সংস্কৃতি-ছয় শিল্পীর প্রদর্শনীতে জীবনের নানা অসংগতি
কারো শিল্পকর্মে প্রকাশিত হয়েছে জীবন, সময় ও সমাজের নানা অসংগতি, কেউ-বা তুলে ধরেছেন সময় ও স্থানের সঙ্গে মানুষের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক। কারো শিল্পকর্মে উঠে এসেছে শৈশবের সারল্যমাখা অনুভূতি। মাধ্যম ও ভাবনা ভিন্ন হলেও সবার ছবির মধ্যে সাদৃশ্যের জায়গাটি একই; তা হলো সময়। এ কারণেই শিল্পকর্ম প্রদর্শনীটির শিরোনাম 'সময়ের প্রতিচ্ছবি'।
গতকাল শনিবার চারুকলার জয়নুল গ্যালারি-১-এ শুরু হয়েছে চারুকলা অনুষদের ছয় শিল্পীর এ যৌথ প্রদর্শনী। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী হামিদুজ্জামান খান ও শিল্পী লালারুখ সেলিম।
প্রদর্শনীতে যাঁদের শিল্পকর্ম উপস্থাপিত হয়েছে তাঁরা হলেন_শিল্পী অসীম হালদার সাগর, ফরহাদ উদ্দিন মাসুম, গোপাল চন্দ্র সাহা, মেহেরুননেছা নিপা, শ্যামল চন্দ্র সরকার ও উমা মণ্ডল। মোট ২৩টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে। এর মধ্যে ১৭টি চিত্রকর্ম ও ছয়টি ভাস্কর্য। সিরামিক, অ্যাক্রিলিক, জলরং, সেরিগ্রাফ, উড কার্ভিং ও এচিং-অ্যাকুয়াটিন্ট_এই ছয় মাধ্যমে শিল্পীরা নির্মাণ করেছেন তাঁদের শিল্পকর্ম।
উপস্থাপিত শিল্পকর্মগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাত হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী সবার জন্য খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। ২৩ নভেম্বর প্রদর্শনীর শেষ দিন।
অসীম হালদার সাগর মৃৎশিল্প বিভাগের এমএফএ চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থী। রাকু গ্লেজ, কম্পোজিশনের ভিন্নতা ও নিজের আত্মপ্রতিকৃতির ব্যবহার অন্যদের থেকে আলাদা করেছে অসীমের মৃৎ ভাস্কর্যকে। ফরহাদ উদ্দিন মাসুম ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের এমএফএ চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থী। তাঁর চিত্রকর্মের বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন, সময়, অনুভূতি, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ। গোপাল সাহা প্রাচ্যকলা বিভাগের এমএফএ চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনা যেকোনো সময় ধূলিসাৎ করে দিতে পারে মানুষের স্বপ্ন, এরই আভাস দিয়েছেন তিনি তাঁর ছবিগুলোতে। মেহেরুননেছা নিপা কারুশিল্প বিভাগের এমএফএ চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থী। স্ক্রিনপ্রিন্ট মাধ্যমে বিভাগীয় বিষয়গত অবকাঠামো থেকে বেরিয়ে গবেষণামূলক বিষয়কে উপস্থাপন করেছেন ভিন্ন আঙ্গিকে। শ্যামল চন্দ্র সরকারের তিনটি উড কার্ভিং রয়েছে এ প্রদশর্নীতে। কিছুটা বিমূর্ত ঘরানায় করা মানুষ, ঘোড়া ও কুকুরের অবয়ব এবং এগুলোর বাহ্যিক সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন দক্ষতার সঙ্গে। উমা মণ্ডল প্রিন্ট মেকিং বিভাগের এমএফএ চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থী। তাঁর এচিং-অ্যাকুয়াটিন্ট মাধ্যমে করা বয়হুড সিরিজটি একরঙা। বর্ণের অভাবটা মাধ্যমগত।
শুরু হলো 'তিন দশকপূর্তি নাট্যোৎসব'
'হে মোর চিত্ত, পুণ্য তীর্থে জাগো রে' স্লোগানে গতকাল শনিবার থেকে শুরু হলো 'তিন দশকপূর্তি নাট্যোৎসব'। পথচলার তিন দশকপূর্তি উপলক্ষে লোক নাট্যদল (বনানী) এ নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় এ উৎসবের উদ্বোধন করেন মামুনুর রশীদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ। আরো উপস্থিত ছিলেন ঝুনা চৌধুরী ও লোক নাট্যদলের উপদেষ্টা মোহিনী মোহন চক্রবর্তী। সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি অভিজিৎ চৌধুরী।
