বাজারদর- বেড়েছে চাল, ডাল রসুন, আদার দাম
রাজধানীর বাজারে চাল, ডাল, রসুন ও আদার দাম বেড়েছে। এদিকে শীতের শেষ পর্যায়েও বেশির ভাগ মৌসুমি সবজির দাম তেমন কমেনি।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে চালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে চালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
তবে ক্রেতারা মনে করেন, বিক্রেতারা ইচ্ছে করেই দাম বাড়িয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, উত্তরাসহ বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়ে এই চিত্র পাওয়া যায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুম শেষের দিকে থাকায় চালের দাম কিছুটা বাড়তি। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম ৪৩-৪৪ টাকা থাকলেও গতকাল বিক্রি হয় ৪৭-৪৮ টাকায়। কারওয়ান বাজারে এই চালের দাম কেজিতে এক টাকা কম। নতুন নাজিরশাইল চাল আসতে শুরু করলেও দাম কমেনি। সবচেয়ে ভালো মানের নাজিরশাইল চালের দাম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকা এবং সাধারণ মানের নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৭ টাকায়। ব্রি-২৮ চাল এক কেজি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা এবং হাসকি জাতের চাল ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইসের স্বত্বাধিকারী ফোরকান হোসেন জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে প্রতি ট্রাকে পরিবহন খরচ বেড়েছে চার-পাঁচ হাজার টাকা। এতে চালের দাম বেড়েছে বলে তিনি মনে করেন।
গত এক মাসের ব্যবধানে ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ টাকা। ভালো মানের ডালের (ক্যাঙারু ডাল) দাম কেজিপ্রতি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। সাধারণ মানের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আমদানি করা ডালের দাম কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
এক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি রসুনের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। এক কেজি বড় দানার রসুনের দাম ১১০ টাকা এবং ছোট দানার দেশি রসুনের দাম কেজিপ্রতি ৭০ টাকা।
তবে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, দুধ, ময়দা, আটাসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। কোম্পানিভেদে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৬৫৫ থেকে ৬৬৫ টাকা। প্যাকেটজাত এক কেজি দুধের দাম কোম্পানিভেদে ৫৬০ থেকে ৫৮০ টাকা। এক কেজির প্যাকেট ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৯ টাকায়। খোলা আটা কেজিপ্রতি দাম ৩৬ টাকা।
নতুন আলু বাজারে আসায় দাম কিছু কমে প্রতি কেজি আলু ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শাকসবজি: শীত মৌসুম শেষ দিকে এলেও শীতের সবজির দাম তেমন কমেনি। এক কেজি শিমের দাম এখনো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মাঝারি আকারের ফুলকপি কিংবা বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকার নিচে মিলছে না। লাউয়ের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এ ছাড়া মুলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং কাঁচা টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সকালে উত্তরা কুশল সেন্টারের কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কামরুন নাহার বলেন, সাধারণত শীতের এই সময়ে সবজির দাম কম থাকে। কিন্তু এবার বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম হাঁকছেন। জিম্মি হয়ে গেছেন সীমিত আয়ের মানুষ।
মাছ-মাংস: এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা, বড় আকারের চিংড়ি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, মাঝারি চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং বিভিন্ন আকারের তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের একটি ইলিশের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
তবে মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, উত্তরাসহ বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়ে এই চিত্র পাওয়া যায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুম শেষের দিকে থাকায় চালের দাম কিছুটা বাড়তি। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম ৪৩-৪৪ টাকা থাকলেও গতকাল বিক্রি হয় ৪৭-৪৮ টাকায়। কারওয়ান বাজারে এই চালের দাম কেজিতে এক টাকা কম। নতুন নাজিরশাইল চাল আসতে শুরু করলেও দাম কমেনি। সবচেয়ে ভালো মানের নাজিরশাইল চালের দাম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকা এবং সাধারণ মানের নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৭ টাকায়। ব্রি-২৮ চাল এক কেজি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা এবং হাসকি জাতের চাল ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইসের স্বত্বাধিকারী ফোরকান হোসেন জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে প্রতি ট্রাকে পরিবহন খরচ বেড়েছে চার-পাঁচ হাজার টাকা। এতে চালের দাম বেড়েছে বলে তিনি মনে করেন।
গত এক মাসের ব্যবধানে ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ টাকা। ভালো মানের ডালের (ক্যাঙারু ডাল) দাম কেজিপ্রতি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। সাধারণ মানের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আমদানি করা ডালের দাম কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
এক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি রসুনের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। এক কেজি বড় দানার রসুনের দাম ১১০ টাকা এবং ছোট দানার দেশি রসুনের দাম কেজিপ্রতি ৭০ টাকা।
তবে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, দুধ, ময়দা, আটাসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। কোম্পানিভেদে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৬৫৫ থেকে ৬৬৫ টাকা। প্যাকেটজাত এক কেজি দুধের দাম কোম্পানিভেদে ৫৬০ থেকে ৫৮০ টাকা। এক কেজির প্যাকেট ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৯ টাকায়। খোলা আটা কেজিপ্রতি দাম ৩৬ টাকা।
নতুন আলু বাজারে আসায় দাম কিছু কমে প্রতি কেজি আলু ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শাকসবজি: শীত মৌসুম শেষ দিকে এলেও শীতের সবজির দাম তেমন কমেনি। এক কেজি শিমের দাম এখনো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মাঝারি আকারের ফুলকপি কিংবা বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকার নিচে মিলছে না। লাউয়ের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এ ছাড়া মুলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং কাঁচা টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সকালে উত্তরা কুশল সেন্টারের কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কামরুন নাহার বলেন, সাধারণত শীতের এই সময়ে সবজির দাম কম থাকে। কিন্তু এবার বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম হাঁকছেন। জিম্মি হয়ে গেছেন সীমিত আয়ের মানুষ।
মাছ-মাংস: এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা, বড় আকারের চিংড়ি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, মাঝারি চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং বিভিন্ন আকারের তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের একটি ইলিশের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
তবে মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
No comments