উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী-গ্রন্থমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেওয়ার বিষয় বিবেচনা করা হবে
বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ করতে বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় গ্রন্থগুলো অন্যান্য ভাষায় এবং একইভাবে অন্যান্য ভাষার জনপ্রিয় গ্রন্থগুলো বাংলায় অনুবাদ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাংলা একাডেমী চত্বরে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সেই সঙ্গে বর্ধিত পরিসরে একুশে গ্রন্থমেলা আয়োজনের জন্য শিখা চিরন্তনের পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তা স্থানান্তরের প্রস্তাব সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে বলে তিনি জানান। খবর বাসসের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে একটি ভুল
ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে আমরা যদি অন্য ভাষাকে গুরুত্ব দিই তাহলে বাংলা ভাষা ধ্বংস হয়ে যাবে। সেটা ঠিক নয়, বরং বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলো অন্যান্য ভাষায় এবং একইভাবে অন্যান্য ভাষার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলো বাংলায় অনুবাদের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হলে বাংলা আরো সমৃদ্ধ হবে।' তিনি আরো বলেন, 'আমাদের সাহিত্যিকরা ও জনগণ দ্বিধাদ্বন্দ্বে না ভুগে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভাষা শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিলে আমি খুশি হব।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, 'আমি আশা করছি, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে আমরা সক্ষম হব।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সব সদস্য দেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করছে। তিনি বলেন, 'প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় আমরা বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হয়েছি।' 'সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের মাতৃভাষার জন্য জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়েও আমরা সক্ষম হব'- উল্লেখ করেন তিনি।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। বাংলা একাডেমীর সভাপতি ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ইউপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রকাশকদের পক্ষে বক্তব্য দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ এবং 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গানটি পরিবেশন করা হয়। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলা একাডেমীর ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৫ সালে বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তির উন্নয়নে একাডেমী নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের শত্রুরা একাডেমীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। ফলে মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনী এ একাডেমীটি ধ্বংস করে দিয়েছিল। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বাংলা একাডেমী বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অগ্রগতির লক্ষ্যে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলা একাডেমীর কার্যক্রমকে জোরদার করার লক্ষ্যে সরকার একটি আইনি কাঠামো তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, জাতীয় গ্রন্থনীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটিও গঠন করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জনগণের প্রেরণার একটি উৎস একুশে। মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি জাতির বীরত্ব ও ত্যাগের কাহিনী। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য অনুপ্রাণিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দানের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাংলাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুই ১৯৭৪ সালে প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন আয়োজনে বাংলা একাডেমীকে উদ্বুদ্ধ করেন।
বঙ্গবন্ধু এই মহাসম্মেলনে বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং বাঙালি জাতির নীতি ও আদর্শের প্রাণবন্ত বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, 'জাতির জনকের সেসব নীতি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্যগতভাবেই বাঙালি জনগণ প্রগতিশীল। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন ধর্ম, শ্রেণী ও গোত্রের সমন্বয়েই এই জাতি গঠিত, যা আমাদের গর্ব।' সমাজের সর্বস্তরে বাংলা সাহিত্যের চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, অশুভ শক্তি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদকে উৎসাহিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের প্রধান লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠন করা। যা হবে একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণর্, সৃষ্টিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ এবং ডিজিটাল একটি দেশ, যার জন্য ১৯৭১ সালে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। শিল্পী, সাহিত্যিক এবং বুদ্ধিজীবীদের প্রতি এই লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।'
প্রধানমন্ত্রী একুশে গ্রন্থমেলা আয়োজনের জন্য বাংলা একাডেমীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'এই মেলা আমাদের সমকালীন সাহিত্য ও জ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ তৈরি করেছে।'
নবীন লেখকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, এই মেলা তাদের শিক্ষা এবং সৃষ্টিশীলতা ও মেধা বিকাশের একটি কেন্দ্র। পাশাপাশি দর্শনার্থী, পাঠক এবং অন্য অংশগ্রহণকারীদের সাংস্কৃতিক ও মানসিক উন্নয়নের জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ।
ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে আমরা যদি অন্য ভাষাকে গুরুত্ব দিই তাহলে বাংলা ভাষা ধ্বংস হয়ে যাবে। সেটা ঠিক নয়, বরং বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলো অন্যান্য ভাষায় এবং একইভাবে অন্যান্য ভাষার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলো বাংলায় অনুবাদের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হলে বাংলা আরো সমৃদ্ধ হবে।' তিনি আরো বলেন, 'আমাদের সাহিত্যিকরা ও জনগণ দ্বিধাদ্বন্দ্বে না ভুগে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভাষা শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিলে আমি খুশি হব।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, 'আমি আশা করছি, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে আমরা সক্ষম হব।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সব সদস্য দেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করছে। তিনি বলেন, 'প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় আমরা বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হয়েছি।' 'সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের মাতৃভাষার জন্য জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়েও আমরা সক্ষম হব'- উল্লেখ করেন তিনি।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। বাংলা একাডেমীর সভাপতি ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ইউপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রকাশকদের পক্ষে বক্তব্য দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ এবং 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গানটি পরিবেশন করা হয়। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলা একাডেমীর ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৫ সালে বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তির উন্নয়নে একাডেমী নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের শত্রুরা একাডেমীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। ফলে মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনী এ একাডেমীটি ধ্বংস করে দিয়েছিল। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বাংলা একাডেমী বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অগ্রগতির লক্ষ্যে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলা একাডেমীর কার্যক্রমকে জোরদার করার লক্ষ্যে সরকার একটি আইনি কাঠামো তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, জাতীয় গ্রন্থনীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটিও গঠন করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জনগণের প্রেরণার একটি উৎস একুশে। মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি জাতির বীরত্ব ও ত্যাগের কাহিনী। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য অনুপ্রাণিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দানের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাংলাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুই ১৯৭৪ সালে প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন আয়োজনে বাংলা একাডেমীকে উদ্বুদ্ধ করেন।
বঙ্গবন্ধু এই মহাসম্মেলনে বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং বাঙালি জাতির নীতি ও আদর্শের প্রাণবন্ত বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, 'জাতির জনকের সেসব নীতি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্যগতভাবেই বাঙালি জনগণ প্রগতিশীল। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন ধর্ম, শ্রেণী ও গোত্রের সমন্বয়েই এই জাতি গঠিত, যা আমাদের গর্ব।' সমাজের সর্বস্তরে বাংলা সাহিত্যের চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, অশুভ শক্তি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদকে উৎসাহিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের প্রধান লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠন করা। যা হবে একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণর্, সৃষ্টিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ এবং ডিজিটাল একটি দেশ, যার জন্য ১৯৭১ সালে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। শিল্পী, সাহিত্যিক এবং বুদ্ধিজীবীদের প্রতি এই লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।'
প্রধানমন্ত্রী একুশে গ্রন্থমেলা আয়োজনের জন্য বাংলা একাডেমীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'এই মেলা আমাদের সমকালীন সাহিত্য ও জ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ তৈরি করেছে।'
নবীন লেখকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, এই মেলা তাদের শিক্ষা এবং সৃষ্টিশীলতা ও মেধা বিকাশের একটি কেন্দ্র। পাশাপাশি দর্শনার্থী, পাঠক এবং অন্য অংশগ্রহণকারীদের সাংস্কৃতিক ও মানসিক উন্নয়নের জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ।
No comments