শুধু উদযাপনে সীমাবদ্ধ থাকবে না -রওশন আরা বেগম
এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শতবর্ষ উদযাপন হচ্ছে। এ উপলৰে সরকার কি কর্মসূচী হাতে নিয়েছে?
উত্তর : বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণার
শতবর্ষ পূর্তিতে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে_ 'নারী পুরুষের
'সমসুযোগ সমঅধিকার দিনবদলের অগ্রযাত্রায় উন্নয়নের অঙ্গীকার'।
যা বর্তমান সরকারের কার্যক্রমের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। খুবই সময়োপযোগী। এবং
শুধু দিবসটি উদ্যাপনের মধ্যে যাতে এর কার্যক্রম স্থির হয়ে না পড়ে সেদিকে
লৰ্য রেখেই সারাবছর সরকারী বেসরকারী সকল পদক্ষেপ বাস্তবমুখী ফলপ্রসূ করার
প্রতি সরকার গুরম্নত্বারোপ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উদ্যাপনের
শুভ উদ্বোধন করবেন। তাঁর দিকনির্দেশনাকে পাথেয় করে চলবে সাত দিনব্যাপী
অনুষ্ঠান। র্যালি, মেলা, আলোচনা সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, নাটক, জারিগান
ইত্যাদি হবে। এ দিবসটির উদ্যাপন শুধুমাত্র ঢাকা কেন্দ্রিক যাতে না হয়ে পড়ে
সেদিকেও সরকার গুরুত্বারোপ করেছে। সে জন্য জেলাগুলোতে বাজেট বরাদ্দ দেয়া
হয়েছে। তারা যাতে এনজিও এবং এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে দিবসটি
উদ্্যাপন এবং সে সঙ্গে এর তাৎপর্য সকলের নিকট তুলে ধরে এবং নিজেদের ভূমিকা
অব্যাহত রাখে সেদিকে লৰ্য রেখে কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সিডর, আইলায় ৰতিগ্রসত্ম এলাকাসহ হতদরিদ্র নারীরা যাতে এর সুবিধা পায় সে
জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহোদয় স্বয়ং মাঠ
পর্যায়ের দরিদ্র মহিলাদের কাছে যাবেন। সচিবসহ আমরাও বিভিন্ন এলাকায় যাব।
এটি এ জন্য যাতে দরিদ্র মহিলারা অনুভব করতে পারে সরকার তাদের থেকে দূরে নয়।
তাদের অবস্থার পরিবর্তনই সরকারের লৰ্য। শুধু নারী নয়, পুরম্নষের পুরোপুরি
অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও সরকারের নির্দেশ। এভাবেই আনত্মর্জাতিক নারী দিবসের
শতবর্ষ উদযাপনে এবার বাংলাদেশের সকলের মনে নারী নির্যাতন বন্ধ করে সুখী
শানত্মিপূর্ণ সংসার এবং সমাজ গঠনের পথনির্দেশক হবে বলে আশা করি।
জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা সম্পর্কে কিছু বলুন। এ বিষয়ে সরকার কি পদপে নিয়েছে বা নিতে যাচ্ছে?
উত্তর: সরকার অবশ্যই পদপে নিয়েছে তবে এ বিষয়ে আমি এখনি কিছু বলতে চাই না। আমি আমার মতটি বলি, নারী নীতিমালাটিকে আমি বাংলা ভাষার সাথে তুলনা করি। বাংলা ভাষা যেমন বার বার ধাক্কা খেতে খেতেও নিজের অবস্থান টিঠ করে নিয়েছে নীতিমালার েেত্রও তাই হচ্ছে এবং হবে। ১৯৯৭ সালে নীতিমালাটি প্রণীত হয়। পরবতর্ীতে ২০০৪ সালে এর কিছু বিষয় পরিবর্তন করা হয়। আবার তত্ত্ব্বাবধায়ক সরকারের আমলেও কিছু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে বার বার পরিবর্তনই হচ্ছে কিন্তু এটি বাসত্মবায়নে বাধাগ্রসত্ম হচ্ছে। বর্তমানে পুনরায় ১৯৯৭ সালের নীতিমালাটিকে যুগোপযোগী করার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।
সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে ভাইবোনের সমান অংশীদার করার বিষয় নিয়েই মূলত বিভিন্ন সময়ে নীতিমালাটি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এেেত্র পবিত্র কুরআনের বরখেলাপের কথা উঠেছে।
