বগুড়ায় আজ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামছে জামায়াত-শিবির
তিন নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বগুড়ায় আজ শনিবারের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সফল করতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জামায়াত-শিবির। এরই মধ্যে আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে বগুড়ায় এসেছে জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী। এদের মধ্যে শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররাও রয়েছে।
তারা দলীয় তিন নেতা-কর্মীর হত্যার 'বদলা নেওয়ার শপথ' নিয়ে মাঠে নামছে বলে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ বলছে, বাইরের অনেক জেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা বগুড়ায় জড়ো হচ্ছে- এমন খবর তাদের কাছেও রয়েছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আছে পুলিশের।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা বৃহস্পতিবারের হরতালে বগুড়ায় নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের পর পুলিশ প্রহরায় গতকালই পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাদের গ্রামের বাড়িতে। হত্যা ও সহিংসতার অভিযোগে থানায় পৃথক চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশের দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে জামায়াত-শিবিরের অন্তত দুই হাজার ৪০০ জনকে। এরই মধ্যে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে যশোরের মণিরামপুরে হরতালে সংঘর্ষ ও এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের আড়াই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে। আর ফেনীতে নিহত অটোরিকশাচালকের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বগুড়া : জেলায় আজকের সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। হরতাল সফল করতে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাটসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর বগুড়ায় আসার খবর পাওয়া গেছে। আগের যেকোনো হরতালের চেয়ে আজকের হরতাল কঠোর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শহর জামায়াতের সেক্রেটারি মাজেদুর রহমান জুয়েল।
এদিকে বৃহস্পতিবারের সংঘাতের ঘটনায় পৃথক চারটি মামলার মধ্যে পুলিশের করা দুটিতে জামায়াত-শিবিরের দুই হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য দুটি মামলায় বাদী হয়েছেন নিহত মিজানুর রহমানের পক্ষে তাঁর স্ত্রী হালিমা আক্তার ও নিহত শিবির নেতা আবু রোহানীর পক্ষে তাঁর ভগি্নপতি।
বগুড়া সদর থানার ওসি সৈয়দ সহিদ আলম জানান, শহরের সাতমাথায় পুলিশের ওপর হামলা, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সদর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ এক হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া শহরের জামিলনগরে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত জুয়েল ভিলা-২ নামের ছাত্রাবাসে শিবিরের হামলা, অগি্নসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা এবং এক শিবিরকর্মী নিহতের ঘটনায় সদর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে করা অন্য মামলায় এক হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে সরকারি আযিযুল হক কলেজের পুরনো ভবন ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু রোহানী নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর ভগি্নপতি হারুন-উর রশিদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে রোহানীর ভাই রফিকুল ইসলামের দাবি, তাঁর ভগি্নপতিকে পুলিশ জোর করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে মামলায় বাদী করেছে।
এ ছাড়া সদর উপজেলার সাবগ্রামে নিহত ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী হালিমা আক্তার বাদী হয়ে করা মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে মিজানুর রহমানকে তাদের দলীয় কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে নিহতদের লাশ নিয়ে গতকাল জামায়াত-শিবির শহরে জানাজা ও মিছিল করার উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্তের পরই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। জুমার নামাজের পর শহরের সূত্রাপুর ঈদগাহ মাঠে জামায়াতের উদ্যোগে গায়েবানা জানাজা হয়। জানাজার আগে বক্তব্যে জামায়াত নেতারা বলেন, খুন করে ইসলামকে থামানো যাবে না।
