গাদ্দাফির বড় ছেলে সাইফ আটক
লিবিয়ার সাবেক নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির বড় ছেলে সাইফ আল-ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের শহর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের (এনটিসি) বিচারমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-আল্লাগুই এ কথা জানিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।লিবিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা জানান, দক্ষিণাঞ্চলীয় ওবারি শহরের কাছের এক মরুভূমিতে কয়েকজন দেহরক্ষীসহ সাইফকে
গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে উত্তরাঞ্চলীয় জিনতান শহরে নেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে গাদ্দাফি সরকারের ঊর্ধ্বতন কাউকে পাওয়া যায়নি বলে তাঁরা জানান। সাইফ সাবেক নেতার পরিবারের অন্যতম সদস্য, যাঁকে জীবিত আটক করা হলো।
সাইফ আল-ইসলামকে গাদ্দাফির উত্তরসূরি মনে করা হতো। গত আগস্টে বিদ্রোহীরা ত্রিপোলি দখল করার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। লিবিয়ায় বিদ্রোহের সময় তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য গত ২৭ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সম্প্রতি তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছে আত্মসমর্পণও করতে চেয়েছিলেন।
এনটিসির বিচারমন্ত্রী মোহাম্মেদ আল-আল্লাগুই বলেন, 'ওবারি এলাকা থেকে সাইফ আল-ইসলামকে কয়েকজন দেহরক্ষীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।' এনটিসির যোদ্ধা উইসাম দুগালে 'ফ্রি লিবিয়ান' টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত তাঁকে (সাইফ) নিরাপদে রাখার জন্যই জিনতানে নেওয়া হয়েছে।
লিবিয়ার ক্ষমতাসীন এনটিসির মিত্রবাহিনী জিনতান ব্রিগেডের এক কমান্ডার সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ নাইজারে পালানোর চেষ্টার সময় অভিযান চালিয়ে সাইফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাইফকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর একটি ছবি সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ছবিতে তাঁর তিনটি আঙুলে ব্যান্ডেজ করা দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে আল-কাক ব্রিগেডসের কমান্ডার ওথম্যান মিলেগতার রবাত দিয়ে সিএনএন জানায়, সাইফকে গ্রেপ্তারের সময় কিছুটা লড়াই হয়েছে। ওই সময় তিনি সামান্য আহত হয়েছেন। তবে তিনি ভালো আছেন।
গত মধ্য ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়ায় গাদ্দাফির পতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিরোধীদের দমন করতে গাদ্দাফির নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালায়। এতে অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতার জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাদ্দাফি, তাঁর গোয়েন্দা প্রধান আবদুল্লাহ আল-সেনুসি ও সাইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
গত ২০ অক্টোবর গাদ্দাফি তাঁর জন্ম-শহর সিরতে এনটিসি সেনাদের হাতে নিহত হন। তবে আবদুল্লাহ আল-সেনুসি এখনো পলাতক রয়েছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, সিএনএন।
সাইফ আল-ইসলামকে গাদ্দাফির উত্তরসূরি মনে করা হতো। গত আগস্টে বিদ্রোহীরা ত্রিপোলি দখল করার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। লিবিয়ায় বিদ্রোহের সময় তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য গত ২৭ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সম্প্রতি তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছে আত্মসমর্পণও করতে চেয়েছিলেন।
এনটিসির বিচারমন্ত্রী মোহাম্মেদ আল-আল্লাগুই বলেন, 'ওবারি এলাকা থেকে সাইফ আল-ইসলামকে কয়েকজন দেহরক্ষীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।' এনটিসির যোদ্ধা উইসাম দুগালে 'ফ্রি লিবিয়ান' টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত তাঁকে (সাইফ) নিরাপদে রাখার জন্যই জিনতানে নেওয়া হয়েছে।
লিবিয়ার ক্ষমতাসীন এনটিসির মিত্রবাহিনী জিনতান ব্রিগেডের এক কমান্ডার সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ নাইজারে পালানোর চেষ্টার সময় অভিযান চালিয়ে সাইফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাইফকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর একটি ছবি সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ছবিতে তাঁর তিনটি আঙুলে ব্যান্ডেজ করা দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে আল-কাক ব্রিগেডসের কমান্ডার ওথম্যান মিলেগতার রবাত দিয়ে সিএনএন জানায়, সাইফকে গ্রেপ্তারের সময় কিছুটা লড়াই হয়েছে। ওই সময় তিনি সামান্য আহত হয়েছেন। তবে তিনি ভালো আছেন।
গত মধ্য ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়ায় গাদ্দাফির পতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিরোধীদের দমন করতে গাদ্দাফির নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালায়। এতে অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতার জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাদ্দাফি, তাঁর গোয়েন্দা প্রধান আবদুল্লাহ আল-সেনুসি ও সাইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
গত ২০ অক্টোবর গাদ্দাফি তাঁর জন্ম-শহর সিরতে এনটিসি সেনাদের হাতে নিহত হন। তবে আবদুল্লাহ আল-সেনুসি এখনো পলাতক রয়েছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, সিএনএন।
No comments