পবিত্র কুরআন এবং এ সংক্রানত্ম শরিয়তের বিধানটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সেখানে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারার বিধান দেয়া হয়েছে। তাহলে এটি স্পষ্ট যে মালিক বেঁচে থাকা অবস্থায় তার সম্পত্তি তিনি বিক্রি করে ফেলতে পারেন, দান করে দিতে পারেন, ভাই-বোনদের মধ্যে কমবেশি কিংবা সমান ভাগে ভাগ করে দিতে পারেন। তিনি মারা গেলে মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তি যেভাবে বণ্টন হবে তার বিধান পবিত্র কুরআনে দেয়া হয়েছে। এখানে ভাইয়ের অর্ধেক সম্পত্তি বোনকে দেয়ার বিধান রয়েছে। সে সঙ্গে রয়েছে স্বামীর কাছ থেকে মোহরানা এবং ভরণ পোষণের বিধান। কিন্তু কোনটি অনুসরণ করা হচ্ছে? মোহরানা ব্যতিরেকে যেভাবে যৌতুক আদায় হচ্ছে তার বিরম্নদ্ধে কি হচ্ছে? ২০০৪ সালে যখন পবিত্র কুরআনের বরখেলাপের প্রসঙ্গে নীতিমালাটি পরিবর্তন করা হলো তখন সেখানে পুরোপুরি ইসলামের যাবতীয় বিধিবিধান তারা অনত্মভর্ুক্ত করেননি কেন তা বোঝা দুষ্কর। আমি ইসলাম ধর্মের অনুসরণে বোনের প্রাপ্তির একটি সূত্র দিতে চাই। তাহলো "ভাইয়ের অর্ধেক সম্পত্তি+স্বামী কতর্ৃক প্রদত্ত ভরণ পোষণ+বিয়ের সময় প্রদত্ত মোহরানা_ যৌতুক"। যৌতুক কোন অবস্থাতেই ইসলামিক নয় তাই এটিকে করেছি। তারা নীতিমালাটি পুরোপুরি এ আঙ্গিকে করলেও তো আমরা বলতে পারতাম পুরোপুরি ইসলাম ধর্মকে অনুসরণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুটা বাদ দিয়ে কিছু অনুসরণ ইসলাম সম্মত হয়েছে কি?
ভাইবোনকে পৈত্রিক সম্পত্তির সমান অধিকারী করে সিভিল আইন করা হলে সকলকে তা অনুসরণ করতেই হবে এমন তো নয়। কেউ ইসলামিক শরিয়ত মাফিক গেলেন কেউ সিভিল ল অনুসরণে যাবেন_ সেটি তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। এটি আমি হাত কাটার প্রসঙ্গে এনে বলতে পারি। পবিত্র কুরআনে চুরি করলে হাত কেটে দেয়ার বিধান স্পষ্টতই রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে কোন চোরের হাত কাটা হয়েছে বা হচ্ছে কি? এৰেত্রে তো সিভিল আইনটিই অনুসরণ করা হচ্ছে। কোন ফতোয়াও তো হচ্ছে না, কোন চিৎকারও হচ্ছে না। কেন? হাত কাটার আইন করার দাবিও হচ্ছে না। কারণ কি? পুরম্নষরাই চোর বেশি বলে?
তাই বলব যদি ইসলাম ধর্মকে অনুসরণ করতে হয় তবে পুরোটাই করা আবশ্যক। যদি সম্পত্তির ৰেত্রে হয় তবে 'ভাইয়ের অর্ধেক সম্পত্তি+ভরণপোষণ+মোহরানা-যৌতুক'। তা না হলে ভাইবোনের সমান অংশীদারিত্বে সিভিল আইনে বাধা না থাকা উচিত। কারণ আমরা জানি হিন্দু মেয়েরা কোন সম্পত্তিই পাচ্ছে না। মুসলমান মেয়েরা অর্ধেকের মালিক থাকলেও তা দেয়া হচ্ছে না। এর একটি সুরাহা হওয়া আবশ্যক।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার েেত্র মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের কোন ভূমিকা আছে কি ?
উত্তর: আছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে অধিদফতরে ওঈঞ ঈবষষ স্থাপন করেছি। অধিদফতরের জন্য একটি ঊসধরষ ধফফৎবংং করা হয়েছে। আমরা ডবনংরঃব করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৪৯০টি কম্পিউটার ক্রয়ের অনুমতি সংস্থাপন ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া গিয়েছে। কম্পিউটারগুলো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়ে গেলে জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা সহজ হবে। ফলে সুবিধা অসুবিধা দ্রম্নত নিষ্পত্তির সহায়ক হবে।
নারী উন্নয়নে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর কি ধরনের কাজ করছে?