আশপাশের জেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের বগুড়া আগমন প্রসঙ্গে শহর জামায়াতের সেক্রেটারি মাজেদুর রহমান জুয়েল বলেন, 'আবেগবশত জানাজায় অংশ নিতে বাইরের জেলার নেতা-কর্মীরা বগুড়ায় এসেছেন। নিহতদের বাড়িতে গিয়ে জানাজা শেষে তাঁরা বগুড়া ত্যাগ করবেন।' যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বগুড়ার জামায়াত-শিবিরকর্মীরাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বগুড়া সদর থানার ওসি সৈয়দ সহিদ আলম বলেন, 'আমাদের কাছেও তথ্য এসেছে, বাইরের জেলা থেকে জামায়াত-শিবির বগুড়ায় সমবেত হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। হরতাল মোকাবিলায় পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।' এ ছাড়া জেলা প্রশাসন বিজিবি তলব করলেও তাদের রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছে; প্রয়োজন হলে তারা মাঠে নামবে বলে জানান তিনি।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, হরতাল শান্তিপূর্ণ হলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ভাঙচুর বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আজ তিন শতাধিক পুলিশ ও র্যাব মাঠে মোতায়েন থাকবে বলে তিনি জানান।
মণিরামপুর : হরতালে যশোরের মণিরামপুরে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা এবং এক পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে থানার এসআই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ আড়াই শতাধিক জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৃহস্পতিবার জামায়াতের ডাকা হরতাল চলাকালে আসামি মনিরুজ্জামান, শাহাবুর আলম, জালালউদ্দীন, ইয়াছিনসহ আড়াই শতাধিক জামায়াত-শিবিরকর্মী নাশকতা ঘটাতে মণিরামপুর শহরে সশস্ত্র অবস্থান নেয়। পুলিশ তাদের প্রতিহত করতে গেলে তারা ককটেল বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কনস্টেবল জহুরুল ইসলামসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে জহুরুলের মৃত্যু হয়।
ফেনী : ফেনীতে হরতাল চলাকালে পিকেটারদের ধাওয়ায় সিএনজি অটোরিকশাচালক ইমাম হোসেন নিহতের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বিকেলে তাঁর লাশ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের পূর্ব শিলরী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
ফেনী থানার ওসি মাইনুল আবসার জানান, নিহতের বাবা জামাল উদ্দিনের দায়ের করা অভিযোগ গতকাল সন্ধ্যায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় ৮-১০ জনকে।
(প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন আমাদের বগুড়া অফিস, মণিরামপুর প্রতিনিধি ও ফেনী প্রতিনিধি)
এ প্রসঙ্গে পুলিশ বলছে, বাইরের অনেক জেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা বগুড়ায় জড়ো হচ্ছে- এমন খবর তাদের কাছেও রয়েছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আছে পুলিশের।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা বৃহস্পতিবারের হরতালে বগুড়ায় নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের পর পুলিশ প্রহরায় গতকালই পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাদের গ্রামের বাড়িতে। হত্যা ও সহিংসতার অভিযোগে থানায় পৃথক চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশের দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে জামায়াত-শিবিরের অন্তত দুই হাজার ৪০০ জনকে। এরই মধ্যে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে যশোরের মণিরামপুরে হরতালে সংঘর্ষ ও এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের আড়াই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে। আর ফেনীতে নিহত অটোরিকশাচালকের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বগুড়া : জেলায় আজকের সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। হরতাল সফল করতে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাটসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর বগুড়ায় আসার খবর পাওয়া গেছে। আগের যেকোনো হরতালের চেয়ে আজকের হরতাল কঠোর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শহর জামায়াতের সেক্রেটারি মাজেদুর রহমান জুয়েল।
এদিকে বৃহস্পতিবারের সংঘাতের ঘটনায় পৃথক চারটি মামলার মধ্যে পুলিশের করা দুটিতে জামায়াত-শিবিরের দুই হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য দুটি মামলায় বাদী হয়েছেন নিহত মিজানুর রহমানের পক্ষে তাঁর স্ত্রী হালিমা আক্তার ও নিহত শিবির নেতা আবু রোহানীর পক্ষে তাঁর ভগি্নপতি।
