মা মানে কি জানো? by নুরুন্নাহার শিরীন

উৎসর্গ যে মাঠে ঘুমোয় শিশু
মাথার 'পরে
মায়ের মতো
আকাশ ঝরে...
এক.
ঘুমিয়ে থাকা একটি ভাষা
মায়ের জন্য জেগে উঠেই
মাঠের পানে ছুটলো ধেইধেই।
জাগলো পাতা... উড়লো কথা...
জ্বললো প্রাণ ঝরলো ব্যথা....
নামটি তাহার বাংলাভাষা।
দুই.
শত্রম্ন তার যতই কাটে ডানা
ততই বাড়ে পাখির মতো
ছোট্ট ডানায় স্বপ্ন শত।
আলোভর্তি ছানাপোনা।
তিন.
তারা বলেস্না যাবোনা তো বাংলা ছাড়া...জ্বললো তারা।
ঝরলো পথে রক্তধারা।
কাঁদলো বড়ো বাংলাভাষা।
কাঁদলো মায়ের ভালোবাসা।
চার.
কিন্তু তারা হারলোনা।
নিজের দাবি ছাড়লোনা
নিজের যতো টাকডুমাডুম
ডিংডংডং সুন্দরবন
মংলা এবং বান্দরবন
দিয়ে বানালো সাহসী সব দোয়েল-ফড়িং-বঙ্গ হালুম।
পাঁচ.
জানলো যতো দূরের দেশ এই আমাদের বাংলাদেশ।
এখানে সূর্য হাসে... হাসে জোনাকিরা বেশ।
এখানে মাঠের পারে নদী জেগে থাকে।
এইখানে সমুদ্র মেঘে-মেঘে ডাকে।
ছয়.
কেবল চড়ুই যদি ফুরম্নৎ করে
আসে ফুলের হাটে
টিয়ে বলে লেজ ফুলিয়ে : ওরে,
আমি বাপু যাচ্ছিনে আর ধুলোভর্তি সদরঘাটে।
সাত.
বলতে-বলতে হঠাৎ যদি মাকে মনে পড়ে?
তখন কি আর কারও তেমন উড়তে ভাল লাগে?
খেলা ফেলে মেলা ফেলে ছোটে সবার আগে।
সন্ধে হলে মায়ের তরে মন যে ক্যমন করে।
আট.
মন যে ক্যামন করে মাগো মন যে ক্যামন করে
যখন তোমার গানকে মনে পড়ে।
তোমার গানে ঘুমিয়ে পড়ার দুপুর মনে আসে।
ভোরের বেলি-শিউলি-বকুল তোমায় ভালবাসে।
নয়.
ভালোবেসে আমরা সবাই
রম্নখে দাঁড়াই
শত্রম্ন যদি আসে।
রম্নখে দাঁড়াই আমরা সবাই শত্রম্ন যদি আসে।
দশ.
শুধোয় যদি কেউ; মা মানে কি জানো?
আমি বলি : মা মানে তো ভোরের হাসি, ঝলমলানো।
শত্রম্ন যদি বলে : মা মানে কি জানো?
তখন বলি : মা মানে বাংলাদেশ, শত্রম্নবুকে ভয়ধরানো।
এগার.
এবার বলি, মাঠের শিশু পথের শিশু দেশটা কিন্তু তারও।
তারও আছে মাটির দাবি পাঠের দাবি স্বপ্ন আছে তারও।
তারেও এসো বন্ধু করি ভালোবেসে হাতটি ধরি।
দেশটা তো নয় একার, শত্রম্ন এলে সবাই লড়ি।
সবাই সবার বন্ধু হই বাংলা মায়ের জন্য।
সবার মনে স্বপ্ন জাগে ভাষা মায়ের জন্য।

No comments

Powered by Blogger.