উত্তর: বেশকিছু প্রকল্প রয়েছে আমাদের। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য এক, বিধবা ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা, ভিজিডি কার্যক্রমসমূহ হলো সরকারের ঝড়পরধষ ঝধভবঃু হবঃ ঢ়ৎড়মৎধস. গ্রাম বাংলার একেবারে হতদরিদ্র নারীদের জন্যই এই প্রোগ্রামসমূহ পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার প্রতিটি েেত্রই আর্থিক বরাদ্দ এবং উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে।
দুই, প্রতিটি জেলায় এবং উপজেলায় বিদ্যমান ঋণ কার্যক্রম এবং বিভিন্ন সমিতিকে অনুদান প্রদানের মাধ্যমে সরকার দরিদ্র নারী উদ্যোক্তাদের আয়বর্ধক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে।
তিন, নারী নির্যাতন, নারী ও শিশু পাচার এবং যৌতুক নিরোধ সংক্রানত্ম বিভিন্ন কার্যক্রমে মাঠ পর্যায়ে আমাদের জেলা এবং উপজেলা কর্মকর্তাগণ জেলা পশাসকগণের সহায়তায় কাজ করে থাকেন। মাঠ পর্যায়ে আলোচনা সভা, র্যালি, উঠান বৈঠক, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদিও হয়। এসব কার্যক্রম জিও, এনজিও সমন্বয়েও হয়ে থাকে। মহিলা বিষয়ক অধিদফতর এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সবের কার্যক্রমের তদারকি তথা মনিটরিং অব্যাহত রাখে।
জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা সম্পর্কে কিছু বলুন। এ বিষয়ে সরকার কি পদপে নিয়েছে বা নিতে যাচ্ছে?
উত্তর: সরকার অবশ্যই পদপে নিয়েছে তবে এ বিষয়ে আমি এখনি কিছু বলতে চাই না। আমি আমার মতটি বলি, নারী নীতিমালাটিকে আমি বাংলা ভাষার সাথে তুলনা করি। বাংলা ভাষা যেমন বার বার ধাক্কা খেতে খেতেও নিজের অবস্থান টিঠ করে নিয়েছে নীতিমালার েেত্রও তাই হচ্ছে এবং হবে। ১৯৯৭ সালে নীতিমালাটি প্রণীত হয়। পরবতর্ীতে ২০০৪ সালে এর কিছু বিষয় পরিবর্তন করা হয়। আবার তত্ত্ব্বাবধায়ক সরকারের আমলেও কিছু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে বার বার পরিবর্তনই হচ্ছে কিন্তু এটি বাসত্মবায়নে বাধাগ্রসত্ম হচ্ছে। বর্তমানে পুনরায় ১৯৯৭ সালের নীতিমালাটিকে যুগোপযোগী করার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।
সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে ভাইবোনের সমান অংশীদার করার বিষয় নিয়েই মূলত বিভিন্ন সময়ে নীতিমালাটি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এেেত্র পবিত্র কুরআনের বরখেলাপের কথা উঠেছে।
পবিত্র কুরআন এবং এ সংক্রানত্ম শরিয়তের বিধানটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সেখানে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারার বিধান দেয়া হয়েছে। তাহলে এটি স্পষ্ট যে মালিক বেঁচে থাকা অবস্থায় তার সম্পত্তি তিনি বিক্রি করে ফেলতে পারেন, দান করে দিতে পারেন, ভাই-বোনদের মধ্যে কমবেশি কিংবা সমান ভাগে ভাগ করে দিতে পারেন। তিনি মারা গেলে মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তি যেভাবে বণ্টন হবে তার বিধান পবিত্র কুরআনে দেয়া হয়েছে। এখানে ভাইয়ের অর্ধেক সম্পত্তি বোনকে দেয়ার বিধান রয়েছে। সে সঙ্গে রয়েছে স্বামীর কাছ থেকে মোহরানা এবং ভরণ পোষণের বিধান। কিন্তু কোনটি অনুসরণ করা হচ্ছে? মোহরানা ব্যতিরেকে যেভাবে যৌতুক আদায় হচ্ছে তার বিরম্নদ্ধে কি হচ্ছে? ২০০৪ সালে যখন পবিত্র কুরআনের বরখেলাপের প্রসঙ্গে নীতিমালাটি পরিবর্তন করা হলো তখন সেখানে পুরোপুরি ইসলামের যাবতীয় বিধিবিধান তারা অনত্মভর্ুক্ত করেননি কেন তা বোঝা দুষ্কর। আমি ইসলাম ধর্মের অনুসরণে বোনের প্রাপ্তির একটি সূত্র দিতে চাই। তাহলো "ভাইয়ের অর্ধেক সম্পত্তি+স্বামী কতর্ৃক প্রদত্ত ভরণ পোষণ+বিয়ের সময় প্রদত্ত মোহরানা_ যৌতুক"। যৌতুক কোন অবস্থাতেই ইসলামিক নয় তাই এটিকে করেছি। তারা নীতিমালাটি পুরোপুরি এ আঙ্গিকে করলেও তো আমরা বলতে পারতাম পুরোপুরি ইসলাম ধর্মকে অনুসরণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুটা বাদ দিয়ে কিছু অনুসরণ ইসলাম সম্মত হয়েছে কি?
