সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে বেসিক ব্যাংক
গ্রাহক সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে বেসিক ব্যাংক। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাংকের সব সূচক আগের তুলনায় ভালো অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশিত সীমার মধ্যে রেখে ঋণ প্রদান ও আমানত সংগ্রহের কাজ করছে ব্যাংকটি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীকালে সব সেবা দিচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স আহরণ, আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পরিচালনা, কৃষি, শিল্পসহ যে কোনো
উৎপাদনশীল খাতে ঋণ প্রদান, আমানত সংগ্রহসহ সব কাজ পরিচালনা করছে ব্যাংকটি। সেবার পরিধি বাড়াতে চলতি বছর আরও ১৫টি শাখা খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনটি শাখা খোলা হয়েছে। চলতি মাসে খোলা হচ্ছে আরও তিনটি। বাকি ৯টি শাখা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনসহ সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে বলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলাম জানান। গত বৃহস্পতিবার সমকালের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাংকটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। ইতিবাচক ধারায় ব্যাংক চালাতে পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সব সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পাশাপাশি সব শাখায় হেলপ ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে যে কোনো অভিযোগ এলে তা যথাসময়ে নিষ্পত্তি করা হয়। এতে ব্যাংকটির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। সব গ্রাহক বেসিক ব্যাংকের সেবার আওতায় আসছে। তিনি মনে করেন, সরকারি 'মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের বিরূপ ধারণা রয়েছে। সে ধারণা থেকে বেরিয়ে উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বেসিক ব্যাংক। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে তুলনামূলকভাবে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। ব্যাংকটির কিছু ঋণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশনা অনুযায়ী সেসব ঋণের বিষয়ে যথযথভাবে পর্যালোচনা পূর্বক সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নে কৃষি খাত ও নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি জোর দেওয়া হচ্ছে। ২০১১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭১৮ কোটি ৭২ লাখ এবং ঋণ ৫ হাজার ২৮৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এ সময়ে বেসিক ব্যাংকের মাধ্যমে আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৬২ কোটি এবং রফতানি হয়েছে ২ হাজার ৮৮১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার পণ্য। আলোচ্য সময়ে ২২০ কোটি টাকা লাভ করেছে ব্যাংকটি। বেসিক ব্যাংকে বর্তমানে ২৬৭ কোটি টাকা শ্রেণীকৃত এবং ২ হাজার ৫৮৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার মন্দ ঋণ থাকলেও তা কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, ঋণ ও আমানতের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ব্যাংকের শৃঙ্খলা বাড়াতে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। বর্তমানে ব্যাংকটিতে ৫ শতাংশ ঋণখেলাপি রয়েছে। তা অন্যান্য সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকের তুলনায় বেশ কম। এটি আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০১১ সালের জুনের আগ পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের ৩৩টি শাখার মাধ্যমে গ্রাহক সেবা দেওয়া হতো। শাখা না বাড়ালে গ্রাহক সেবা বাড়ানো সম্ভব নয়। এ চিন্তা থেকে চলতি বছরের মধ্যে নতুনভাবে ১৫টি শাখা খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বছর শেষে ব্যাংকটি ৪৯টি শাখার মাধ্যমে গ্রাহক সেবা দেবে। তাদের সব শাখা থেকেই এখন অনলাইনে সেবা পাওয়া যায় বলে জানান। তিনি বলেন, শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকটিতে নগদ টাকার কোনো সংকট নেই। বর্তমানে বেসিক ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাত (সিডিআর) ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বেশকিছু ব্যাংক যে সময়ে দৈনন্দিন লেনদেন মেটাতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার (কলমানি) থেকে ধার নিয়ে চলছে সে সময়ে গত দু'সপ্তাহেরও বেশি বেসিক ব্যাংক থেকে কলমানিতে দৈনিক এক হাজার কোটি টাকা করে ধার দেওয়া হচ্ছে। ধার দেওয়ার এ প্রবণতা দেখে বোঝা যায় ব্যাংকে যথেষ্ট তারল্য আছে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পাশাপাশি সব শাখায় হেলপ ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে যে কোনো অভিযোগ এলে তা যথাসময়ে নিষ্পত্তি করা হয়। এতে ব্যাংকটির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। সব গ্রাহক বেসিক ব্যাংকের সেবার আওতায় আসছে। তিনি মনে করেন, সরকারি 'মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের বিরূপ ধারণা রয়েছে। সে ধারণা থেকে বেরিয়ে উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বেসিক ব্যাংক। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে তুলনামূলকভাবে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। ব্যাংকটির কিছু ঋণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশনা অনুযায়ী সেসব ঋণের বিষয়ে যথযথভাবে পর্যালোচনা পূর্বক সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নে কৃষি খাত ও নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি জোর দেওয়া হচ্ছে। ২০১১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭১৮ কোটি ৭২ লাখ এবং ঋণ ৫ হাজার ২৮৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এ সময়ে বেসিক ব্যাংকের মাধ্যমে আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৬২ কোটি এবং রফতানি হয়েছে ২ হাজার ৮৮১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার পণ্য। আলোচ্য সময়ে ২২০ কোটি টাকা লাভ করেছে ব্যাংকটি। বেসিক ব্যাংকে বর্তমানে ২৬৭ কোটি টাকা শ্রেণীকৃত এবং ২ হাজার ৫৮৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার মন্দ ঋণ থাকলেও তা কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, ঋণ ও আমানতের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ব্যাংকের শৃঙ্খলা বাড়াতে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। বর্তমানে ব্যাংকটিতে ৫ শতাংশ ঋণখেলাপি রয়েছে। তা অন্যান্য সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকের তুলনায় বেশ কম। এটি আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০১১ সালের জুনের আগ পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের ৩৩টি শাখার মাধ্যমে গ্রাহক সেবা দেওয়া হতো। শাখা না বাড়ালে গ্রাহক সেবা বাড়ানো সম্ভব নয়। এ চিন্তা থেকে চলতি বছরের মধ্যে নতুনভাবে ১৫টি শাখা খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বছর শেষে ব্যাংকটি ৪৯টি শাখার মাধ্যমে গ্রাহক সেবা দেবে। তাদের সব শাখা থেকেই এখন অনলাইনে সেবা পাওয়া যায় বলে জানান। তিনি বলেন, শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকটিতে নগদ টাকার কোনো সংকট নেই। বর্তমানে বেসিক ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাত (সিডিআর) ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বেশকিছু ব্যাংক যে সময়ে দৈনন্দিন লেনদেন মেটাতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার (কলমানি) থেকে ধার নিয়ে চলছে সে সময়ে গত দু'সপ্তাহেরও বেশি বেসিক ব্যাংক থেকে কলমানিতে দৈনিক এক হাজার কোটি টাকা করে ধার দেওয়া হচ্ছে। ধার দেওয়ার এ প্রবণতা দেখে বোঝা যায় ব্যাংকে যথেষ্ট তারল্য আছে।
No comments