নির্মম- রাজশাহীতে ফল রক্ষায় ফাঁদ পেতে চলছে পাখি নিধন by মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল
রাজশাহীর পবা উপজেলার পিল্লাপাড়া গ্রাম।
বিশাল বরই বাগান। বাগানের ওপর দিয়ে আড়াআড়ি কারেন্ট জাল টাঙানো। দূরের
গ্রাম থেকে একঝাঁক বুলবুলি এসে বসল বাগানে।
বসতে না বসতেই
জালে আটকে পড়ল কয়েকটি। ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে দ্-ুএকটি ছাড়া পেলেও
বাকিদের জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু। আশপাশে ঝুলে রয়েছে অসংখ্য মৃত
পাখপাখালি। এ তালিকায় রয়েছে বুলবুলি, দোয়েল, বাদুর, ঘুঘু, ফিঙে, বাবুই,
শালিকসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় পাখি।
শুধু পবাতেই নয়; রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায় বরই চাষিরা তাদের ফসল রায় বাগানে কারেন্ট জালের ফাঁদ পেতেছেন। আর তাতে আটকা পড়ে প্রতিদিনই মরছে শত শত পাখি। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও ডেকে আনছেন মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বিচারে পাখপাখালি নিধন জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি ডেকে আনছে। এতে ফল-ফসলের পরাগায়নসহ বহু জৈবিকপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। এ পরিস্থিতিতে পাখপাখালি রায় সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।
সরেজমিন রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা রাজশাহীর বরই বাগানগুলোতে এবার বাম্পার ফলন এসেছে। বেশির ভাগ বরই বাগানে বরই পাকতে শুরু করেছে। পাকা বরই খেতে বাগানে ঝাঁকে ঝাঁকে বসছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় পাখি। এ ফল রায় চাষিরা বাগানে টাঙাচ্ছেন ব্যবহার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল। আর ওই জালে আটকা পড়ে মরছে বরই খেতে আসা ওই সব পাখি।
পরিবেশের কথা চিন্তা না করেই শুধু ফসল রায় তারা এ জাল ব্যবহার করছেন বলে কৃষকদের অনেকে জানান। তারা জানান, জেলার বেশির ভাগ কৃষক নিজের জমির পাশাপাশি বছরে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে জমি লিজ নিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বরই আবাদ করছেন। আবার কেউ কেউ গাছে থাকা অবস্থায়ই কিনছেন এ বরই। ভালো ফলনের আশায় বছরজুড়েই ব্যস্ত সময় কাটান বরই বাগান পরিচর্যায়। সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচসহ লগ্নি করা এ বিপুল অর্থ লাভসহ ফেরত পেতে এ উদ্যোগ বলে জানান অনেকেই।
পাখি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রায় পাখির ভূমিকা অপরিহার্য। নির্বিচারে এসব পাখি হত্যা জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলবে। এ জন্য অবিলম্বে পাখপাখালি রায় কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।
পরিবেশ অধিদফতরের রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, বন্যপ্রাণী (সংরণ ও নিরাপত্তা) আইনে কোনো পাখি হত্যা করলে দোষীদের সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় নির্বিচারে পাখি হত্যা রোধ করা যাচ্ছে না।
তিনি আরো জানান, আইনটি প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ বিভাগের। তবে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি পাখি হত্যা রোধে গণসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, গেল মওসুমে রাজশাহী মহানগরী ও জেলার ৯ উপজেলায় ২৩০ হেক্টর উচ্চফলনশীল বরই চাষের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে ৭৭ হেক্টর আপেল কুল ও ১৫২ হেক্টর বাউ কুল চাষ করা হয়। হেক্টরে উৎপাদন ছিল আপেল কুল ১১ মেট্রিক টন ও বাউ কুল ১৫ মেট্রিক টন। এবারো সমপরিমাণ জমি উচ্চফলনশীন এসব বরই চাষের আওতায় এসেছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগ। সব মিলিয়ে এবার চাষিরা লাভের মুখ দেখবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
শুধু পবাতেই নয়; রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায় বরই চাষিরা তাদের ফসল রায় বাগানে কারেন্ট জালের ফাঁদ পেতেছেন। আর তাতে আটকা পড়ে প্রতিদিনই মরছে শত শত পাখি। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও ডেকে আনছেন মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বিচারে পাখপাখালি নিধন জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি ডেকে আনছে। এতে ফল-ফসলের পরাগায়নসহ বহু জৈবিকপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। এ পরিস্থিতিতে পাখপাখালি রায় সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।
সরেজমিন রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা রাজশাহীর বরই বাগানগুলোতে এবার বাম্পার ফলন এসেছে। বেশির ভাগ বরই বাগানে বরই পাকতে শুরু করেছে। পাকা বরই খেতে বাগানে ঝাঁকে ঝাঁকে বসছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় পাখি। এ ফল রায় চাষিরা বাগানে টাঙাচ্ছেন ব্যবহার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল। আর ওই জালে আটকা পড়ে মরছে বরই খেতে আসা ওই সব পাখি।
পরিবেশের কথা চিন্তা না করেই শুধু ফসল রায় তারা এ জাল ব্যবহার করছেন বলে কৃষকদের অনেকে জানান। তারা জানান, জেলার বেশির ভাগ কৃষক নিজের জমির পাশাপাশি বছরে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে জমি লিজ নিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বরই আবাদ করছেন। আবার কেউ কেউ গাছে থাকা অবস্থায়ই কিনছেন এ বরই। ভালো ফলনের আশায় বছরজুড়েই ব্যস্ত সময় কাটান বরই বাগান পরিচর্যায়। সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচসহ লগ্নি করা এ বিপুল অর্থ লাভসহ ফেরত পেতে এ উদ্যোগ বলে জানান অনেকেই।
পাখি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রায় পাখির ভূমিকা অপরিহার্য। নির্বিচারে এসব পাখি হত্যা জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলবে। এ জন্য অবিলম্বে পাখপাখালি রায় কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।
পরিবেশ অধিদফতরের রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, বন্যপ্রাণী (সংরণ ও নিরাপত্তা) আইনে কোনো পাখি হত্যা করলে দোষীদের সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় নির্বিচারে পাখি হত্যা রোধ করা যাচ্ছে না।
তিনি আরো জানান, আইনটি প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ বিভাগের। তবে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি পাখি হত্যা রোধে গণসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, গেল মওসুমে রাজশাহী মহানগরী ও জেলার ৯ উপজেলায় ২৩০ হেক্টর উচ্চফলনশীল বরই চাষের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে ৭৭ হেক্টর আপেল কুল ও ১৫২ হেক্টর বাউ কুল চাষ করা হয়। হেক্টরে উৎপাদন ছিল আপেল কুল ১১ মেট্রিক টন ও বাউ কুল ১৫ মেট্রিক টন। এবারো সমপরিমাণ জমি উচ্চফলনশীন এসব বরই চাষের আওতায় এসেছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগ। সব মিলিয়ে এবার চাষিরা লাভের মুখ দেখবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
No comments