জানো কি?- বোতলে বাগান by শাহরিয়ার মাসুম
আমরা সাধারণত বাগান করি খোলা জায়গায়,
যেখানে থাকবে সূর্যের আলোর পরশ। কিন্তু বাগান যদি হয় কোনো ছিপিআঁটা বোতলের
বদ্ধ পরিবেশে? বোতলে পানি দিয়ে গাছ লাগাতে সচরাচর দেখা যায়।
তবে
সে গাছের গোড়াটাই শুধু বোতলের ভেতরে থাকে। বাকি অংশ থাকে বাইরে। কিন্তু
ছিপিআঁটা বদ্ধ পরিবেশে গাছ লাগানোর কথা শুনলে অবাকই লাগবে। সেই অবাক করা
কাজটিই করেছেন ব্রিটেনের নাগরিক প্রকৃতিপ্রেমী ডেভিড লেটিমার। তিনি যে শুধু
বোতলে বাগান করেই চমক সৃষ্টি করেছেন তা নয়, তিনি এই বাগান বাঁচিয়েও
রেখেছেন দীর্ঘ ৫৩ বছর। সর্বশেষ যে সময় তিনি তার বোতল বাগানে পানি দেন, তখন
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিচার্ড নিক্সন। তারপর এ পর্যন্ত তিনি গাছে
একবারের জন্যও পানি দেননি। পানি ছাড়াই এত বছর ধরে গাছগুলো সতেজতার সাথেই
বেঁচে আছে, ব্যাপারটা আসলেই বিস্ময়কর।
দিনটি ছিল ১৯৬০ সালের ইস্টার সানডে। বিশেষ এই দিনটিতে ডেভিড লেটিমার ভাবলেন আলাদা কিছু করবেন। শুধুই মজা করার জন্য। এই ভাবনা থেকেই তার মনে জাগল কৌতূহল। বোতলে গাছ লাগালে কেমন হয়। যেই ভাবা সেই কাজ। সালফিউরিক এসিডের একটা দশ গ্যালনের বোতলও জোগাড় করলেন। বোতলটা দেখতে অনেকটা গোল্ডফিশ বলের মতো। ভেতরের এসিড ফেলে দিয়ে ভালোমতো পরিষ্কার করে তাতে কম্পোস্ট সার দিয়ে লাগালেন স্পাইডারওয়ার্ট গাছের চারা। অল্প পানি দিয়ে আটকে দেন বোতলের ছিপি। এরপর কেটে যায় ১২ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি আর গাছে পানি দেননি। সর্বশেষ ১৯৭২ সালে তিনি আবার বোতলের গাছে পানি দেন। এরপর তিনি আর পানি দেননি।
মনে এবার প্রশ্ন জাগতেই পারে কোন শক্তিতে এতটা বছর বেঁচে রইল গাছগুলো? হ্যাঁ, শক্তি তো একটা ছিলই। আর সেটা হলো আলো। দীর্ঘ চল্লিশ বছরে বোতলের গাছে পানি না দিলেও আলো প্রবেশের ব্যবস্থা ঠিকই করতে হয়েছিল। এমনটাই জানান ডেভিড লেটিমার। এই প্রকৃতিপ্রেমী জানান, এই বোতলটি তাকে জানালার ঠিক ৬ ফুট ওপরে রাখতে হয়েছে, যাতে সরাসরি সূর্যের আলো এসে পৌঁছাতে পারে। এই আলো পেয়েই বোতলের গাছগুলো তাদের নিজেদের মতো করে বাস্তুতন্ত্র গড়ে নিয়েছে। বাস্তুতন্ত্র হলো একটা পরিবেশ, যেখানে কতকগুলো জীব সম্প্রদায় থাকবে, তাদের বাঁচার উপাদান হিসেবে থাকবে আলো, বায়ু, পানি ও মাটি ইত্যাদি। বাইরের জগৎ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায় গাছগুলো নিজেরাই বাঁচার উপায় খুঁজে নিয়েছে। আর বাস্তুতন্ত্রের অন্যতম উপাদান আলো তো ছিলই তাদের সাথে। জানোই তো, গাছ নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে নেয় আলোর শক্তি দিয়ে। পাতার ওপর যখন সূর্যের আলো পড়ে, তখন পাতার কোরফিলের প্রোটিন সেই আলো শোষণ করে নেয়। এই শোষণকৃত আলোক শক্তি এটিপি (অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট) আকারে জমা হয় উদ্ভিদ কোষে। এভাবে আলোর শক্তি দিয়েই এত বছর ধরে বোতলের গাছগুলো বেঁচে রয়েছে।
