এখন কেন নক্ষত্র কম সৃষ্টি হচ্ছে by ইব্রাহিম নোমান
বিশ্বের কোনকিছুই অনন্ত যৌবনা নয়। সময়ের
বিবর্তনে ফুরিয়ে যায় শক্তি, হারিয়ে যায়, সৃষ্টির ৰমতা। ঠিক তেমনি আমাদের
বিশ্ব ব্রহ্মান্ডও বুড়িয়ে গেছে। বুড়িয়ে গেছে ছায়াপথ।
ছায়াপতের নক্ষত্র সৃষ্টির ৰমতা কমে গেছে। সৃষ্টির মুরম্নতে ছায়াপথ থেকে যে
হারে নতুন নতুন তারা সৃষ্টি হতো, এখন আর তেমনটি হয় না। কার পরিক্রমায় কমে
যায় ছায়াপথের তারা সৃষ্টির ৰমতা। প্রাণী বা উদ্ভিদ বুড়িয়ে গেলে যেমন তাদের
বংশ বিসত্মারের ৰমতা হ্রাস পায়, ঠিক তেমনি ছায়াপথ বুড়িয়ে যাওয়ায় তাদের
নৰত্র তৈরির ৰমতাও কমে গেছে। কয়েক শ' কোটি বছর আগে ছায়াপথসমূহ যেহারে নৰত্র
তৈরি করত, এখন সেই হার অনেক কমে গেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ছায়াপথের নৰত্র
সৃষ্টির ৰমতার রহস্য উন্মোচন করেছেন। এ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটির
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ছায়াপথের মধ্যে নৰত্রের জন্মদানের রহস্য উদঘাটনে সহায়তা
করেছেন। এটি ছিল বিজ্ঞানীদের কাছে দীর্ঘদিনের রহস্য। এ সংক্রানত্ম গবেষণার
ফল নেচার সাময়িকীর সাম্প্রতিক সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
ইউএ'র স্টুয়ার্ড অবজারভেটরির পোস্ট ডক্টরাল স্পিৎজার ফেলো মাইকেল কুপার বলেন, এক দশকেরও বেশি সময় আগে বিশ্বে অর্থাৎ মহাবিস্ফোরণের পাঁচ শ' কোটি বছর পর অথবা আজ থেকে নয় শ' বা এগারো শ' কোটি বছর আগে ছায়াপথসমূহ এখনকার চাইতে অনেক দ্রম্নত হারে নতুন নৰত্র সৃষ্টি হতো। তার সহকমর্ী স্টুয়ার্ড অবজারভেটরির সহকারী জ্যোতির্বিদ এবং গবেষণা নিবন্ধের অন্যতম রচিয়তা বেঞ্জামিন ওয়েনার বলেন, আমরা যা জানতে পারিনি তা এরকম, এর কারণ কি এই যে ছায়াপথসমূহ কোনভাবে অপেৰাকৃত দৰতার সঙ্গে নৰত্র সৃষ্টি করেছে নাকি অধিকতর উপাদান (নৰত্র সৃষ্টির) আণবিক গ্যাস ও ধূলিকণা পাওয়া গেছে।
আজকের ছায়াপথের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে প্রতি বারে সূর্যের ভর দশগুণ আকারের নৰত্র সৃষ্টি করে। যখন এই ছায়াপথের বয়স কম ছিল তখন বর্তমানের চাইতে ১০ গুণ বেশি নৰত্র তৈরি হতো। প্রশ্নের জবাব খুঁজতে বিজ্ঞানীরা স্বল্পসংখ্যক বিরল ও খুব উজ্জ্বল মহাজাগতিক বস্তুর প্রতি টেলিস্কোপ নিবদ্ধ করেছেন। কেননা মহাকাশ পর্যবেৰণে বর্তমানে সহজলভ্য যন্ত্রপাতিসমূহের মাধ্যমে অপেৰাকৃত কম উজ্জ্বল অধিকতর সাধারণ বৈশিষ্ট্যসূচক ছায়াপথের ওপর গবেষণা চালানো সম্ভব নয়। এসব বিরল ও উজ্জ্বল মহাজাগতিক বস্তুর ওপর গবেষণা করে যে ফল পাওয়া গেছে তাতে এই সন্দেহ দেখা দিয়েছে যে, বিশ্ব ব্রহ্মা-ের অধিকাংশ ছায়াপথের ৰেত্রে এটা উজ্জ্বল সত্যি হয় কিনা। বিজ্ঞানী কুপার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি অনেকটা সাতফুট লম্বা লোকদের ওপর সমীৰা চালানোর মতো। অগত্যা কুপার ও তার সহকমর্ীরা আরও আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে আরও নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে এক ডজনেরও বেশি স্বাভাবিক ছায়াপথের ওপর গবেষণা চালান। কুপার বলেন, অতঃপর আমাদের গবেষণার ফল আরও প্রতিনিধিত্বমূলক হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো আমরা অনেকখানি পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে জানা গেছে কিভাবে ছায়াপথসমূহ নৰত্রসমূহ সৃষ্টি করে। বিপুল পরিমাণ শীতল গ্যাস ও ধূলিকণা থেকে তৈরি হয় নতুন নতুন নৰত্র। ছায়াপথের বিশাল অংশ জুড়েই রয়েছে এই উপাদান। নৰত্র সৃষ্টিকারী উপাদান সহজে চিহ্নিত করা যায় না এবং এর বিন্যাস সংক্রানত্ম উপাত্তও ইতসত্মত বিৰিপ্ত ও খুঁজে পাওয়া কঠিন। গবেষকরা এ অবস্থায় বেশ ঝামেলায় পড়ে যান। তাঁরা ভেবে পান না কোন
