মাহবুব উল আলম চৌধুরীকে নিয়ে 'স্মরণে-বরণে' ও 'স্মৃতির খাতা'

মর একুশের প্রথম কবিতার কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীর ৮৫তম জন্মদিন উপলক্ষে নিবেদিত হলো দুটি চমৎকার প্রকাশনা। প্রকাশিত হয়েছে তাঁকে নিয়ে স্মারক গ্রন্থ 'স্মরণে-বরণে' ও তাঁর অবিস্মরণীয় কবিতা 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি'-এর প্রথম মুদ্রণ, হস্তলিপি ও ইংরেজি অনুবাদ সংবলিত ডায়েরি 'স্মৃতির খাতা'।গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য


অনুষ্ঠানে বইগুলোর প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয়। কবির জন্মদিন উপলক্ষে ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালায় আরো ছিল সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও স্মৃতিচারণা।
স্মারক গ্রন্থ 'স্মরণে-বরণে' সম্পাদনা করেছেন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন ও কবিপত্নী জওশন আরা রহমান। আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। ৩৫২ পৃষ্ঠার স্মারক গ্রন্থে ৭৮ জন লেখকের মূল্যায়ন, স্মৃতিচারণা, প্রবন্ধ, শ্রদ্ধাঞ্জলি, কবির জীবনপঞ্জি, গ্রন্থ তালিকা ইত্যাদি স্থান পেয়েছে।
'স্মৃতির খাতা' ডায়েরিতে বায়ান্ন সালের একুশে ফেব্রুয়ারির গুলিবর্ষণ ঘটনার পরপরই কোহিনূর প্রেস থেকে লিফলেট প্রকাশিত 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' কপির অনুলিপি, কবির হস্তলিপি এবং ইংরেজিতে কবীর চৌধুরীর অনুবাদ স্থান পেয়েছে। 'স্মরণে-বরণে' ও 'স্মৃতির খাতা' প্রকাশ করেছে পালক পাবলিশার্স।
গতকালের অনুষ্ঠানে মাহবুব উল আলম চৌধুরীর জীবন, কর্মের মূল্যায়ন ও স্মৃতিচারণা করেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, কবি নাসির আহমেদ, ক্রান্তির সভাপতি মাহবুবুল হায়দার মোহন প্রমুখ। মাহবুব উল আলম চৌধুরী ১৯২৭ সালের ৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর মারা যান।
রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে মেঘমল্লার সংগীত সন্ধ্যা : সংগীত চর্চার সংগঠন 'মেঘমল্লা'র দ্বিতীয় সংগীত সন্ধ্যা ছিল গতকাল জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান নিয়ে ছিল এবারের আয়োজন। এতে নবীন-প্রবীণ ১৩ শিল্পীর গান দিয়ে সাজানো হয় অনুষ্ঠান। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও পরিচ্ছন্ন অনুষ্ঠান হলেও শ্রোতাদের উপস্থিতি ছিল না তেমন। কারণ হিসেবে জানা গেছে, জাদুঘরের মূল প্রবেশ পথে নিরাপত্তাকর্মীরা বেশ কড়াকড়ি করেন এবং ফটক বন্ধ রাখেন। 'ভেতরে কোনো অনুষ্ঠান নেই' বলে নিরাপত্তাকর্মীদের শ্রোতাদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করতে দেখা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.