ভাইবোনকে পৈত্রিক সম্পত্তির সমান অধিকারী করে সিভিল আইন করা হলে সকলকে তা অনুসরণ করতেই হবে এমন তো নয়। কেউ ইসলামিক শরিয়ত মাফিক গেলেন কেউ সিভিল ল অনুসরণে যাবেন_ সেটি তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। এটি আমি হাত কাটার প্রসঙ্গে এনে বলতে পারি। পবিত্র কুরআনে চুরি করলে হাত কেটে দেয়ার বিধান স্পষ্টতই রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে কোন চোরের হাত কাটা হয়েছে বা হচ্ছে কি? এৰেত্রে তো সিভিল আইনটিই অনুসরণ করা হচ্ছে। কোন ফতোয়াও তো হচ্ছে না, কোন চিৎকারও হচ্ছে না। কেন? হাত কাটার আইন করার দাবিও হচ্ছে না। কারণ কি? পুরম্নষরাই চোর বেশি বলে?
তাই বলব যদি ইসলাম ধর্মকে অনুসরণ করতে হয় তবে পুরোটাই করা আবশ্যক। যদি সম্পত্তির ৰেত্রে হয় তবে 'ভাইয়ের অর্ধেক সম্পত্তি+ভরণপোষণ+মোহরানা-যৌতুক'। তা না হলে ভাইবোনের সমান অংশীদারিত্বে সিভিল আইনে বাধা না থাকা উচিত। কারণ আমরা জানি হিন্দু মেয়েরা কোন সম্পত্তিই পাচ্ছে না। মুসলমান মেয়েরা অর্ধেকের মালিক থাকলেও তা দেয়া হচ্ছে না। এর একটি সুরাহা হওয়া আবশ্যক।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার েেত্র মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের কোন ভূমিকা আছে কি ?
উত্তর: আছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে অধিদফতরে ওঈঞ ঈবষষ স্থাপন করেছি। অধিদফতরের জন্য একটি ঊসধরষ ধফফৎবংং করা হয়েছে। আমরা ডবনংরঃব করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৪৯০টি কম্পিউটার ক্রয়ের অনুমতি সংস্থাপন ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া গিয়েছে। কম্পিউটারগুলো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়ে গেলে জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা সহজ হবে। ফলে সুবিধা অসুবিধা দ্রম্নত নিষ্পত্তির সহায়ক হবে।
নারী উন্নয়নে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর কি ধরনের কাজ করছে?
উত্তর: বেশকিছু প্রকল্প রয়েছে আমাদের। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য এক, বিধবা ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা, ভিজিডি কার্যক্রমসমূহ হলো সরকারের ঝড়পরধষ ঝধভবঃু হবঃ ঢ়ৎড়মৎধস. গ্রাম বাংলার একেবারে হতদরিদ্র নারীদের জন্যই এই প্রোগ্রামসমূহ পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার প্রতিটি েেত্রই আর্থিক বরাদ্দ এবং উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে।
দুই, প্রতিটি জেলায় এবং উপজেলায় বিদ্যমান ঋণ কার্যক্রম এবং বিভিন্ন সমিতিকে অনুদান প্রদানের মাধ্যমে সরকার দরিদ্র নারী উদ্যোক্তাদের আয়বর্ধক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে।
তিন, নারী নির্যাতন, নারী ও শিশু পাচার এবং যৌতুক নিরোধ সংক্রানত্ম বিভিন্ন কার্যক্রমে মাঠ পর্যায়ে আমাদের জেলা এবং উপজেলা কর্মকর্তাগণ জেলা পশাসকগণের সহায়তায় কাজ করে থাকেন। মাঠ পর্যায়ে আলোচনা সভা, র্যালি, উঠান বৈঠক, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদিও হয়। এসব কার্যক্রম জিও, এনজিও সমন্বয়েও হয়ে থাকে। মহিলা বিষয়ক অধিদফতর এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সবের কার্যক্রমের তদারকি তথা মনিটরিং অব্যাহত রাখে।
No comments