজ। প্রথম সেশনের ৩৩ ওভারে বল সীমানা ছাড়া ২৮ বার! ১২টি চারের সঙ্গে দুটি ছয় মারেন ওয়াটসন, ১৪টি চার হিউজ। দুজনের ইনিংসেই ছিল দেখার মতো সব কভার ড্রাইভ। এক সেশনেই ৫.১২ গড়ে দুজন তোলেন ১৬৯ রান!
লাঞ্চের পর যেন ভোজভাজির মতো পাল্টে গেল সব। প্রথম সেশনে এলোমেলো দক্ষিণ আফ্রিকান পেসাররা খুঁজে পেলেন লাইন-লেংথ। রানের জন্য হাঁসফাঁস শুরু হলো ওয়াটসন-হিউজের। হিউজের মৃত্যু ডেকে আনল প্রিয় কাট শট। এরপর ক্যারিয়ার বাঁচানো লড়াইয়ে থাকা রিকি পন্টিং আরও শঙ্কায় ফেললেন ক্যারিয়ারকে। সুইং করে ভেতরে ঢোকা বল ফ্লিক করতে গিয়ে এলবিডব্লু—ক্যারিয়ারে অজস্রবার এভাবেই আউট হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক।
উইকেটের স্বাদ পেয়ে আরও জ্বলে উঠলেন প্রোটিয়া পেসাররা। ক্যালিসের বাউন্সারে ইমরান তাহিরের দুর্দান্ত ক্যাচ আরও একবার সেঞ্চুরির দোরগোড়া থেকে ফেরাল ওয়াটসনকে। আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান ক্লার্ক ধরা পড়লেন প্রথম স্লিপে। দ্বিতীয় সেশনে ২৫ ওভারে মাত্র ৫১ রান আসে ৪ উইকেট হারিয়ে। উজ্জীবিত দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ সেশনে আরও চেপে ধরে। হাসি-হাডিনের ব্যাটে লড়াইয়ের ইঙ্গিত থাকলেও টিকতে পারেননি কেউই। দ্বাদশ ফিল্ডার সহজ ক্যাচ মিস করায় ৫ উইকেট হয়নি, তবে সফলতম বোলার আবারও ডেল স্টেইন।
উদ্বোধনী জুটির ওই ব্যাটিংয়ের পরও অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত লিড পেল মূলত মিচেল জনসনের সৌজন্যে। ২৫৫ রানে যখন অষ্টম উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া, মনে হচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা লিডও নিতে পারে। জনসনের ৩৮ রানই অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিল ৩০ রানের লিড। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে মাত্র ৪ বল খেলা হওয়ার পরই টানা দ্বিতীয় দিনের মতো খেলা শেষ হয় আলোকস্বল্পতায়।
হিউজ-ওয়াটসনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনে বল ফেলারই জায়গা পাচ্ছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা। শেন ওয়াটসন শুরু থেকেই খেলেছেন নিজের মতো। শুরুতে একটু নড়বড়ে থাকলেও ওয়াটসনকেও পরে ছাড়িয়ে গেছেন ফিলিপ হিউজ। প্রথম সেশনের ৩৩ ওভারে বল সীমানা ছাড়া ২৮ বার! ১২টি চারের সঙ্গে দুটি ছয় মারেন ওয়াটসন, ১৪টি চার হিউজ। দুজনের ইনিংসেই ছিল দেখার মতো সব কভার ড্রাইভ। এক সেশনেই ৫.১২ গড়ে দুজন তোলেন ১৬৯ রান!
লাঞ্চের পর যেন ভোজভাজির মতো পাল্টে গেল সব। প্রথম সেশনে এলোমেলো দক্ষিণ আফ্রিকান পেসাররা খুঁজে পেলেন লাইন-লেংথ। রানের জন্য হাঁসফাঁস শুরু হলো ওয়াটসন-হিউজের। হিউজের মৃত্যু ডেকে আনল প্রিয় কাট শট। এরপর ক্যারিয়ার বাঁচানো লড়াইয়ে থাকা রিকি পন্টিং আরও শঙ্কায় ফেললেন ক্যারিয়ারকে। সুইং করে ভেতরে ঢোকা বল ফ্লিক করতে গিয়ে এলবিডব্লু—ক্যারিয়ারে অজস্রবার এভাবেই আউট হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক।
উইকেটের স্বাদ পেয়ে আরও জ্বলে উঠলেন প্রোটিয়া পেসাররা। ক্যালিসের বাউন্সারে ইমরান তাহিরের দুর্দান্ত ক্যাচ আরও একবার সেঞ্চুরির দোরগোড়া থেকে ফেরাল ওয়াটসনকে। আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান ক্লার্ক ধরা পড়লেন প্রথম স্লিপে। দ্বিতীয় সেশনে ২৫ ওভারে মাত্র ৫১ রান আসে ৪ উইকেট হারিয়ে। উজ্জীবিত দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ সেশনে আরও চেপে ধরে। হাসি-হাডিনের ব্যাটে লড়াইয়ের ইঙ্গিত থাকলেও টিকতে পারেননি কেউই। দ্বাদশ ফিল্ডার সহজ ক্যাচ মিস করায় ৫ উইকেট হয়নি, তবে সফলতম বোলার আবারও ডেল স্টেইন।
No comments