উদ্বোধনী সন্ধ্যায় মঞ্চায়ন করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বৈকুণ্ঠের খাতা'। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন কামরুন নূর চৌধুরী। নাটকটির কাহিনী এগিয়েছে বৈকুণ্ঠ নামের এক লেখককে ঘিরে। তার লেখার বিষয়বস্তু মূলত সংগীত এবং প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সংগীতশাস্ত্রের উৎপত্তি ও ইতিহাস। কিন্তু সহজ-সরল ও উদার প্রকৃতির মানুষ বৈকুণ্ঠের লেখা শোনার ব্যাপারে পরিবারের অন্য সদস্যদের রয়েছে নিদারুণ অবহেলা। একপর্যায়ে পরিবারে আবির্ভাব ঘটে ধূর্ত ও সুযোগসন্ধানী কেদারের। সে বৈকুণ্ঠের লেখা শুনে মন জয় করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার অভিসন্ধি থাকে ভিন্ন। একপর্যায়ে পরিবারে নেমে আসে নানা বিপর্যয়।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদুর রহমান, আবদুল্লাহ আল হারুন, খায়রুল আলম, আনোয়ার কায়সার, তৌহিদুল ইসলাম, বাসুদেব হালদার, সুধাংশু নাথ প্রমুখ। আজ রবিবার দ্বিতীয় দিনের সন্ধ্যায় মঞ্চায়িত হবে লোক নাট্যদলের 'কঞ্জুস'। এ ছাড়া নাট্যশালার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে রয়েছে বাউল গানের আসর।
অর্ধশতাব্দীতে ছায়ানটের দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা
পথচলার ৫০ বছর পার করছে ছায়ানট। এ উপলক্ষে 'স্থির প্রত্যয়ে যাত্রা' শিরোনামে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর অতীত ও বর্তমান সংগঠক-কর্মী-সদস্য এবং নানা কার্যক্রমের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে মিলিত হবেন। আয়োজনের প্রথম দিন থাকছে আনন্দ সম্মিলন, প্রদর্শনী ও ছায়ানটের নানা কার্যক্রম উপস্থাপনা। পরের দিন সন্ধ্যায় ছায়ানট মিলনায়তনে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শনিবার সকালে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রদর্শনীতে যাঁদের শিল্পকর্ম উপস্থাপিত হয়েছে তাঁরা হলেন_শিল্পী অসীম হালদার সাগর, ফরহাদ উদ্দিন মাসুম, গোপাল চন্দ্র সাহা, মেহেরুননেছা নিপা, শ্যামল চন্দ্র সরকার ও উমা মণ্ডল। মোট ২৩টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে এ প্রদর্শনীতে। এর মধ্যে ১৭টি চিত্রকর্ম ও ছয়টি ভাস্কর্য। সিরামিক, অ্যাক্রিলিক, জলরং, সেরিগ্রাফ, উড কার্ভিং ও এচিং-অ্যাকুয়াটিন্ট_এই ছয় মাধ্যমে শিল্পীরা নির্মাণ করেছেন তাঁদের শিল্পকর্ম।
উপস্থাপিত শিল্পকর্মগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাত হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী সবার জন্য খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। ২৩ নভেম্বর প্রদর্শনীর শেষ দিন।
অসীম হালদার সাগর মৃৎশিল্প বিভাগের এমএফএ চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থী। রাকু গ্লেজ, কম্পোজিশনের ভিন্নতা ও নিজের আত্মপ্রতিকৃতির ব্যবহার অন্যদের থেকে আলাদা করেছে অসীমের মৃৎ ভাস্কর্যকে। ফরহাদ উদ্দিন মাসুম ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের এমএফএ চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থী। তাঁর চিত্রকর্মের বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন, সময়, অনুভূতি, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ। গোপাল