র ঙ বে র ঙ-আত্মার আবাসস্থল
মায়াময় এ পৃথিবী বড্ড অদ্ভুত। বিস্ময়কর তো বটেই। এর স্থানে স্থানে কত যে বিচিত্র ঘটনা ঘটে চলছে, তার কোনো হিসাব নেই। ভূত-প্রেত বা অশরীরী আত্মার প্রাণী বলে আসলেই কি পৃথিবীতে কিছু আছে, নাকি কেবলই তা মানুষের ভ্রম- এ নিয়ে বিজ্ঞানীরা নানা মন্তব্য করেন বটে, তবে তাতে মানুষের মন ভরে না। শঙ্কা থেকেই যায়। সন্ধ্যায় তাই আজও একাকী তেঁতুল বা বটগাছের নিচ দিয়ে বাড়ি ফিরতে অনেকেরই বুক কাঁপে।
ভয়, যদি কিছু হয়! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্ব ম্যাসাচুসেটসে আছে অস্বাভাবিক ঘটনাবলির একটি স্থান, যা যুগ যুগ ধরে মানুষের কৌতূহল জিইয়ে রেখেছে। এলাকাটি ব্রিজওয়াটার ট্রায়াঙ্গল নামেই পরিচিত। দুইশ' বর্গমাইলের এলাকাটিতে ঘটে যাওয়া নানা অস্বাভাবিক ঘটনা সম্পর্কে প্রথম লেখেন লরেল কোলম্যান তার 'মিসট্ররিয়াস আমেরিকা' গ্রন্থে। ঔপনিবেশিক আমল থেকেই নাকি স্থানটিতে ঘটে চলছে নানা অস্বাভাবিক ঘটনা। এ এলাকায় যারাই গেছেন, তারাই পড়েছেন গোলক ধাঁধায়। হঠাৎ করেই নাকি সেখানে আগুনের গোলা উড়ে আসে! ভূত-প্রেতের অত্যাচার তো আছেই। এছাড়া বড় পায়ের দানবেরও আনাগোনাও আছে। বন-জঙ্গলের ফাঁক-ফোকর থেকে বেরিয়ে আসে বড় বড় সাপ এবং ভয়ঙ্কর নানা ধরনের পাখি। গবাদি পশুর আকৃতিবিশিষ্ট অঙ্গচ্ছেদ কিছু প্রাণীরও দেখা মেলে। এসব ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে বিশালায়তনের স্থানটির ঠিক মধ্যভাগে। অর্থাৎ হোককোমোক জলাভূমির চারপাশে। এ স্থানটিকে অবশ্য 'আত্মার আবাসভূমি' হিসেবে অভিহিত করা হয়। তবে ঔপনিবেশিক আমল থেকে স্থানটি 'প্রেতাত্মার জলাভূমি' নামেই বেশি পরিচিত। ত্রিভুজাকৃতির স্থানটিতে আছে একটি সমাধিক্ষেত্রও, যেখানে কয়েক ভারতীয়কে সমাহিত করা হয়েছে।
পর্যটক এবং আশপাশের এলাকার মানুষের পর্যবেক্ষণ হলো, হঠাৎ করেই এলাকাটি আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যায়, আগুনের বল উড়ে আসছে গুচ্ছ গুচ্ছ। আগুনের সেই গোলার ভেতর দানবাকৃতির বিভিন্ন প্রাণীর সে-কি নাচানাচি! অসংখ্য আগুনের বল ছুটে আসায় আলোকিত হয়ে উঠছে জলাভূমি এলাকা। বিস্ময়কর এ আলোর উৎস কী, তা কোনোভাবেই নির্ণয় করা যায় না।
রহস্যোদ্ঘাটনে স্থানটিতে যেমন গেছেন সাহসী পর্যটকরা, তেমনি বিস্ময়কর সংবাদ সংগ্রহের নেশায় ছুটে গেছেন গণমাধ্যমকর্মীরাও। অপরাধী ধরতে সেখানে হানা দিয়েছে পুলিশ বাহিনীও। যারাই গেছেন, ঘুরে এসে তারাই বলেছেন_ এলাকাটি সত্যিই বিস্ময়কর। ভূত-প্রেতে বিশ্বাস না করলেও সেখানে আসলে যা ঘটে, তার উৎস কোথায়, তাও যে প্রমাণ করা যায় না!
হ ঋতা আলম
পর্যটক এবং আশপাশের এলাকার মানুষের পর্যবেক্ষণ হলো, হঠাৎ করেই এলাকাটি আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যায়, আগুনের বল উড়ে আসছে গুচ্ছ গুচ্ছ। আগুনের সেই গোলার ভেতর দানবাকৃতির বিভিন্ন প্রাণীর সে-কি নাচানাচি! অসংখ্য আগুনের বল ছুটে আসায় আলোকিত হয়ে উঠছে জলাভূমি এলাকা। বিস্ময়কর এ আলোর উৎস কী, তা কোনোভাবেই নির্ণয় করা যায় না।
রহস্যোদ্ঘাটনে স্থানটিতে যেমন গেছেন সাহসী পর্যটকরা, তেমনি বিস্ময়কর সংবাদ সংগ্রহের নেশায় ছুটে গেছেন গণমাধ্যমকর্মীরাও। অপরাধী ধরতে সেখানে হানা দিয়েছে পুলিশ বাহিনীও। যারাই গেছেন, ঘুরে এসে তারাই বলেছেন_ এলাকাটি সত্যিই বিস্ময়কর। ভূত-প্রেতে বিশ্বাস না করলেও সেখানে আসলে যা ঘটে, তার উৎস কোথায়, তাও যে প্রমাণ করা যায় না!
হ ঋতা আলম
No comments