এক মাসে তদন্ত শুরুই করতে পারেনি কমিটি
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ফলাফল জালিয়াতির পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনের ঘটনায় সিন্ডিকেট গঠিত তদন্ত কমিটি এক মাসেও কাজ শুরু করতে পারেনি।
এদিকে দাবি আদায় না হওয়ায় আবারও উপাচার্যবিরোধী ঐক্য পরিষদ আন্দোলনে নামতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ফলাফল জালিয়াতি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে উপাচার্য সিরাজুল করিম চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে গত বছরের ১৪ নভেম্বর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ গঠন করে। এ ঘটনায় ১৪ জন শিক্ষক প্রশাসনের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। ১১ দিনের আন্দোলনের পর ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়রের মধ্যস্থতায় ক্লাস শুরু হয়।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের সভায় ফলাফল জালিয়াতির ঘটনায় সর্বসম্মতিক্রমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মুহম্মদ নূরুল্লাহকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এক মাসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। কিন্তু সভার পর উপাচার্যের দপ্তর থেকে কোনো আদেশ বের না হওয়ায় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করতে পারেনি।
এ বিষয়ে উপাচার্য সিরাজুল করিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে অফিস অর্ডারে স্বাক্ষর করে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আমার মনে হয়, সেটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে গেছে। না গিয়ে থাকলে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
তবে তদন্ত কমিটির প্রধান মুহম্মদ নূরুল্লাহ এ ধরনের কোনো আদেশ পাননি বলে নিশ্চিত করেছেন। ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সরকার ও যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন-অর রশিদ জানান, উপাচার্যকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে পদত্যাগ কিংবা অপসারণ করা হবে; এমন প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এমন কথা থাকলেও বিভিন্নভাবে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছে। আন্দোলন চলাকালে পতদ্যাগ করা পদগুলোতে নতুন করে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য, যা হওয়ার কথা ছিল না। আর যে ফলাফল জালিয়াতি নিয়ে আন্দোলন, তার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এসব সমস্যার সমাধান এ সপ্তাহের মধ্যে না হলে আন্দোলনে যাবে ঐক্য পরিষদ।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, যে ইস্যুতেই আন্দোলন হোক না কেন, তাতে যেন ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়। আন্দোলনের বিষয়ে উপাচার্য সিরাজুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলন স্থগিত করার সময় কোনো শর্তের কথা আমাকে বলা হয়নি। যাঁরা বলছেন, তাঁরা তা নিজেদের মতো করেই বলছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ফলাফল জালিয়াতি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে উপাচার্য সিরাজুল করিম চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে গত বছরের ১৪ নভেম্বর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ গঠন করে। এ ঘটনায় ১৪ জন শিক্ষক প্রশাসনের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। ১১ দিনের আন্দোলনের পর ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়রের মধ্যস্থতায় ক্লাস শুরু হয়।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের সভায় ফলাফল জালিয়াতির ঘটনায় সর্বসম্মতিক্রমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মুহম্মদ নূরুল্লাহকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এক মাসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। কিন্তু সভার পর উপাচার্যের দপ্তর থেকে কোনো আদেশ বের না হওয়ায় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করতে পারেনি।
এ বিষয়ে উপাচার্য সিরাজুল করিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে অফিস অর্ডারে স্বাক্ষর করে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আমার মনে হয়, সেটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে গেছে। না গিয়ে থাকলে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
তবে তদন্ত কমিটির প্রধান মুহম্মদ নূরুল্লাহ এ ধরনের কোনো আদেশ পাননি বলে নিশ্চিত করেছেন। ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সরকার ও যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন-অর রশিদ জানান, উপাচার্যকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে পদত্যাগ কিংবা অপসারণ করা হবে; এমন প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এমন কথা থাকলেও বিভিন্নভাবে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছে। আন্দোলন চলাকালে পতদ্যাগ করা পদগুলোতে নতুন করে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য, যা হওয়ার কথা ছিল না। আর যে ফলাফল জালিয়াতি নিয়ে আন্দোলন, তার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এসব সমস্যার সমাধান এ সপ্তাহের মধ্যে না হলে আন্দোলনে যাবে ঐক্য পরিষদ।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, যে ইস্যুতেই আন্দোলন হোক না কেন, তাতে যেন ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়। আন্দোলনের বিষয়ে উপাচার্য সিরাজুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলন স্থগিত করার সময় কোনো শর্তের কথা আমাকে বলা হয়নি। যাঁরা বলছেন, তাঁরা তা নিজেদের মতো করেই বলছেন।’
No comments