রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-ফুটপাত-আইল্যান্ড ঘিরে প্রতিদিন অর্ধলাখ টাকার চাঁদাবাজি by রফিকুল ইসলাম,
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রোডের ফুটপাত ও আইল্যান্ডকে ঘিরে প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ে নেমেছে স্থানীয় একটি চক্র। প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে এই চাঁদা আদায় করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, আদায়কৃত চাঁদার একটি অংশ স্থানীয় পুলিশ বঙ্রে সদস্যদের দেওয়া হয়। মেডিক্যাল কলেজ এলাকার সিপাইপাড়ার টুটুলের আশ্রয়ে স্থানীয় জনি ও রবিন এই চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এখানকার ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কেউ ভয়ে মুখ খোলার সাহস পান না। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের ম্যানেজ করে এই এলাকাটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণের কথা বলে ওই চক্রটি দিনের পর দিন চাঁদাবাজি করে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রোডের ফুটপাতে বসা এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'কী আর করার আছে, এখানে ব্যবসা করতে হলে টাকা দিতেই হবে। টাকা না দিলে এক দিনও ব্যবসা করা যাবে না।'
গতকাল শনিবার সকালে সরেজমিন ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড় এলাকা থেকে মেডিক্যাল কলেজের সামনে পর্যন্ত ফুটপাত ও আইল্যান্ড ঘিরে পান-সিগারেট, ফলের দোকান, প্লাস্টিক সামগ্রীর দোকান, রুটির দোকানসহ বিভিন্ন প্রকার দুই শতাধিক দোকানপাট রয়েছে। এ ছাড়া এই রাস্তার দক্ষিণপাশে ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে পাঁচটি খাবার হোটেল। এসব দোকানপাট ও হোটেল থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা থেকে শুরু করে অন্তত ৩০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন বিকেল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত নামের তালিকা ধরে এই চাঁদা উত্তোলন করা হয়।
হাসপাতাল পুলিশ বঙ্রে সুবেদার আবদুল কুদ্দুস বলেন, 'আমি এখানে মাত্র ছয় দিন আগে যোগদান করেছি। এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। তবে রাস্তার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যারা প্রকাশ্যে চাঁদা তুল,েছ তাদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির।'
লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির হাবিলদার রওশন আলী বলেন, 'হাসপাতাল এলাকার বিষয় দেখবে হাসপাতাল পুলিশ বঙ্। কাজেই কোথায় কী হচ্ছে, তারাই ভালো জানে।'
No comments