দৃশ্যপট সত্য : সাধারণ ছায়াপথসমূহের কি এখনও নৰত্র সৃষ্টি করার মতো পর্যাপ্ত উপাদান রয়েছে, না কিছু কারণে এদের নৰত্র তৈরির যোগ্যতা মহাজাগতিক সময় বিবেচনায় শস্নথ হয়ে গেছে? অথবা ছায়াপথসমূহের অধিকাংশ গ্যাস ও ধূলিকণা কি চিরকালীন প্রক্রিয়ায় নিঃশেষিত হওয়ার কারণে আজকের ছায়াপথসমূহ অনেক কম নৰত্র তৈরি করে? বিজ্ঞানীরা এর জবাব খুঁজে পেয়েছেন।
ইউএ'র স্টুয়ার্ড অবজারভেটরির পোস্ট ডক্টরাল স্পিৎজার ফেলো মাইকেল কুপার বলেন, এক দশকেরও বেশি সময় আগে বিশ্বে অর্থাৎ মহাবিস্ফোরণের পাঁচ শ' কোটি বছর পর অথবা আজ থেকে নয় শ' বা এগারো শ' কোটি বছর আগে ছায়াপথসমূহ এখনকার চাইতে অনেক দ্রম্নত হারে নতুন নৰত্র সৃষ্টি হতো। তার সহকমর্ী স্টুয়ার্ড অবজারভেটরির সহকারী জ্যোতির্বিদ এবং গবেষণা নিবন্ধের অন্যতম রচিয়তা বেঞ্জামিন ওয়েনার বলেন, আমরা যা জানতে পারিনি তা এরকম, এর কারণ কি এই যে ছায়াপথসমূহ কোনভাবে অপেৰাকৃত দৰতার সঙ্গে নৰত্র সৃষ্টি করেছে নাকি অধিকতর উপাদান (নৰত্র সৃষ্টির) আণবিক গ্যাস ও ধূলিকণা পাওয়া গেছে।
আজকের ছায়াপথের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে প্রতি বারে সূর্যের ভর দশগুণ আকারের নৰত্র সৃষ্টি করে। যখন এই ছায়াপথের বয়স কম ছিল তখন বর্তমানের চাইতে ১০ গুণ বেশি নৰত্র তৈরি হতো। প্রশ্নের জবাব খুঁজতে বিজ্ঞানীরা স্বল্পসংখ্যক বিরল ও খুব উজ্জ্বল মহাজাগতিক বস্তুর প্রতি টেলিস্কোপ নিবদ্ধ করেছেন। কেননা মহাকাশ পর্যবেৰণে বর্তমানে সহজলভ্য যন্ত্রপাতিসমূহের মাধ্যমে অপেৰাকৃত কম উজ্জ্বল অধিকতর সাধারণ বৈশিষ্ট্যসূচক ছায়াপথের ওপর গবেষণা চালানো সম্ভব নয়। এসব বিরল ও উজ্জ্বল মহাজাগতিক বস্তুর ওপর গবেষণা করে যে ফল পাওয়া গেছে তাতে এই সন্দেহ দেখা দিয়েছে যে, বিশ্ব ব্রহ্মা-ের অধিকাংশ ছায়াপথের ৰেত্রে এটা উজ্জ্বল সত্যি হয় কিনা। বিজ্ঞানী কুপার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি অনেকটা সাতফুট লম্বা লোকদের ওপর সমীৰা চালানোর মতো। অগত্যা কুপার ও তার সহকমর্ীরা আরও আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে আরও নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে এক ডজনেরও বেশি স্বাভাবিক ছায়াপথের ওপর গবেষণা চালান। কুপার বলেন, অতঃপর আমাদের গবেষণার ফল আরও প্রতিনিধিত্বমূলক হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো আমরা অনেকখানি পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে জানা গেছে কিভাবে ছায়াপথসমূহ নৰত্রসমূহ সৃষ্টি করে। বিপুল পরিমাণ শীতল গ্যাস ও ধূলিকণা থেকে তৈরি হয় নতুন নতুন নৰত্র। ছায়াপথের বিশাল অংশ জুড়েই রয়েছে এই উপাদান। নৰত্র সৃষ্টিকারী উপাদান সহজে চিহ্নিত করা যায় না এবং এর বিন্যাস সংক্রানত্ম উপাত্তও ইতসত্মত বিৰিপ্ত ও খুঁজে পাওয়া কঠিন। গবেষকরা এ অবস্থায় বেশ ঝামেলায় পড়ে যান। তাঁরা ভেবে পান না কোন
দৃশ্যপট সত্য : সাধারণ ছায়াপথসমূহের কি এখনও নৰত্র সৃষ্টি করার মতো পর্যাপ্ত উপাদান রয়েছে, না কিছু কারণে এদের নৰত্র তৈরির যোগ্যতা মহাজাগতিক সময় বিবেচনায় শস্নথ হয়ে গেছে? অথবা ছায়াপথসমূহের অধিকাংশ গ্যাস ও ধূলিকণা কি চিরকালীন প্রক্রিয়ায় নিঃশেষিত হওয়ার কারণে আজকের ছায়াপথসমূহ অনেক কম নৰত্র তৈরি করে? বিজ্ঞানীরা এর জবাব খুঁজে পেয়েছেন।
No comments