নার্সারি করে স্বাবলম্বী
কৈশোরে তিনি নার্সারির প্রতি আকৃষ্ট হন।
১০ কাঠা জমিতে পারিবারিকভাবে নার্সারির কাজ শুরু করেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি
তিনি নার্সারির কাজ সমান্তরালে চালিয়ে গেছেন।
স্কুল-কলেজের গ-ি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভ করেছেন।
নার্সারির পরিধিও বৃদ্ধি পেয়ে ১০ একরে দাঁড়িয়েছে। স্বাবলম্বী, আত্মপ্রত্যয়ী
উচ্চশিতি এ যুবকের নাম রেজাউল ইসলাম। তিনি খুলনার ফুলতলা উপজেলার
নার্সারীসমৃদ্ধ রাড়ীপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজীর পুত্র এবং অদর্শ
নার্সারির পরিচালক।
রেজাউল ইসলাম গত বছর খুলনার ঐতিহ্যবাহী সরকারী বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে এমএ পাস করেছেন। ১৯৯৬ সালে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে তিনি তাঁর পারিবারের ১০ কাঠা জমির উপর আবাদ করা নার্সারির হাল ধরেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা এবং কলম রোপণ, পরিচর্যা ও বিক্রি শুরম্ন করেন। প্রতিবছর নার্সারির পরিধি বাড়তে থাকে। গতানুগতিক পদ্ধতির পরিবর্তে তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে নার্সারি গড়ে তুলেছেন।
তাঁর নার্সারিতে উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) ফলদ, নানা জাতের ভেষজ, বহু প্রকার আমের কলম ও লিচু, বড় জাতের সবেদা এবং ছোট জাতের বকুল সবেদা, বর্তমান সময়ের সাড়া জাগানো আপেলকুল এবং বাউকুল ছাড়াও দেশী উন্নতমানের নারকেল কুল, আমড়াকুল ও নাইনটি কুলের কলম, জামরম্নল, হাইব্রিড কদবেল, আমড়া, ডালিম, বেদানা, পেয়ারা, জলপাই ছাড়াও দেশী সকল ফলের কলম রয়েছে।
পরিশ্রমী যুবক রেজাউল জানান, বর্তমানে তাঁর ১০ একর জমিতে নার্সারি রয়েছে। এ জমি ভাড়ায় (লিজ) নেয়া। বার্ষিক একরপ্রতি জমির মালিকদের ১২ হাজার টাকা করে দিতে হয়। এ জমির লিজের মেয়াদ ৪ বছর। সারাবছর তাঁর নার্সারিতে ৮ শ্রমিক কাজ করে। নার্সারি মৌসুমে ২০/২২ শ্রমিক ছাড়াও অনত্মত ৪ জন মিস্ত্রি (কলম তৈরির কারিগর) প্রয়োজন হয়। েেতর জন্য রাসায়নিক সারের পাশাপাশি মুরগির বিষ্ঠা, গোবর ও জৈব সার ব্যবহার করা হয়। প্রতিবছর আষাঢ় মাস থেকে কলম ও চারা বিক্রির মৌসুম শুরম্ন হয়। চলে আশ্বিন মাস পর্যনত্ম। বর্তমানে তাঁর নার্সারিতে বিভিন্ন প্রকারের ৪ লাখ চারা ও কলম রয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা।
নার্সারিতে স্বাবলম্বী যুবক রেজাউল ইতোমধ্যে ৩ লাখ টাকায় ১ বিঘা জমি কিনেছেন। ৪ লাখ টাকা ব্যয় করে পাকা বসতবাড়ি নির্মাণ করেছেন। গত বছর ফলদ, বনজ এবং ঔষধিসহ ৬০ হাজার চারা ও কলম বিক্রি করে প্রায় ৮ লাখ টাকা নগদ পেয়েছেন।
নার্সারির জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার ও আধুনিক প্রশিণ দ্বারা উৎপাদিত চারার বাজার সৃষ্টি এবং সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নার্সারি সেক্টরে আরও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব বলে রেজাউল ইসলাম মনে করেন।
_অমল সাহা, খুলনা
রেজাউল ইসলাম গত বছর খুলনার ঐতিহ্যবাহী সরকারী বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে এমএ পাস করেছেন। ১৯৯৬ সালে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে তিনি তাঁর পারিবারের ১০ কাঠা জমির উপর আবাদ করা নার্সারির হাল ধরেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা এবং কলম রোপণ, পরিচর্যা ও বিক্রি শুরম্ন করেন। প্রতিবছর নার্সারির পরিধি বাড়তে থাকে। গতানুগতিক পদ্ধতির পরিবর্তে তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে নার্সারি গড়ে তুলেছেন।
তাঁর নার্সারিতে উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) ফলদ, নানা জাতের ভেষজ, বহু প্রকার আমের কলম ও লিচু, বড় জাতের সবেদা এবং ছোট জাতের বকুল সবেদা, বর্তমান সময়ের সাড়া জাগানো আপেলকুল এবং বাউকুল ছাড়াও দেশী উন্নতমানের নারকেল কুল, আমড়াকুল ও নাইনটি কুলের কলম, জামরম্নল, হাইব্রিড কদবেল, আমড়া, ডালিম, বেদানা, পেয়ারা, জলপাই ছাড়াও দেশী সকল ফলের কলম রয়েছে।
পরিশ্রমী যুবক রেজাউল জানান, বর্তমানে তাঁর ১০ একর জমিতে নার্সারি রয়েছে। এ জমি ভাড়ায় (লিজ) নেয়া। বার্ষিক একরপ্রতি জমির মালিকদের ১২ হাজার টাকা করে দিতে হয়। এ জমির লিজের মেয়াদ ৪ বছর। সারাবছর তাঁর নার্সারিতে ৮ শ্রমিক কাজ করে। নার্সারি মৌসুমে ২০/২২ শ্রমিক ছাড়াও অনত্মত ৪ জন মিস্ত্রি (কলম তৈরির কারিগর) প্রয়োজন হয়। েেতর জন্য রাসায়নিক সারের পাশাপাশি মুরগির বিষ্ঠা, গোবর ও জৈব সার ব্যবহার করা হয়। প্রতিবছর আষাঢ় মাস থেকে কলম ও চারা বিক্রির মৌসুম শুরম্ন হয়। চলে আশ্বিন মাস পর্যনত্ম। বর্তমানে তাঁর নার্সারিতে বিভিন্ন প্রকারের ৪ লাখ চারা ও কলম রয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা।
নার্সারিতে স্বাবলম্বী যুবক রেজাউল ইতোমধ্যে ৩ লাখ টাকায় ১ বিঘা জমি কিনেছেন। ৪ লাখ টাকা ব্যয় করে পাকা বসতবাড়ি নির্মাণ করেছেন। গত বছর ফলদ, বনজ এবং ঔষধিসহ ৬০ হাজার চারা ও কলম বিক্রি করে প্রায় ৮ লাখ টাকা নগদ পেয়েছেন।
নার্সারির জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার ও আধুনিক প্রশিণ দ্বারা উৎপাদিত চারার বাজার সৃষ্টি এবং সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নার্সারি সেক্টরে আরও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব বলে রেজাউল ইসলাম মনে করেন।
_অমল সাহা, খুলনা
No comments