চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা জনি হত্যা মামলার ৭ আসামি সমুদ্রবিলাসে- পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না
চট্টগ্রাম দণি জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মালেক জনি হত্যা মামলার ৯ আসামির সাতজনই অবস্থান করছে কক্সবাজারে।
২৫
জানুয়ারি রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আড্ডা দিতে দেখা গেছে তাদের ওই দিন
রাত ১১টায় জনি হত্যার প্রধান আসামি আবু শাহাদাত মো: সায়েম, কফিল উদ্দিন,
মো: শামীম, আবু জাহেদ, মহিউদ্দিন মহি, মনির উদ্দিন প্রকাশ জঙ্গল মনির ও
মোহাম্মদ ফারুককে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অবস্থান নিয়ে সেখানে তারা
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে। অপর দুই আসামি ফরহাদ আলম ও দোবান প্রকাশ নোমান
রাজধানীর বিশ্ববোড় এলাকায় বাঁশখালীর এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় অবস্থান
করছেন। নিহত জনির ছোট ভাই আব্দুল মাজেদ চৌধুরী বলেন, জনি হত্যা মামলার ৯
আসামির সবাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও চট্টগ্রাম দণি জেলা কমিটির প্রভাবশালী
নেতা হওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে ভয় পাচ্ছে।
এ দিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘খুনিদের গ্রেফতারে দু’টি টিম মাঠে কাজ করছে।’
গত ৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগরীর বকশিরহাট কার্যালয়েও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের অপর একটি অংশের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত এবং ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয় আব্দুল মালেক জনিকে। এর চার দিন পর ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায়। রনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আব্দুল মাজেদ চৌধুরী বাদি হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। নিহত হওয়ার প্রায় ২৪ দিন পরও পুলিশ উল্লেখযোগ্য কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি। মামলায় ৯ জন তালিকাভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করা হলেও পুলিশ একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ দিকে এজাহারভুক্ত খুনের আসামি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু শাহাদাত মো: সায়েমকে সম্প্রতি তার গ্রামের বাড়ি পটিয়ার মনসা এলাকায় দেখা গেছে বলে প্রত্যদর্শীরা জানান।
দলীয় প্রভাবশালী নেতা হত্যার পরও আসামি গ্রেফতারে পুলিশের গাছাড়া ভাবের কারণে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ােভ বাড়ছে। দলের একাধিক নেতাকর্মীর সাথে কথা হলে তারা জানান, শুধু খুনিরা দলীয় নেতাকর্মী হওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেফতারে ভয় পাচ্ছে।
নিহত জনির মা খালেছা বেগম চৌধুরী বলেন, ‘যে দলের জন্য আমার ছেলে খুন হয়েছে, ওই দলের প্রভাবশালী কিছু নেতার ইশারায় খুনিদের পুলিশ গ্রেফতার করছে না। বরং আমার অপর ছেলেকে (মামলার বাদি) মামলা তুলে নেয়ার জন্য হত্যার হুমকি দিচ্ছে।’
মামলার বাদি নিহতের ছোট ভাই আব্দুল মাজেদ চৌধুরী বলেন, ‘হত্যাকারীরা প্রতিনিয়ত মুঠোফোনে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে তার ভাইয়ের পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হত্যাকারী ও তাদের সহযোগীরা হুমকি দিচ্ছে।’
এ দিকে জনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের কাছে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল দণি জেলা ছাত্রলীগ। এরপর আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেন।
দণি জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সাকিব নয়া দিগন্তকে বলেন, জনির হত্যাকারীদের এখনো গ্রেফতার করতে না পারা মানে প্রশাসনের গাফিলতি মনে করি। আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো আসামি গ্রেফতার না হলে হরতাল কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকব।’
এ দিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘খুনিদের গ্রেফতারে দু’টি টিম মাঠে কাজ করছে।’
গত ৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগরীর বকশিরহাট কার্যালয়েও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের অপর একটি অংশের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত এবং ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয় আব্দুল মালেক জনিকে। এর চার দিন পর ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায়। রনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আব্দুল মাজেদ চৌধুরী বাদি হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। নিহত হওয়ার প্রায় ২৪ দিন পরও পুলিশ উল্লেখযোগ্য কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি। মামলায় ৯ জন তালিকাভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করা হলেও পুলিশ একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ দিকে এজাহারভুক্ত খুনের আসামি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু শাহাদাত মো: সায়েমকে সম্প্রতি তার গ্রামের বাড়ি পটিয়ার মনসা এলাকায় দেখা গেছে বলে প্রত্যদর্শীরা জানান।
দলীয় প্রভাবশালী নেতা হত্যার পরও আসামি গ্রেফতারে পুলিশের গাছাড়া ভাবের কারণে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ােভ বাড়ছে। দলের একাধিক নেতাকর্মীর সাথে কথা হলে তারা জানান, শুধু খুনিরা দলীয় নেতাকর্মী হওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেফতারে ভয় পাচ্ছে।
নিহত জনির মা খালেছা বেগম চৌধুরী বলেন, ‘যে দলের জন্য আমার ছেলে খুন হয়েছে, ওই দলের প্রভাবশালী কিছু নেতার ইশারায় খুনিদের পুলিশ গ্রেফতার করছে না। বরং আমার অপর ছেলেকে (মামলার বাদি) মামলা তুলে নেয়ার জন্য হত্যার হুমকি দিচ্ছে।’
মামলার বাদি নিহতের ছোট ভাই আব্দুল মাজেদ চৌধুরী বলেন, ‘হত্যাকারীরা প্রতিনিয়ত মুঠোফোনে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে তার ভাইয়ের পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হত্যাকারী ও তাদের সহযোগীরা হুমকি দিচ্ছে।’
এ দিকে জনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের কাছে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল দণি জেলা ছাত্রলীগ। এরপর আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেন।
দণি জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সাকিব নয়া দিগন্তকে বলেন, জনির হত্যাকারীদের এখনো গ্রেফতার করতে না পারা মানে প্রশাসনের গাফিলতি মনে করি। আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো আসামি গ্রেফতার না হলে হরতাল কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকব।’
No comments