বগুড়া সদর থানার ওসি সৈয়দ সহিদ আলম জানান, শহরের সাতমাথায় পুলিশের ওপর হামলা, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সদর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ এক হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া শহরের জামিলনগরে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত জুয়েল ভিলা-২ নামের ছাত্রাবাসে শিবিরের হামলা, অগি্নসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা এবং এক শিবিরকর্মী নিহতের ঘটনায় সদর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে করা অন্য মামলায় এক হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে সরকারি আযিযুল হক কলেজের পুরনো ভবন ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু রোহানী নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর ভগি্নপতি হারুন-উর রশিদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে রোহানীর ভাই রফিকুল ইসলামের দাবি, তাঁর ভগি্নপতিকে পুলিশ জোর করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে মামলায় বাদী করেছে।
এ ছাড়া সদর উপজেলার সাবগ্রামে নিহত ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী হালিমা আক্তার বাদী হয়ে করা মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে মিজানুর রহমানকে তাদের দলীয় কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে নিহতদের লাশ নিয়ে গতকাল জামায়াত-শিবির শহরে জানাজা ও মিছিল করার উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্তের পরই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। জুমার নামাজের পর শহরের সূত্রাপুর ঈদগাহ মাঠে জামায়াতের উদ্যোগে গায়েবানা জানাজা হয়। জানাজার আগে বক্তব্যে জামায়াত নেতারা বলেন, খুন করে ইসলামকে থামানো যাবে না।
আশপাশের জেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের বগুড়া আগমন প্রসঙ্গে শহর জামায়াতের সেক্রেটারি মাজেদুর রহমান জুয়েল বলেন, 'আবেগবশত জানাজায় অংশ নিতে বাইরের জেলার নেতা-কর্মীরা বগুড়ায় এসেছেন। নিহতদের বাড়িতে গিয়ে জানাজা শেষে তাঁরা বগুড়া ত্যাগ করবেন।' যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বগুড়ার জামায়াত-শিবিরকর্মীরাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বগুড়া সদর থানার ওসি সৈয়দ সহিদ আলম বলেন, 'আমাদের কাছেও তথ্য এসেছে, বাইরের জেলা থেকে জামায়াত-শিবির বগুড়ায় সমবেত হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। হরতাল মোকাবিলায় পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।' এ ছাড়া জেলা প্রশাসন বিজিবি তলব করলেও তাদের রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছে; প্রয়োজন হলে তারা মাঠে নামবে বলে জানান তিনি।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, হরতাল শান্তিপূর্ণ হলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ভাঙচুর বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আজ তিন শতাধিক পুলিশ ও র্যাব মাঠে মোতায়েন থাকবে বলে তিনি জানান।
মণিরামপুর : হরতালে যশোরের মণিরামপুরে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা এবং এক পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে থানার এসআই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ আড়াই শতাধিক জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৃহস্পতিবার জামায়াতের ডাকা হরতাল চলাকালে আসামি মনিরুজ্জামান, শাহাবুর আলম, জালালউদ্দীন, ইয়াছিনসহ আড়াই শতাধিক জামায়াত-শিবিরকর্মী নাশকতা ঘটাতে মণিরামপুর শহরে সশস্ত্র অবস্থান নেয়। পুলিশ তাদের প্রতিহত করতে গেলে তারা ককটেল বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কনস্টেবল জহুরুল ইসলামসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে জহুরুলের মৃত্যু হয়।
ফেনী : ফেনীতে হরতাল চলাকালে পিকেটারদের ধাওয়ায় সিএনজি অটোরিকশাচালক ইমাম হোসেন নিহতের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বিকেলে তাঁর লাশ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের পূর্ব শিলরী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
ফেনী থানার ওসি মাইনুল আবসার জানান, নিহতের বাবা জামাল উদ্দিনের দায়ের করা অভিযোগ গতকাল সন্ধ্যায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় ৮-১০ জনকে।
(প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন আমাদের বগুড়া অফিস, মণিরামপুর প্রতিনিধি ও ফেনী প্রতিনিধি)
No comments