সাহা প্রাচ্যকলা বিভাগের এমএফএ চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনা যেকোনো সময় ধূলিসাৎ করে দিতে পারে মানুষের স্বপ্ন, এরই আভাস দিয়েছেন তিনি তাঁর ছবিগুলোতে। মেহেরুননেছা নিপা কারুশিল্প বিভাগের এমএফএ চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থী। স্ক্রিনপ্রিন্ট মাধ্যমে বিভাগীয় বিষয়গত অবকাঠামো থেকে বেরিয়ে গবেষণামূলক বিষয়কে উপস্থাপন করেছেন ভিন্ন আঙ্গিকে। শ্যামল চন্দ্র সরকারের তিনটি উড কার্ভিং রয়েছে এ প্রদশর্নীতে। কিছুটা বিমূর্ত ঘরানায় করা মানুষ, ঘোড়া ও কুকুরের অবয়ব এবং এগুলোর বাহ্যিক সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন দক্ষতার সঙ্গে। উমা মণ্ডল প্রিন্ট মেকিং বিভাগের এমএফএ চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থী। তাঁর এচিং-অ্যাকুয়াটিন্ট মাধ্যমে করা বয়হুড সিরিজটি একরঙা। বর্ণের অভাবটা মাধ্যমগত।
শুরু হলো 'তিন দশকপূর্তি নাট্যোৎসব'
'হে মোর চিত্ত, পুণ্য তীর্থে জাগো রে' স্লোগানে গতকাল শনিবার থেকে শুরু হলো 'তিন দশকপূর্তি নাট্যোৎসব'। পথচলার তিন দশকপূর্তি উপলক্ষে লোক নাট্যদল (বনানী) এ নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় এ উৎসবের উদ্বোধন করেন মামুনুর রশীদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ। আরো উপস্থিত ছিলেন ঝুনা চৌধুরী ও লোক নাট্যদলের উপদেষ্টা মোহিনী মোহন চক্রবর্তী। সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি অভিজিৎ চৌধুরী।
উদ্বোধনী সন্ধ্যায় মঞ্চায়ন করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বৈকুণ্ঠের খাতা'। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন কামরুন নূর চৌধুরী। নাটকটির কাহিনী এগিয়েছে বৈকুণ্ঠ নামের এক লেখককে ঘিরে। তার লেখার বিষয়বস্তু মূলত সংগীত এবং প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সংগীতশাস্ত্রের উৎপত্তি ও ইতিহাস। কিন্তু সহজ-সরল ও উদার প্রকৃতির মানুষ বৈকুণ্ঠের লেখা শোনার ব্যাপারে পরিবারের অন্য সদস্যদের রয়েছে নিদারুণ অবহেলা। একপর্যায়ে পরিবারে আবির্ভাব ঘটে ধূর্ত ও সুযোগসন্ধানী কেদারের। সে বৈকুণ্ঠের লেখা শুনে মন জয় করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার অভিসন্ধি থাকে ভিন্ন। একপর্যায়ে পরিবারে নেমে আসে নানা বিপর্যয়।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদুর রহমান, আবদুল্লাহ আল হারুন, খায়রুল আলম, আনোয়ার কায়সার, তৌহিদুল ইসলাম, বাসুদেব হালদার, সুধাংশু নাথ প্রমুখ। আজ রবিবার দ্বিতীয় দিনের সন্ধ্যায় মঞ্চায়িত হবে লোক নাট্যদলের 'কঞ্জুস'। এ ছাড়া নাট্যশালার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে রয়েছে বাউল গানের আসর।
অর্ধশতাব্দীতে ছায়ানটের দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা
পথচলার ৫০ বছর পার করছে ছায়ানট। এ উপলক্ষে 'স্থির প্রত্যয়ে যাত্রা' শিরোনামে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর অতীত ও বর্তমান সংগঠক-কর্মী-সদস্য এবং নানা কার্যক্রমের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে মিলিত হবেন। আয়োজনের প্রথম দিন থাকছে আনন্দ সম্মিলন, প্রদর্শনী ও ছায়ানটের নানা কার্যক্রম উপস্থাপনা। পরের দিন সন্ধ্যায় ছায়ানট মিলনায়তনে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শনিবার সকালে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
No comments