‘দ্য লেডি’: মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে?
‘দ্য লেডি’র ভক্তরা অং সান সু চিকে এই ছোট্ট নামেই ডেকে থাকেন। মিয়ানমারের গৃহবন্দী থেকে মুক্ত এই গণতন্ত্রপন্থী নেত্রীই আসছেন দেশটির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে। বিশ্লেষক ও দেশটির জনগণ এমনটিই এখন মনে করে। দীর্ঘ সাত বছরের গৃহবন্দিত্ব থেকে গত বছর মুক্তি পাওয়া মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় এই নেতা চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ জন্য তিনি দলের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত হতে বলেছেন।
উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে গত শুক্রবার সু চির এই ইঙ্গিত বিভিন্ন দিক দিয়ে, বিশেষ করে মিয়ানমারে বৃহত্তর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। গত বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচন বর্জন করে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। তবে নতুন করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফেরার ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
যেদিন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেই একই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন আগামী মাসে মিয়ানমার সফর করবেন। সেটা হবে বিগত অর্ধশতাব্দীর মধ্যে কোনো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম মিয়ানমার সফর।
সু চির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইউ উইন হেইন জানিয়েছেন, গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সু চি দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত এক বছরে বেশ কিছু রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁর ধারণা, সু চি আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
যদিও সু চি দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট করে বলেননি। তবে এ বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত, স্বচ্ছ নির্বাচন হলে তিনিই সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হবেন। বর্তমানে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নয়, পার্লামেন্টের মাধ্যমে নির্বাচিত হন।
পার্লামেন্ট এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করেন দেশের সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠজনেরা। তবে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে সু চির সম্পর্কের বরফ গলেছে। অনেক ক্ষেত্রে বেশ দ্রুততার সঙ্গে উন্নয়ন ঘটেছে। গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি শিথিল করাসহ সাবেক সেনাপ্রধান থেইন সেইনের নেতৃত্বাধীন ‘বেসামরিক’ সরকারের অনেক পদক্ষেপই প্রশংসা কুড়িয়েছে। সরকার কয়েক শ রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। মিয়ানমার চলতি সপ্তাহের শুরুতে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।
থেইন সেইনের এসব পদক্ষেপ পশ্চিমাদের দ্বারাও পুরস্কৃত হয়েছে, যদিও দেশটির ওপর তাদের অবরোধ এখনো বহাল রয়েছে। দ্য ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু মিশেল চলতি সপ্তাহে মিয়ানমার সফর করেছেন। তিনি বৈঠক করেছেন সু চি এবং বিভিন্ন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের মিয়ানমার সফর-সংক্রান্ত ঘোষণাকে সবচেয়ে ইতিবাচক বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ‘আমরা এমন কিছু করতে চাই, যেটা অগ্রগতির ক্ষেত্রে হবে একটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ; এবং এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই, মিয়ানমার যদি গণতন্ত্রের পথ ধরে হাঁটতে থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের নতুন ধারার সম্পর্কের সূচনা হতে পারে।’
ওবামা জানিয়েছেন, হিলারির মিয়ানমার সফরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি সু চির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। সু চি মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা সমর্থন করেছেন। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
যেদিন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেই একই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন আগামী মাসে মিয়ানমার সফর করবেন। সেটা হবে বিগত অর্ধশতাব্দীর মধ্যে কোনো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম মিয়ানমার সফর।
সু চির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইউ উইন হেইন জানিয়েছেন, গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সু চি দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত এক বছরে বেশ কিছু রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁর ধারণা, সু চি আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
যদিও সু চি দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট করে বলেননি। তবে এ বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত, স্বচ্ছ নির্বাচন হলে তিনিই সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হবেন। বর্তমানে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নয়, পার্লামেন্টের মাধ্যমে নির্বাচিত হন।
পার্লামেন্ট এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করেন দেশের সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠজনেরা। তবে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে সু চির সম্পর্কের বরফ গলেছে। অনেক ক্ষেত্রে বেশ দ্রুততার সঙ্গে উন্নয়ন ঘটেছে। গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি শিথিল করাসহ সাবেক সেনাপ্রধান থেইন সেইনের নেতৃত্বাধীন ‘বেসামরিক’ সরকারের অনেক পদক্ষেপই প্রশংসা কুড়িয়েছে। সরকার কয়েক শ রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। মিয়ানমার চলতি সপ্তাহের শুরুতে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।
থেইন সেইনের এসব পদক্ষেপ পশ্চিমাদের দ্বারাও পুরস্কৃত হয়েছে, যদিও দেশটির ওপর তাদের অবরোধ এখনো বহাল রয়েছে। দ্য ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু মিশেল চলতি সপ্তাহে মিয়ানমার সফর করেছেন। তিনি বৈঠক করেছেন সু চি এবং বিভিন্ন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের মিয়ানমার সফর-সংক্রান্ত ঘোষণাকে সবচেয়ে ইতিবাচক বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ‘আমরা এমন কিছু করতে চাই, যেটা অগ্রগতির ক্ষেত্রে হবে একটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ; এবং এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই, মিয়ানমার যদি গণতন্ত্রের পথ ধরে হাঁটতে থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের নতুন ধারার সম্পর্কের সূচনা হতে পারে।’
ওবামা জানিয়েছেন, হিলারির মিয়ানমার সফরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি সু চির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। সু চি মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা সমর্থন করেছেন। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
No comments