‘অধিকতর মানবিক’ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান সু চির
মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু
চি গতকাল শুক্রবার ‘অধিকতর মানবিক’ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বিত্ত-বৈভবই একটি অবাধ ও
বৈরিতামুক্ত সমাজের নিশ্চয়তা নয়।
১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল
পুরস্কার জয়ী এই নারী গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির
সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেন। এরপর তিনি সেখানে শিক্ষার্থীদের
উদ্দেশে এক ভাষণে বলেন, উন্নয়ন শান্তি নিয়ে আসবে, বিবাদ নয়—বিষয়টি নিশ্চিত
করা নির্ভর করে তরুণ প্রজন্মের ওপর।
সু চি বলেন, ‘আমি একটি অধিকতর মানবিক চেহারার, সদয় চিত্ত ও অধিকতর দায়িত্বশীল চেহারাবিশিষ্ট গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলতে চাই। এটা সেই গণতন্ত্র, যার প্রকৃত অর্থ জণগনকে প্রতিপালন করা, এই গণতন্ত্র বস্তুগত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে আমাদের সাহায্য করে না। আমার দেশকে আমি এমন সদয় দেশ হিসেবে দেখতে চাই, যে দেশ মানবিক মূল্যবোধের কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দেবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের রাস্তায় উঠতে গিয়ে এ ধরনের মূল্যবোধ হারিয়ে গেছে বলে আমার মনে হয়েছে।’
সু চি যোগ করেন, ‘সমবেদনা, অপরের প্রতি সহানুভূতিশীলতা ও সম্প্রীতি’ হচ্ছে ‘আজকের দিনে আমাদের বিশ্বের জন্য অত্যাবশক’।
সু চি গত সোমবার সিউলে পৌঁছান। দক্ষিণ কোরিয়ায় এটাই তাঁর প্রথম সফর। তিনি দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাক ও তাঁর উত্তরসূরি পার জিউন-হাইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি পিয়ংচ্যাংয়ে শীতকালীন বিশেষ অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার তারকাদের সঙ্গে এক বিশেষ নৈশভোজে যোগ দেন।
তারকাদের মধ্যে ছিলেন জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা অন জ্যা-উক, যাঁর সঙ্গে সু চির নিহত বাবার চেহারার মিল রয়েছে। তাঁকে বিশেষভাবে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। নৈশভোজ শেষে বার্তা সংস্থা ইয়নহাপকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অন জ্যা-উক বলেন, ‘তিনি (সু চি) আমাকে বলেছেন, “আপনি দেখতে আমার বাবার মতো। তিনি ছিলেন খুবই সুদর্শন।”’ এএফপি।
সু চি বলেন, ‘আমি একটি অধিকতর মানবিক চেহারার, সদয় চিত্ত ও অধিকতর দায়িত্বশীল চেহারাবিশিষ্ট গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলতে চাই। এটা সেই গণতন্ত্র, যার প্রকৃত অর্থ জণগনকে প্রতিপালন করা, এই গণতন্ত্র বস্তুগত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে আমাদের সাহায্য করে না। আমার দেশকে আমি এমন সদয় দেশ হিসেবে দেখতে চাই, যে দেশ মানবিক মূল্যবোধের কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দেবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের রাস্তায় উঠতে গিয়ে এ ধরনের মূল্যবোধ হারিয়ে গেছে বলে আমার মনে হয়েছে।’
সু চি যোগ করেন, ‘সমবেদনা, অপরের প্রতি সহানুভূতিশীলতা ও সম্প্রীতি’ হচ্ছে ‘আজকের দিনে আমাদের বিশ্বের জন্য অত্যাবশক’।
সু চি গত সোমবার সিউলে পৌঁছান। দক্ষিণ কোরিয়ায় এটাই তাঁর প্রথম সফর। তিনি দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাক ও তাঁর উত্তরসূরি পার জিউন-হাইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি পিয়ংচ্যাংয়ে শীতকালীন বিশেষ অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার তারকাদের সঙ্গে এক বিশেষ নৈশভোজে যোগ দেন।
তারকাদের মধ্যে ছিলেন জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা অন জ্যা-উক, যাঁর সঙ্গে সু চির নিহত বাবার চেহারার মিল রয়েছে। তাঁকে বিশেষভাবে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। নৈশভোজ শেষে বার্তা সংস্থা ইয়নহাপকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অন জ্যা-উক বলেন, ‘তিনি (সু চি) আমাকে বলেছেন, “আপনি দেখতে আমার বাবার মতো। তিনি ছিলেন খুবই সুদর্শন।”’ এএফপি।
No comments