বিনিয়োগ বাড়াতে রোড শো by শেখ আবদুল্লাহ
সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোড শো করবে বিনিয়োগ বোর্ড। 'ইনভেস্টরস ফোরাম মিটিং' নামে এ রোড শো করা হবে। আগামী ৮ ডিসেম্বর হংকংয়ে এ রকম একটি রোড শো বা ইনভেস্টর ফোরাম মিটিংয়ের আয়োজন করেছে বিনিয়োগ বোর্ড। বিনিয়োগ বোর্ডকে এ আয়োজনে আর্থিক ও ব্যবস্থাপনাগতভাবে সহযোগিতা করছে সেখানকার একটি বায়িং হাউস কোম্পানি লিং ফাং এবং এইচএসবিসি ব্যাংক।
আশা করা হচ্ছে, চীন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের বিভিন্ন খাতের ১৩০ জন উদ্যোক্তা এ রোড শো বা ফোরাম মিটিংয়ে যোগ দেবেন। এরপর আগামী বছর জার্মানি, সুইডেন ও কোরিয়ায় একই ধরনের রোড শো করা হবে। বিনিয়োগ বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, হংকংয়ে অনুষ্ঠিতব্য ইনভেস্টর ফোরাম মিটিংয়ে ইলেকট্রনিক্স, হালকা প্রোকৌশল, জাহাজ নির্মাণ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং ফিন্যান্সিয়াল লিজিং ব্যবসা বিষয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও সুযোগ তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে এসব খাতের কয়েকটি সফল প্রকল্প তুলে ধরবেন সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তারা। এ ছাড়া ওই মিটিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের আর্থিক পরিস্থিতি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে সরকারি সহযোগিতা এবং বিনিয়োগ বোর্ড দেশের সামগ্রিক বিনিয়োগ পরিস্থিতি তুলে আলাদা করে তুলে ধরবে। হংকংয়ের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন হংকং ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বিনিয়োগ বোর্ড সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পারে।
এ বিষয়ে বিনিয়োগ বোর্ডের পরিচালক তৌহিদুর রহমান সমকালকে বলেন, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিনিয়োগ বোর্ড এ উদ্যোগ নিয়েছে। গত বছর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় যুক্তরাজ্যে যে রোড শো করেছিল তার সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিনিয়োগ বোর্ড আশা করছে, যথাযথভাবে প্রচারণা কার্যক্রম শেষ করতে পারলে তা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি প্রভাবিত করবে। এ প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে বিনিয়োগ বোর্ড নিজস্ব তহবিল থেকে কোনো খরচ করছে না বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই- সেপ্টেম্বর সময়কালে দেশে নিট এফডিআই বেড়েছে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬৫ শতাংশ। বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে নিট এফডিআইর প্রাক্কলন করা হয়েছে ২৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে নিট এফডিআই ছিল ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ে শেয়ারবাজারেও বিদেশি বিনিয়োগ খানিকটা বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৩০ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
বিনিয়োগ বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ এফডিআইর চাহিদা রয়েছে, সে অনুযায়ী কোনো সময়ই বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি। যা নিবন্ধন হয় আসে আবার তার কম। বিনিয়োগ চলে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিযোগী অন্যান্য দেশে। এর অন্যতম কারণ বিদেশে দেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অবকাঠামো দুর্বলতাসহ বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ না থাকা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এফডিআই কিছুটা বেড়েছে। এর মূল কারণ, তৈরি পোশাক খাতে কিছু বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। গত কয়েক মাসে বিদেশিরা বেশ কয়েকটি গার্মেন্ট কারখানা কিনেছে। এগুলোর সমষ্টিগত বিনিয়োগ মোট এফডিআই বাড়াতে সহায়তা করেছে।
সূত্র জানায়, হংকংয়ে অনুষ্ঠিতব্য ইনভেস্টর ফোরাম মিটিংয়ে ইলেকট্রনিক্স, হালকা প্রোকৌশল, জাহাজ নির্মাণ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং ফিন্যান্সিয়াল লিজিং ব্যবসা বিষয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও সুযোগ তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে এসব খাতের কয়েকটি সফল প্রকল্প তুলে ধরবেন সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তারা। এ ছাড়া ওই মিটিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের আর্থিক পরিস্থিতি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে সরকারি সহযোগিতা এবং বিনিয়োগ বোর্ড দেশের সামগ্রিক বিনিয়োগ পরিস্থিতি তুলে আলাদা করে তুলে ধরবে। হংকংয়ের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন হংকং ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বিনিয়োগ বোর্ড সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পারে।
এ বিষয়ে বিনিয়োগ বোর্ডের পরিচালক তৌহিদুর রহমান সমকালকে বলেন, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিনিয়োগ বোর্ড এ উদ্যোগ নিয়েছে। গত বছর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় যুক্তরাজ্যে যে রোড শো করেছিল তার সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিনিয়োগ বোর্ড আশা করছে, যথাযথভাবে প্রচারণা কার্যক্রম শেষ করতে পারলে তা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি প্রভাবিত করবে। এ প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে বিনিয়োগ বোর্ড নিজস্ব তহবিল থেকে কোনো খরচ করছে না বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই- সেপ্টেম্বর সময়কালে দেশে নিট এফডিআই বেড়েছে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬৫ শতাংশ। বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে নিট এফডিআইর প্রাক্কলন করা হয়েছে ২৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে নিট এফডিআই ছিল ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ে শেয়ারবাজারেও বিদেশি বিনিয়োগ খানিকটা বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৩০ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
বিনিয়োগ বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ এফডিআইর চাহিদা রয়েছে, সে অনুযায়ী কোনো সময়ই বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি। যা নিবন্ধন হয় আসে আবার তার কম। বিনিয়োগ চলে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিযোগী অন্যান্য দেশে। এর অন্যতম কারণ বিদেশে দেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অবকাঠামো দুর্বলতাসহ বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ না থাকা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এফডিআই কিছুটা বেড়েছে। এর মূল কারণ, তৈরি পোশাক খাতে কিছু বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। গত কয়েক মাসে বিদেশিরা বেশ কয়েকটি গার্মেন্ট কারখানা কিনেছে। এগুলোর সমষ্টিগত বিনিয়োগ মোট এফডিআই বাড়াতে সহায়তা করেছে।
No comments