বগুড়ায় নিহতদের স্মরণে দোয়া দিবস পালিত- আজ জামায়াতের প্রতিবাদ কর্মসূচি
বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর ডাকে হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলি ও ছাত্রলীগের হামলায় চারজন নেতাকর্মী নিহতের প্রতিবাদে আজ শনিবার দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত। দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান গতকাল এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ দিকে নিহতদের স্মরণে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল দোয়া দিবস পালন করে জামায়াত।
আজ প্রতিবাদ কর্মসূচি : প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ৩১ জানুয়ারি জামায়াতের ডাকে হরতাল চলাকালে সারা দেশে পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ভয়াবহ সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা বগুড়ায় জামায়াত-শিবিরের চারজন নেতাকর্মীকে হত্যা করে। হরতাল বানচাল করার হীন উদ্দেশ্যে সরকার পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে সারা দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলায় বগুড়ায় জামায়াতের কর্মী মিজানুর রহমান এবং ছাত্রশিবিরের বগুড়া আযিযুল হক কলেজের পুরাতন ভবন শাখার সভাপতি আবুুু রুহানী শাহাদাত বরণ করেন। এরপর পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যৌথ হামলায় এবং উপর্যুপরী গুলিবর্ষণের ফলে নিহত হন আব্দুল্লাহ ও রব্বানী। এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে সরকারদলীয় মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের নির্দেশে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জামায়াত-শিবির উৎখাতের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা শিবির দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং বগুড়ার হত্যাকাণ্ড ও সারা দেশে সৃষ্ট নৈরাজ্যের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই দায়ী।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, হত্যা, সন্ত্রাস, খুন, গুম, গ্রেফতার, রিমান্ড, জুলুম, নির্যাতন চালিয়ে জনগণের আন্দোলন দমন করা যাবে না। অতীতে কোনো স্বৈরশাসকই জুলুম নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। আওয়ামী সরকারও পারবে না। তিনি বলেন, ব্যর্থ সরকার তাদের সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের নামে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে শাস্তি দেয়ার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সরকার জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দেয়ার কথা প্রকাশ্যভাবে ঘোষণা করছে এবং রায়ের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিচ্ছে। তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় সরকারের নির্দেশিত ছকেই বিচারের রায় ঘোষণা করা হবে। তারা ট্রাইব্যুনালকে ব্যবহার করছে মাত্র। স্কাইপ কেলেঙ্কারি ও ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে দল হিসেবে জামায়াতকে অপরাধী বিবেচনা ও অনভিপ্রেতভাবে গাড়িতে, বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা বলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের অভিব্যক্তি ঘটানো হয়েছে। কাজেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বিচার জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, জামায়াত নেতৃবৃন্দকে সাজা দেয়ার কোনো চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না। জনগণ কঠোরভাবে এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, সরকার কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল, বিতর্কিত রাজনৈতিক ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে আটক জামায়াত ও বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিয়ে, জুলুম-নিপীড়ন, গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন বন্ধ করে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দেবে। অন্যথায় হরতালসহ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি ঘোষিত কর্মসূচি সফল করে তোলার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সব শাখার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান এবং দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
হত্যা করে আন্দোলন দমানো যাবে না : হামিদ আযাদ
পুলিশ আর দলীয় ক্যাডার দিয়ে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করে জনতার আন্দোলন দমানো যাবে না বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী নায়েবে আমির হামিদুর রহমান আযাদ এমপি। তিনি বলেন, মতা হারানোর ভয়ে জনতার আন্দোলন দমাতে এখন স্বৈরাচারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গুলি করে মানুষ হত্যার পথ বেছে নিয়েছে। পৃথিবীর কোনো স্বৈরাচারই জুলুম-নিপীড়ন চালিয়ে জনগণের আন্দোলন দমাতে পারেনি। আওয়ামী অপশক্তিও জুলুম-নিপীড়ন চালিয়ে জনগণের আন্দোলন দমাতে পারবে না। অবিলম্বে দমনপীড়ন বন্ধ না করলে এ দেশের জনগণ গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনকে নিশ্চিত করবে।
বৃহস্পতিবার জামায়াতের আহ্বানে হরতাল চলাকালে বগুড়ায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা ও গুলিতে জামায়াত ও শিবিরের নিহত নেতাকর্মী ও পুলিশের গুলিতে আহতদের জন্য কেন্দ্র ঘোষিত দোয়া দিবস উপলে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত এক দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য আবদুস সবুর ফকির, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য এ বি এম সাইফুল্লাহ, হাফিজুর রহমান, শিবির নেতা মাইনুদ্দিন মৃধা প্রমুখ।
হামিদ আযাদ এমপি বলেন, বগুড়ায় জামায়াতের শান্তিপূর্ণ হরতাল চলাকালে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ও পুলিশ বর্বরোচিত হামলা ও গুলি চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় জামায়াত-শিবিরকে দমন করতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেয়ার পরই বগুড়ায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা রামদা আর চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জামায়াত-শিবিরের দুই নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আর ডিএমপি কমিশনার বেনজিরের নির্দেশের পরই পুলিশ বগুড়ায় জামায়াত-শিবিরের নিরপরাধ নেতাকর্মীদের ওপর ও ছাত্রাবাসে অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করে এক শিবির নেতাকে হত্যাসহ অনেককে আহত করেছে। তাই বগুড়ায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের খুনের দায়ভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডিএমপি কমিশনার বেনজিরকেই নিতে হবে। গণতন্ত্রের মোড়কে তারা দেশে ফ্যাসিবাদ, বাকশাল আর স্বৈরতন্ত্র কায়েম করতে চাচ্ছে। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেন।
