বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ভারসাম্যপূর্ণ’ মুদ্রানীতি- জাতীয় প্রবৃদ্ধির ল্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন স্থিতি
এবার সরকারের ল্যমাত্রা অনুযায়ী জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে
না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ছয় মাসের জন্য নতুন মুদ্রানীতি
ঘোষণাকালে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আরো বলেছেন, ল্যমাত্রা অর্জিত না হলেও
এবারের প্রবৃদ্ধি হবে গত ১০ বছরের গড় প্রবৃদ্ধির সমান।
ঘোষিত
মুদ্রানীতিকে ভারসাম্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করে গভর্নর জানান, উৎপাদনশীল খাতে
ঋণপ্রবাহ বাড়ানো হবে এবং মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ ভাগের মধ্যে নামিয়ে আনার
লক্ষ্যে অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে নিরুৎসাহিত করা হবে।
বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ শূন্য দশমিক ৫ ভাগ বাড়িয়ে সাড়ে ১৮ শতাংশ করা
হবে। ঋণের সুদহার কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যাংকের তহবিল
জোগানোর ব্যয় কমাতে রেপো ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর আপৎকালীন ধার
বিশেষ রেপোর সুদের হার শূন্য দশমিক ৫ ভাগ কমানো হয়েছে। গভর্নর বলেছেন,
মুদ্রানীতির সুষ্ঠু বাস্তবায়নে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা
গুরুত্বপূর্ণ এবং সে জন্য স্থিতিশীলতাও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যাংক এ
জন্য ঋণপত্র স্থাপন এবং অভ্যন্তরীণ বিল ক্রয়ের মতো বহু বিষয়ে তাৎণিক
অনলাইন সুপারভাইজরি রিপোর্টিংয়ের আবশ্যকতা আরোপ করেছে। আর সেই সাথে
জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রম প্রতিরোধে অভ্যন্তরীণ নিরীা ও
নিয়ন্ত্রণবিষয়ক স্বমূল্যায়ন বাংলাদেশ ব্যাংকে বাধ্যতামূলক দাখিল করতে
বলা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমের বিশেষ
মূল্যায়নপ্রক্রিয়া বছরের শুরুতেই হাতে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থবছরের দ্বিতীয় পর্বের জন্য যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে, তা থেকে সুফল পাওয়ার পথে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ নীতিতে অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এখানকার মূল্যস্ফীতিতে ঋণ সম্প্রসারণের চেয়েও সরকার নিয়ন্ত্রিত পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধির ভূমিকা থাকে বেশি। সরকার গত ছয় মাসে গ্যাস, বিদ্যুৎ, তেল, সারÑ এসবের দাম বারবার বাড়িয়েছে। ফলে অব্যাহতভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে চলেছে। এর ব্যতিক্রম নতুন মেয়াদে হওয়ার মতো কিছু দেখা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক উৎপাদনশীল খাতে ঋণ বাড়ানোর যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে, তা অবশ্যই ইতিবাচক কিন্তু ব্যাংকগুলোতে যেভাবে তারল্যসঙ্কট চলছে তাতে এ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন সহজ হবে না। এর চেয়ে বড় বিষয় হলো দেশে যদি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা না আসে তাহলে কোনো উদ্যোক্তারই নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠা বা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়ার কথা নয়। মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানির চিত্র সামনে রাখলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এ কারণেই হয়তো উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সাথে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার কথা বলেছে। ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের পদক্ষেপ অবশ্যই ভালো। কিন্তু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এটাকে বারবার অকার্যকর করে ফেলে।
আমরা মনে করি, নানা সীমাবদ্ধতার পরও বাংলাদেশের এখনো অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে যেমন বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে তেমনিভাবে সর্বত্র রাজনৈতিক সঙ্ঘাতের যে ডঙ্কা বেজে উঠছে, তা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সাথে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো ধ্বংসাত্মক ঘটনা এবং রাষ্ট্রীয় ব্যাংক পরিচালনার পদে থেকে অর্থকড়ি বানানোর প্রবণতার রাশ টেনে ধরতে হবে। একই সাথে বিনিয়োগ ও শিল্প বিকাশের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলার যে অবনতিশীল অবস্থা, তার ব্যাপারেও বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থবছরের দ্বিতীয় পর্বের জন্য যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে, তা থেকে সুফল পাওয়ার পথে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ নীতিতে অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এখানকার মূল্যস্ফীতিতে ঋণ সম্প্রসারণের চেয়েও সরকার নিয়ন্ত্রিত পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধির ভূমিকা থাকে বেশি। সরকার গত ছয় মাসে গ্যাস, বিদ্যুৎ, তেল, সারÑ এসবের দাম বারবার বাড়িয়েছে। ফলে অব্যাহতভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে চলেছে। এর ব্যতিক্রম নতুন মেয়াদে হওয়ার মতো কিছু দেখা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক উৎপাদনশীল খাতে ঋণ বাড়ানোর যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে, তা অবশ্যই ইতিবাচক কিন্তু ব্যাংকগুলোতে যেভাবে তারল্যসঙ্কট চলছে তাতে এ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন সহজ হবে না। এর চেয়ে বড় বিষয় হলো দেশে যদি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা না আসে তাহলে কোনো উদ্যোক্তারই নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠা বা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়ার কথা নয়। মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানির চিত্র সামনে রাখলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এ কারণেই হয়তো উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সাথে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার কথা বলেছে। ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের পদক্ষেপ অবশ্যই ভালো। কিন্তু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এটাকে বারবার অকার্যকর করে ফেলে।
আমরা মনে করি, নানা সীমাবদ্ধতার পরও বাংলাদেশের এখনো অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে যেমন বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে তেমনিভাবে সর্বত্র রাজনৈতিক সঙ্ঘাতের যে ডঙ্কা বেজে উঠছে, তা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সাথে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো ধ্বংসাত্মক ঘটনা এবং রাষ্ট্রীয় ব্যাংক পরিচালনার পদে থেকে অর্থকড়ি বানানোর প্রবণতার রাশ টেনে ধরতে হবে। একই সাথে বিনিয়োগ ও শিল্প বিকাশের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলার যে অবনতিশীল অবস্থা, তার ব্যাপারেও বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে।
No comments