মাস পেরোলেও বদলায়নি প্রেক্ষাপট
দিল্লির চলন্ত বাসে গণধর্ষণে সেই তরুণীর
মৃত্যুর এক মাস পার হয়েছে। ঘটনার পর থেকে প্রতিদিনই এ-সংক্রান্ত খবরাখবর
গুরুত্ব দিয়েই প্রকাশ করছে গণমাধ্যম। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে এখনো
বিক্ষোভ চলছে। এর পরও থেমে নেই নারী নির্যাতনের ঘঁনা।
এখনো
নির্যাতিতার বিষয়ে সচেতন নয় পুলিশ, প্রায়শই মামলা হচ্ছে না বা আইনের ফাঁক
গলে খালাস পাচ্ছে আসামি। এ ধরনের ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলছে। সময় পেরোলেও
প্রেক্ষাপটের খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি।
গত ১৬ ডিসেম্বর ম্যাডেক্যালে পড়ুয়া ফিজিওথেরাপির ওই ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনার পর ভারতের ধনী-গরিব সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। জনসাধারণের শঙ্কা দূর করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং পুলিশ বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। নারীর নিরাপত্তা জোরদারে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নিজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। ওই বর্বরোচিত ঘটনার পরই পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে এবং দ্রুত বিচার আদালতে তাদের বিচার চলছে। এ ছাড়া নারীদের সহায়তা করতে দিল্লি পুলিশ হেল্পলাইন চালুর পাশাপাশি নগরীজুড়ে টহলও দিচ্ছে। তবে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রুখতে এ টুকুই পর্যাপ্ত নয়। আরো অনেক কিছু করণীয় রয়েছে বলে মনে করছে নারীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দিল্লির প্রায় ৮০ শতাংশ নারী তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। দিল্লি সরকারের নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ, দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের সমস্যা নিয়ে কর্মরত এনজিও জাগোরি এবং জাতিসংঘ নারী উন্নয়ন তহবিল (ইউনিফেম) যৌথভাবে এ জরিপটি চালায়। তিন হাজার ৮১৬ জন নারী এবং ৯৪৪ জন পুরুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
দিল্লি রাজ্য সরকারের নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী কিরণ ওয়ালিয়া বলেন, 'প্রতি পাঁচজন নারীর তিনজনই বলেছেন, শুধু রাতেই নয়_দিনেও তারা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তবে আশার কথা হচ্ছে, ৬৮ শতাংশ নারীই এর মোকাবিলা করে পাল্টা জবাব দিয়ে অথবা পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তায়।' তিনি আরো বলেন, 'গণপরিবহন এবং যেসব রাস্তায় আলোর স্বল্পতা, সেখানেই নারীরা বেশি হয়রানির শিকার হয়। আমরা এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিমধ্যে বাসে সিসিটিভি বসাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। এ ছাড়া যৌন হয়রানিকে অজামিনযোগ্য ধারায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগও নিয়েছি।'
নির্যাতনের শিকার ২৩ বছরের ওই তরুণীর বাবা বলেন, 'দেশের মানুষ মন থেকে চাইলেই আমরা নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারব। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে এখন থেকে সংবাদপত্রের উচিত, শুধু ধর্ষণের খবর দিয়ে প্রতিদিন পত্রিকা প্রকাশ করা।'
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নেহা পান্ত বলেন, 'অপ্রকাশিত সব ধর্ষণের ঘটনার বিচার হোক, এটাই আমরা চাই। দিল্লির ঘটনার পর ভেবেছিলাম পুলিশ এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে অনমনীয় মনোভাব নিয়ে কাজ করবে। ওর (ওই ছাত্রী) মৃত্যুর এক মাস পার হয়েছে। এখনো কি আমরা নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারছি? আমার মতে, এ দেশের কোনো বয়সের নারীরাই তাদের নিরাপদ মনে করে না।' সুত্র : গালফ নিউজ।
গত ১৬ ডিসেম্বর ম্যাডেক্যালে পড়ুয়া ফিজিওথেরাপির ওই ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনার পর ভারতের ধনী-গরিব সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। জনসাধারণের শঙ্কা দূর করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং পুলিশ বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। নারীর নিরাপত্তা জোরদারে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নিজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। ওই বর্বরোচিত ঘটনার পরই পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে এবং দ্রুত বিচার আদালতে তাদের বিচার চলছে। এ ছাড়া নারীদের সহায়তা করতে দিল্লি পুলিশ হেল্পলাইন চালুর পাশাপাশি নগরীজুড়ে টহলও দিচ্ছে। তবে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রুখতে এ টুকুই পর্যাপ্ত নয়। আরো অনেক কিছু করণীয় রয়েছে বলে মনে করছে নারীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দিল্লির প্রায় ৮০ শতাংশ নারী তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। দিল্লি সরকারের নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ, দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের সমস্যা নিয়ে কর্মরত এনজিও জাগোরি এবং জাতিসংঘ নারী উন্নয়ন তহবিল (ইউনিফেম) যৌথভাবে এ জরিপটি চালায়। তিন হাজার ৮১৬ জন নারী এবং ৯৪৪ জন পুরুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
দিল্লি রাজ্য সরকারের নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী কিরণ ওয়ালিয়া বলেন, 'প্রতি পাঁচজন নারীর তিনজনই বলেছেন, শুধু রাতেই নয়_দিনেও তারা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তবে আশার কথা হচ্ছে, ৬৮ শতাংশ নারীই এর মোকাবিলা করে পাল্টা জবাব দিয়ে অথবা পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তায়।' তিনি আরো বলেন, 'গণপরিবহন এবং যেসব রাস্তায় আলোর স্বল্পতা, সেখানেই নারীরা বেশি হয়রানির শিকার হয়। আমরা এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিমধ্যে বাসে সিসিটিভি বসাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। এ ছাড়া যৌন হয়রানিকে অজামিনযোগ্য ধারায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগও নিয়েছি।'
নির্যাতনের শিকার ২৩ বছরের ওই তরুণীর বাবা বলেন, 'দেশের মানুষ মন থেকে চাইলেই আমরা নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারব। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে এখন থেকে সংবাদপত্রের উচিত, শুধু ধর্ষণের খবর দিয়ে প্রতিদিন পত্রিকা প্রকাশ করা।'
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নেহা পান্ত বলেন, 'অপ্রকাশিত সব ধর্ষণের ঘটনার বিচার হোক, এটাই আমরা চাই। দিল্লির ঘটনার পর ভেবেছিলাম পুলিশ এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে অনমনীয় মনোভাব নিয়ে কাজ করবে। ওর (ওই ছাত্রী) মৃত্যুর এক মাস পার হয়েছে। এখনো কি আমরা নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারছি? আমার মতে, এ দেশের কোনো বয়সের নারীরাই তাদের নিরাপদ মনে করে না।' সুত্র : গালফ নিউজ।
No comments