আজ প্রতিবাদ কর্মসূচি : প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ৩১ জানুয়ারি জামায়াতের ডাকে হরতাল চলাকালে সারা দেশে পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ভয়াবহ সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা বগুড়ায় জামায়াত-শিবিরের চারজন নেতাকর্মীকে হত্যা করে। হরতাল বানচাল করার হীন উদ্দেশ্যে সরকার পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে সারা দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলায় বগুড়ায় জামায়াতের কর্মী মিজানুর রহমান এবং ছাত্রশিবিরের বগুড়া আযিযুল হক কলেজের পুরাতন ভবন শাখার সভাপতি আবুুু রুহানী শাহাদাত বরণ করেন। এরপর পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যৌথ হামলায় এবং উপর্যুপরী গুলিবর্ষণের ফলে নিহত হন আব্দুল্লাহ ও রব্বানী। এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে সরকারদলীয় মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের নির্দেশে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জামায়াত-শিবির উৎখাতের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা শিবির দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং বগুড়ার হত্যাকাণ্ড ও সারা দেশে সৃষ্ট নৈরাজ্যের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই দায়ী।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, হত্যা, সন্ত্রাস, খুন, গুম, গ্রেফতার, রিমান্ড, জুলুম, নির্যাতন চালিয়ে জনগণের আন্দোলন দমন করা যাবে না। অতীতে কোনো স্বৈরশাসকই জুলুম নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। আওয়ামী সরকারও পারবে না। তিনি বলেন, ব্যর্থ সরকার তাদের সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের নামে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে শাস্তি দেয়ার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সরকার জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দেয়ার কথা প্রকাশ্যভাবে ঘোষণা করছে এবং রায়ের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিচ্ছে। তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় সরকারের নির্দেশিত ছকেই বিচারের রায় ঘোষণা করা হবে। তারা ট্রাইব্যুনালকে ব্যবহার করছে মাত্র। স্কাইপ কেলেঙ্কারি ও ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে দল হিসেবে জামায়াতকে অপরাধী বিবেচনা ও অনভিপ্রেতভাবে গাড়িতে, বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা বলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের অভিব্যক্তি ঘটানো হয়েছে। কাজেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বিচার জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, জামায়াত নেতৃবৃন্দকে সাজা দেয়ার কোনো চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না। জনগণ কঠোরভাবে এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, সরকার কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল, বিতর্কিত রাজনৈতিক ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে আটক জামায়াত ও বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিয়ে, জুলুম-নিপীড়ন, গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন বন্ধ করে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দেবে। অন্যথায় হরতালসহ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি ঘোষিত কর্মসূচি সফল করে তোলার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সব শাখার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান এবং দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
হত্যা করে আন্দোলন দমানো যাবে না : হামিদ আযাদ
পুলিশ আর দলীয় ক্যাডার দিয়ে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করে জনতার আন্দোলন দমানো যাবে না বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী নায়েবে আমির হামিদুর রহমান আযাদ এমপি। তিনি বলেন, মতা হারানোর ভয়ে জনতার আন্দোলন দমাতে এখন স্বৈরাচারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার গুলি করে মানুষ হত্যার পথ বেছে নিয়েছে। পৃথিবীর কোনো স্বৈরাচারই জুলুম-নিপীড়ন চালিয়ে জনগণের আন্দোলন দমাতে পারেনি। আওয়ামী অপশক্তিও জুলুম-নিপীড়ন চালিয়ে জনগণের আন্দোলন দমাতে পারবে না। অবিলম্বে দমনপীড়ন বন্ধ না করলে এ দেশের জনগণ গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনকে নিশ্চিত করবে।
বৃহস্পতিবার জামায়াতের আহ্বানে হরতাল চলাকালে বগুড়ায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা ও গুলিতে জামায়াত ও শিবিরের নিহত নেতাকর্মী ও পুলিশের গুলিতে আহতদের জন্য কেন্দ্র ঘোষিত দোয়া দিবস উপলে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত এক দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য আবদুস সবুর ফকির, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য এ বি এম সাইফুল্লাহ, হাফিজুর রহমান, শিবির নেতা মাইনুদ্দিন মৃধা প্রমুখ।
হামিদ আযাদ এমপি বলেন, বগুড়ায় জামায়াতের শান্তিপূর্ণ হরতাল চলাকালে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ও পুলিশ বর্বরোচিত হামলা ও গুলি চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় জামায়াত-শিবিরকে দমন করতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেয়ার পরই বগুড়ায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা রামদা আর চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জামায়াত-শিবিরের দুই নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আর ডিএমপি কমিশনার বেনজিরের নির্দেশের পরই পুলিশ বগুড়ায় জামায়াত-শিবিরের নিরপরাধ নেতাকর্মীদের ওপর ও ছাত্রাবাসে অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করে এক শিবির নেতাকে হত্যাসহ অনেককে আহত করেছে। তাই বগুড়ায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের খুনের দায়ভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডিএমপি কমিশনার বেনজিরকেই নিতে হবে। গণতন্ত্রের মোড়কে তারা দেশে ফ্যাসিবাদ, বাকশাল আর স্বৈরতন্ত্র কায়েম করতে চাচ্ছে। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেন।
No comments