‘বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান
রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, বাংলাদেশে গত বছর মানবাধিকার পরিস্থিতির
অবনতি হয়েছে। বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সংস্থাটির প্রতিবেদনে এ কথা
বলা হয়। গতকাল শুক্রবার এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে
বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের অবস্থান সীমাবদ্ধ
করার চেষ্টা করছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীকে
অব্যাহতভাবে রক্ষা করে চলেছে, গুম ও হত্যার ঘটনা তদন্তে ব্যর্থ হয়েছে এবং
বেসরকারি সংস্থাগুলোর ওপর নজরদারিতে আরও কঠোর নিয়মনীতির ঘোষণা দিয়েছে।
৬৬৫ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ ৯০টির বেশি দেশের গত বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং আরব বিশ্বে গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে একটি পর্যালোচনাও রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে ‘ক্রসফায়ার’ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চর্চা গত বছরও অব্যাহত ছিল। বিরোধী নেতা ও রাজনৈতিক কর্মীরা গুম হয়েছেন। একজন শ্রমিক নেতাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য শ্রম অধিকারকর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়।
এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ, অধিকারকর্মী ও সমালোচকদের জন্য উদার পরিবেশ এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল এই সরকার। কিন্তু এখন আর মনে হচ্ছে না, সরকার এসব প্রতিশ্রুতি পূরণের চেষ্টা করছে।’
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার বিচার-প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং হেফাজতে থাকা বিডিআর সদস্যদের নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগও রয়েছে এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-প্রক্রিয়া ও আইনি ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটি।
২০১২ সালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কমেছে বলে জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। কিন্তু এর পরও এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের হার এখনো অনেক বেশি বলে মনে করে সংস্থাটি।
ব্রাড অ্যাডামস বলেন, ‘সরকার ও র্যাবের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, এ ধরনের ঘটনায় আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, র্যাবের হাতে অপহরণ, নির্যাতন বা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি স্কুলছাত্র লিমনকে গুলি করার বহুল আলোচিত ঘটনাটিতেও কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। বরং তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ।’
মানবাধিকার সংস্থাটির মতে, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বাংলাদেশে শক্তিশালী আইন আছে, কিন্তু এ আইনের বাস্তবায়ন খুবই সীমিত। ধর্ষণ, যৌতুক-সংক্রান্ত নির্যাতন, অ্যাসিড-সন্ত্রাস, যৌন হয়রানি এবং ফতোয়ার নামে অবৈধভাবে শাস্তি দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে।
৬৬৫ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ ৯০টির বেশি দেশের গত বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং আরব বিশ্বে গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে একটি পর্যালোচনাও রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে ‘ক্রসফায়ার’ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চর্চা গত বছরও অব্যাহত ছিল। বিরোধী নেতা ও রাজনৈতিক কর্মীরা গুম হয়েছেন। একজন শ্রমিক নেতাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য শ্রম অধিকারকর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়।
এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ, অধিকারকর্মী ও সমালোচকদের জন্য উদার পরিবেশ এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল এই সরকার। কিন্তু এখন আর মনে হচ্ছে না, সরকার এসব প্রতিশ্রুতি পূরণের চেষ্টা করছে।’
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার বিচার-প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং হেফাজতে থাকা বিডিআর সদস্যদের নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগও রয়েছে এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-প্রক্রিয়া ও আইনি ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটি।
২০১২ সালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কমেছে বলে জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। কিন্তু এর পরও এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের হার এখনো অনেক বেশি বলে মনে করে সংস্থাটি।
ব্রাড অ্যাডামস বলেন, ‘সরকার ও র্যাবের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, এ ধরনের ঘটনায় আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, র্যাবের হাতে অপহরণ, নির্যাতন বা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি স্কুলছাত্র লিমনকে গুলি করার বহুল আলোচিত ঘটনাটিতেও কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। বরং তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ।’
মানবাধিকার সংস্থাটির মতে, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বাংলাদেশে শক্তিশালী আইন আছে, কিন্তু এ আইনের বাস্তবায়ন খুবই সীমিত। ধর্ষণ, যৌতুক-সংক্রান্ত নির্যাতন, অ্যাসিড-সন্ত্রাস, যৌন হয়রানি এবং ফতোয়ার নামে অবৈধভাবে শাস্তি দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে।
No comments