ডেভিড লেটিমারের এই সুকীর্তির কথা বিশ্ববাসী জানতে পেরেছে বিবিসি রেডিও ফোরের কল্যাণে। তার এই বোতল বাগানের সফলতা দেখে আশা জেগেছে নভোচারীদের মনেও। এরই মধ্যে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বোতল বাগানের মাধ্যমে মহাকাশে গাছ নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে।
দিনটি ছিল ১৯৬০ সালের ইস্টার সানডে। বিশেষ এই দিনটিতে ডেভিড লেটিমার ভাবলেন আলাদা কিছু করবেন। শুধুই মজা করার জন্য। এই ভাবনা থেকেই তার মনে জাগল কৌতূহল। বোতলে গাছ লাগালে কেমন হয়। যেই ভাবা সেই কাজ। সালফিউরিক এসিডের একটা দশ গ্যালনের বোতলও জোগাড় করলেন। বোতলটা দেখতে অনেকটা গোল্ডফিশ বলের মতো। ভেতরের এসিড ফেলে দিয়ে ভালোমতো পরিষ্কার করে তাতে কম্পোস্ট সার দিয়ে লাগালেন স্পাইডারওয়ার্ট গাছের চারা। অল্প পানি দিয়ে আটকে দেন বোতলের ছিপি। এরপর কেটে যায় ১২ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি আর গাছে পানি দেননি। সর্বশেষ ১৯৭২ সালে তিনি আবার বোতলের গাছে পানি দেন। এরপর তিনি আর পানি দেননি।
মনে এবার প্রশ্ন জাগতেই পারে কোন শক্তিতে এতটা বছর বেঁচে রইল গাছগুলো? হ্যাঁ, শক্তি তো একটা ছিলই। আর সেটা হলো আলো। দীর্ঘ চল্লিশ বছরে বোতলের গাছে পানি না দিলেও আলো প্রবেশের ব্যবস্থা ঠিকই করতে হয়েছিল। এমনটাই জানান ডেভিড লেটিমার। এই প্রকৃতিপ্রেমী জানান, এই বোতলটি তাকে জানালার ঠিক ৬ ফুট ওপরে রাখতে হয়েছে, যাতে সরাসরি সূর্যের আলো এসে পৌঁছাতে পারে। এই আলো পেয়েই বোতলের গাছগুলো তাদের নিজেদের মতো করে বাস্তুতন্ত্র গড়ে নিয়েছে। বাস্তুতন্ত্র হলো একটা পরিবেশ, যেখানে কতকগুলো জীব সম্প্রদায় থাকবে, তাদের বাঁচার উপাদান হিসেবে থাকবে আলো, বায়ু, পানি ও মাটি ইত্যাদি। বাইরের জগৎ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায় গাছগুলো নিজেরাই বাঁচার উপায় খুঁজে নিয়েছে। আর বাস্তুতন্ত্রের অন্যতম উপাদান আলো তো ছিলই তাদের সাথে। জানোই তো, গাছ নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে নেয় আলোর শক্তি দিয়ে। পাতার ওপর যখন সূর্যের আলো পড়ে, তখন পাতার কোরফিলের প্রোটিন সেই আলো শোষণ করে নেয়। এই শোষণকৃত আলোক শক্তি এটিপি (অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট) আকারে জমা হয় উদ্ভিদ কোষে। এভাবে আলোর শক্তি দিয়েই এত বছর ধরে বোতলের গাছগুলো বেঁচে রয়েছে।
ডেভিড লেটিমারের এই সুকীর্তির কথা বিশ্ববাসী জানতে পেরেছে বিবিসি রেডিও ফোরের কল্যাণে। তার এই বোতল বাগানের সফলতা দেখে আশা জেগেছে নভোচারীদের মনেও। এরই মধ্যে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বোতল বাগানের মাধ্যমে মহাকাশে গাছ নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে।
No comments